...

10 views

এক ভয়ঙ্কর পথযাত্রা ( সায়ন পাত্র )
বহুদিন আগের কথা যখন এক ভদ্রলোক সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ চলনতিপুর গ্রামের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি দেখলেন যে আজ মনে হয় আর বাড়িতে পৌঁছাতে পারবে না। কারণ সে যদি এরপরও বাড়ি যাওয়ার জন্য হেঁটে চলে তাহলে মনে হয় আজ আর রক্ষে নেই। সেই বারোটা একটা বেজে যাবে। তাই সে করল কি একটা আশ্রয় খুঁজে আজকে রাতটা কোনমতে কাটিয়ে দেওয়ার জন্য সে হেঁটে চললো। হাঁটতে হাঁটতে এইভাবে মিনিট 15 পর সে একটা বাড়ি দেখতে পেল। বাড়িটা ছিল বেশ পোরো। বাড়িটা প্রায় ভগ্না বস্তা। কিন্তু আবার দেখল বাড়ির মধ্যেও লাইট জ্বলছে। সে ভাবল হয়তো কেউ বাস করে এইখানে। কিন্তু পরিবেশটা যা গাছমছমে তার সাহস হলো না ভেতরে ঢোকার। কিন্তু না ঢুকতে পারল না কারণ আজকে রাতটা কোনমতে এখানে কাটাতে হবে। তাছাড়া তো গ্রাম এখান থেকে এখনও ঘণ্টা দেড়েকের পথ। তাই ঈশ্বরের নাম করে বুকে সাহস নিয়ে সে পা বাড়িয়ে দিল। সামনে প্রকাণ্ড বড় একটা গেট গেটটা সে হাত দিয়ে খুললো। যেন কেউ খোলেনি গেটটা। এমন মরচে পড়ে গেছে কেন কুড়ি বছর পর সে খুলল এবং গেট খোলার সঙ্গে সঙ্গে একটা কচ কচ করে শব্দ হতে লাগলো । তাছাড়া ছোট-বড় ঘাস লতাপাতা বাগান ঘরবাড়ি সব যেন ভরে উঠেছে। যেন কেউ থাকেনা এই বাড়িতে। এরকম মনে হল যদিও তার ভয় হচ্ছিল তাও সাহস করে সে গেল‌ সে বাড়ি দরজাটা খুলল। দেখলো খোলাই আছে দরজাটা। খুলতেই সে চমকে পেছনের দিকে ছুটে চলে এলো। এক প্রকাণ্ড আত্মা তার সামনে দাঁড়িয়ে। তার গলা মুন্ডু থেকে আলাদা। সে তা দেখেই অজ্ঞান হয়ে গেল। আধঘন্টা পর সে দেখল সে তার বাড়িতে পৌঁছে গেছে। সে ভাবল আমি এখানে কি করে এলাম। সে কথাটা ভোলার চেষ্টা করল। কিন্তু সে রহস্য আজও তার কাছে অস্পষ্ট হয়ে রইল।
© All Rights Reserved