গল্প: কাঁচ কলা
গল্প: কাঁচ কলা
আমিই বাজার করি সাধারণতঃ। তাও গিন্নীর পছন্দ হয়না, মাঝে মাঝে স্কুটারের পেছনে চড়ে বসেন। আমি কিন্তুু নিজে জানি আমি কতটা পাকা পোক্ত বাজারিয়া (জানিনা এরকম বাংলা হয় কিনা, আমি বোঝাতে চাইছি বাজার করার যোগ্যতা সম্পন্ন) কেননা সেই ক্লাস 4-5 থেকে আলু পটল বেগুন মূলো কিনছি তো মা কাকিদের আদেশ মত কিন্তুু এসব বলে স্ত্রীর শ্রেষ্ঠত্বের ধারে কাছে কাউকে আনা বুদ্ধি মানের কাজ মনে হলনা কেননা আমি এখনো পুঁই শাখের সঙ্গে কুমড়ো আনাটা মুখস্ত করতে পারিনি এই এত বছরে ও, শষা নাকি সবসময়েই বুড়োই হয়, তাই এখন এক আধ দিন ছেলেকে দিয়ে কাছের সবজি দোকান থেকে দু একটা আইটেম কিনিয়ে গিন্নীর ধারণা ছেলেও নাকি আমার থেকে ভাল বাজার করতে শিখে গেছে, ও ঠিক মা যেমনটি বলে সেরকম টি আনে।
ছেলেটা ক্লাস এইট, আমি একদিন বল্লাম ,বীরু যখন এত ভাল বাজার করতে শিখেছে তখন মেন বাজার করতে পাঠাচ্ছনা কেন, এখন তো ওর ছুটি।
তাই আজ গিন্নী ছেলেকে কি কি জিনিষ আনতে হবে লিখে নিতে বল্ল। ছেলে খুশি র সঙ্গে বল্ল তোমার মোবাইল টা দাও লিখে নিচ্ছি। ফোণ পেয়ে চোখে মূখে আরো স্ফুর্তির ছটা নিয়ে বল্ল - বল।
আলু, পেঁপে, পিঁয়াজ-----
ছেলে মোবাইলে লিখে নিয়ে বেরোতে যাবে
এমন সময় গিন্নী বলে উঠলেন শোন শোন আরো একটা লিখে নে, কাঁচকলা যদি পাস দুটো নিস।
প্রায় ঘন্টাখানেক পরে বাজার এসে গেল। গিন্নী ধোয়ার জন্য ব্যাগ থেকে ঢালতেই ঠুং করে কি একটা ভাঙার আজয়াজ শোনা গেল। গিন্নীর ও আজয়াজ শোনা গেল - কিরে বীরু কি এনেছিস কাগজে মুড়ে? মনে হচ্ছে ভেঙে গেল। ছেলে বল্ল কাঁচকলা।
গিন্নী হাতে নিয়ে বল্ল তুই এটা পেলি কোথায় ? ছেলে বল্ল- বাজারে ঢুকতেই একদম সামনে। এটা কে আনতে বলেছিল ? ছেলে বল্ল কেন তুমিই তো বেরোনোর সময় বল্লে- কাঁচকলা যদি পাস দুটো নিস। গিন্নি- হায় কপাল আমার !
আমার মনে পড়ল কাল সন্ধেয় ও ভূগোল বইয়ে পড়ছিল ফিরোজাবাদে কাঁচের চুড়ি বিখ্যাত, তা ছাড়াও কাচের মুর্তি আম কলা ইত্যাদি ফলমূল সবজিও পাওয়া যায় ঘর সাজানোর জন্য।
মনে হচ্ছে ব্যাকরণ ও পড়েছিল তখন অবশ্য আমার একটুখানি ঢুলুনি এসেছিল-
দশের সঙ্গে সই দশাশই, বরের সঙ্গে কনে বরকনে, গুড়ের সঙ্গে আম গুড়াম,শাক দিয়ে তৈরি ঘন্ট শাকঘন্ট, কাঁচ দিয়ে তৈরি কলা কাঁচকলা- - ।
**KRN**
25.02.2024.T
Writco: 26.02.2024
আমিই বাজার করি সাধারণতঃ। তাও গিন্নীর পছন্দ হয়না, মাঝে মাঝে স্কুটারের পেছনে চড়ে বসেন। আমি কিন্তুু নিজে জানি আমি কতটা পাকা পোক্ত বাজারিয়া (জানিনা এরকম বাংলা হয় কিনা, আমি বোঝাতে চাইছি বাজার করার যোগ্যতা সম্পন্ন) কেননা সেই ক্লাস 4-5 থেকে আলু পটল বেগুন মূলো কিনছি তো মা কাকিদের আদেশ মত কিন্তুু এসব বলে স্ত্রীর শ্রেষ্ঠত্বের ধারে কাছে কাউকে আনা বুদ্ধি মানের কাজ মনে হলনা কেননা আমি এখনো পুঁই শাখের সঙ্গে কুমড়ো আনাটা মুখস্ত করতে পারিনি এই এত বছরে ও, শষা নাকি সবসময়েই বুড়োই হয়, তাই এখন এক আধ দিন ছেলেকে দিয়ে কাছের সবজি দোকান থেকে দু একটা আইটেম কিনিয়ে গিন্নীর ধারণা ছেলেও নাকি আমার থেকে ভাল বাজার করতে শিখে গেছে, ও ঠিক মা যেমনটি বলে সেরকম টি আনে।
ছেলেটা ক্লাস এইট, আমি একদিন বল্লাম ,বীরু যখন এত ভাল বাজার করতে শিখেছে তখন মেন বাজার করতে পাঠাচ্ছনা কেন, এখন তো ওর ছুটি।
তাই আজ গিন্নী ছেলেকে কি কি জিনিষ আনতে হবে লিখে নিতে বল্ল। ছেলে খুশি র সঙ্গে বল্ল তোমার মোবাইল টা দাও লিখে নিচ্ছি। ফোণ পেয়ে চোখে মূখে আরো স্ফুর্তির ছটা নিয়ে বল্ল - বল।
আলু, পেঁপে, পিঁয়াজ-----
ছেলে মোবাইলে লিখে নিয়ে বেরোতে যাবে
এমন সময় গিন্নী বলে উঠলেন শোন শোন আরো একটা লিখে নে, কাঁচকলা যদি পাস দুটো নিস।
প্রায় ঘন্টাখানেক পরে বাজার এসে গেল। গিন্নী ধোয়ার জন্য ব্যাগ থেকে ঢালতেই ঠুং করে কি একটা ভাঙার আজয়াজ শোনা গেল। গিন্নীর ও আজয়াজ শোনা গেল - কিরে বীরু কি এনেছিস কাগজে মুড়ে? মনে হচ্ছে ভেঙে গেল। ছেলে বল্ল কাঁচকলা।
গিন্নী হাতে নিয়ে বল্ল তুই এটা পেলি কোথায় ? ছেলে বল্ল- বাজারে ঢুকতেই একদম সামনে। এটা কে আনতে বলেছিল ? ছেলে বল্ল কেন তুমিই তো বেরোনোর সময় বল্লে- কাঁচকলা যদি পাস দুটো নিস। গিন্নি- হায় কপাল আমার !
আমার মনে পড়ল কাল সন্ধেয় ও ভূগোল বইয়ে পড়ছিল ফিরোজাবাদে কাঁচের চুড়ি বিখ্যাত, তা ছাড়াও কাচের মুর্তি আম কলা ইত্যাদি ফলমূল সবজিও পাওয়া যায় ঘর সাজানোর জন্য।
মনে হচ্ছে ব্যাকরণ ও পড়েছিল তখন অবশ্য আমার একটুখানি ঢুলুনি এসেছিল-
দশের সঙ্গে সই দশাশই, বরের সঙ্গে কনে বরকনে, গুড়ের সঙ্গে আম গুড়াম,শাক দিয়ে তৈরি ঘন্ট শাকঘন্ট, কাঁচ দিয়ে তৈরি কলা কাঁচকলা- - ।
**KRN**
25.02.2024.T
Writco: 26.02.2024
Related Stories