...

2 views

বিমূর্ত স্বীকারোক্তি –1
খরা ছিল। জল অতদূর গড়ায়নি। কর্তব্য ছিল, বেগ, আনাড়ি আশার অঙ্গার। খুঁতখুঁতে ছিলাম না। ছিলাম কি কখনো? তাতে নদীটির কী বা যায় আসে? পলি জমে থাকে সেখানে। তবে আজ শোনা গেছে – বৃষ্টি নামতে পারে। সব ব্যর্থতার আগুন নিভিয়ে দিতে পারে। একজন নদীর তীরে এখন। কারোর অপেক্ষায়। সে ছিপ ফেলে না, শামুকখোলের দিকে তাকিয়ে থাকে। যদি কারো দেখা পায় – কোনো উদভ্রান্তার; চুলের গন্ধের বাস্তবে, ঘড়ির কাঁটার না। আমি যে সরীসৃপ, ঘুমিয়ে পড়ি কখন মানুষ তার খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করে না। তবু বলি, যদি কেউ জাগানোর চেষ্টা করে আমায়, যদি কেউ স্বপ্ন দেখাতে পারে, বুলবুলির মতন করে ডাকতে পারে, সূর্যমুখীর মতন হাসতে পারে, তবে আমায় তাকে চিনতে দিও – তাকে , আরো একবার শুধুই তাকে। আমি দাঁড়িয়ে থাকবো তার ঠিকানায় আমার চিঠি নিজের হাতে বিলি করার জন্য। আমি কি তার স্বপ্নে আসতে পারি জোড়া শালিক পাখির মতন? মানুষের মতো বিবেচনা না করে? যদি আসি আমায় ফুল তুলে আনতে দিও। তার কানের লতিতে নেমে আসবে টগর। আমি শুধু দেখে যাব মিটিমিটি করে। পোকা? না না, ওরা পিছু করবে না তার। ওদের আলাদা জগৎ, বছর মাসের হিসেবের চেয়ে অনেক সামান্য ওদের ভূগোল। আমি বললাম না ! আমায় সুযোগ দিয়ে তো দেখো। দেখি, বীজ অঙ্কুরিত হয় কিনা ! হ্যাঁ, যে গাছে ব্যাঙের প্রার্থনা শুনি বৃষ্টি হবে বলে, সেখানেই যাবো বলে ঠিক করেছি, খুঁজতে তোমায়! ঠিক ধরেছ। কি বললে? ছোট আছি? সরল? গড়গড়িয়ে আওড়ে যাওয়া মন্ত্রের মত নয়? শেওরাফুল? তা কিন্তু কেউ বলেনি কখনো। তুমি দ্বিতীয়ও না, তৃতীয়ও না, আদ্যপ্রান্ত প্রথম। হ্যাঁ, গল্প লিখতে পারি আমিও। বিশ্বাস করছো না? কেন করবে বলো! তোমার তো অস্তিত্বই নেই। তুমি স্বপ্ন, স্বপ্নেই উড়ে আসা গ্রীক পুরাণের চরিত্রের মতন, আমায় নিয়ে যাবে বলে। স্বপ্নের ধ্বনিরাও স্বপ্ন দেখাতে চায়, পারেও; তুমিই তার প্রমাণ। তাও এই স্বপ্ন দেখতে ভয় করে খুব, বুঝলে? যেন মাটির সুড়ঙ্গে প্রবেশ করছি। মাথা ভারী হয়। তাকাতে পারিনা কোনদিকে। যদি না পাই তোমাকে খুঁজে ! তাহলে হয়তো বর্ষায় টিনের চালে পড়া বৃষ্টির শব্দটা গোলমেলে লাগবে, ছাতা ধরবো না, পুকুরের ধারে হেঁটে চলে বেড়ানো শামুক বা গুগলির মতন ভিজে যাবো। স্নাত হয়ে যাবো এক- আকাশ জলে। তুমি যতক্ষণ না হনহনিয়ে আসবে; যদি সত্যিই না আসো, তাহলে ছাতা খুলবো না, জেদ ধরে বসে থাকবো হাটপুকুরের ধারে, থাকবই – কথা দিলাম।


© soumik299