" সলিউশন(Solution) "
ঘড়িতে সময়টা দেখে নিলাম ,সাড়ে দশটা বাজে....আর একজনকেই ফোন করতে হবে,দিলেই আজকের মত আমার কাজ শেষ.....পাশে থাকা ব্যাগ থেকে জলের বোতলটা বার করে জল খেলাম।
সত্যি বলতে আজ দুবছর হয়ে গেছে,এই " সলিউশন(Solution) " কোম্পানিতে কাজ করছি। জানি না,কাজটা কতটা ঠিক,কতটা ভুল; কিন্তু কাজটা করতে খুব ভালো লাগে,অন্যের জীবনের সমস্যার সমাধানে একটা আলাদাই আনন্দের ব্যাপার আছে....তার ওপর মোটা টাকার মাইনে তো আছেই....তাই আর ছাড়তে পারিনি।
তবে মানুষের জীবনে কেমন উদ্ভট চাহিদা বা সমস্যা থাকতে পারে, তা ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছি এই চাকরির মাধ্যমে।
তবে আমাদের কোম্পানির কাজ করার পদ্ধতি খুব সহজ; প্রতিদিন আমাদের বিজ্ঞাপন খবরের কাগজে দেওয়া হয়,সেখানে লেখাই থাকে বড় বড় হরফে-
"সবার জীবনেই ছোট থেকে বড়,সব ধরনের সমস্যাই থাকে,কিন্তু সব কি সমাধান হয়?? সেই সমস্যার সমাধানের কর্তব্য আমাদের।
নিচে আমাদের নম্বর দেওয়া আছে,আমাদের মেসেজ করুন,কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা নিজেরাই ফোন করবো।"
সেই বুঝেই অনেকে আমাদের ফোন করে আর আমরা সাহায্য করি। তবে এখন পাশে থাকা ল্যাপটপটা দেখে বুঝলাম..... এবার আজকের মত শেষ যাকে ফোন করবো,উনি একজন মহিলা। অর্থাৎ আমাকে নিজের আসল কণ্ঠেই কথা বলতে হবে।
যদি সেই মহিলার জায়গায় কোনো লোকের নাম থাকত,তাহলে আমায় মেয়েলি গলায় কথা বলতে হতো...সুতরাং সেরকম কোনো ঝামেলা নেই..ভালো ভাবেই কথা বলে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে পড়বো অফিস থেকে।
নম্বরটা ভালো ভাবে অফিসের দেওয়া টেলিফোনে dial করে ফোনটা করলাম.....ওপর প্রান্তে ফোনটা তুলতেই বললাম:
-" হ্যালো , ম্যাম, আমি ' সলিউশন (solution) ' কোম্পানি থেকে বলছি; আপনি নিজের সমস্যার জন্য আমাদের মেসেজ করেছিলেন,বলুন আমরা আপনাকে কিভাবে সাহায্য করতে পারি?"
ওপর প্রান্ত থেকে কোনো উত্তর এলো না,বললাম:
-" হ্যালো,ম্যাম শুনতে পারছেন আমার কথা??....."
-"......হ্যাঁ, শুনতে পারছি....."- সেই মহিলা বলে উঠলেন।
কণ্ঠস্বরটা শোনা মাত্রই কিছুক্ষন আমি নিজেই চুপ থেকে গেলাম;কিন্তু এ কি সেই, যার কথা আমি ভাবছি,নিজেকে সামলে নিয়েই বললাম:
-" হ্যাঁ,তো,এবার বলুন, আপনার কি সমস্যা?"
কিছুক্ষন চুপ থেকে নিজেই কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে বললেন:
-" আচ্ছা,আপনারা কি মনের সমস্যারও সমাধান করতে পারেন? "
এই প্রশ্ন শোনার পর, আমার নিজের মনে অনেক প্রশ্ন আসছে..... এ কি সেই, যার কথা সত্যিই আমি ভাবছি??? যদি ঐই হয়ে থাকে,তাহলে এত দিন পর .......না না উল্টোপাল্টা ভাবছি আমি,নিজেকে সামলে নিয়েই বললাম:
-" ম্যাম,আমাদের কোম্পানির নাম তো নিশ্চয়ই আপনি জানেন, 'সলিউশন (solution)', তাই সেই অনুযায়ী আমরা যেকোন সমস্যার সমাধান করে থাকি...আপনি নির্দ্বিধায় বলুন...''
কিছুক্ষন কোনরকম কোনো উত্তর পেলাম না....বোধহয়,যা বলবেন,তাই একবার ঘুছিয়ে নিচ্ছিলেন;তারপর বললেন:
-" আসলে আমি একটা ছেলেকে খুব ভালবাসতাম,বরং এখনও ভালোবাসি.......আজ দুবছর হয়ে গেছে,তার সাথে দেখা হয়নি, সে নিজে একদিন হঠাৎ নিজের পরিবার বা আমায় কিছুই না জানিয়ে নিজের বাড়ি ছেড়ে চলে যায়...জানি না,আজ সে কোথায় আছে......."
এই পর্যন্ত বলেই কেঁদে ফেললেন তিনি।তারপর নিজেকে সামলে নিয়েই বললেন,
-" কম খুঁজেছি আমি,তার বাবা-মা মিলে!...কিন্তু পাইনি তাকে....আপনাদের কাছে আমার একটাই অনুরোধ.... দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন, তাকে খুঁজতে...তার নাম,ফটো সব আমি আপনাকে দেব.....তবে ব্যাপারটা আপনার কাছে interesting হলেও,আমার কাছে ব্যাপারটা খুবই serious......."
আর বলতে পারলেন না তিনি....উনি যে কাঁদছেন, তা বুঝতে পেরেছি,তবে সত্যি এখন আমার চোখ দিয়েও জল পড়ছে....সেই মহিলার গল্প শুনে নয়,আজ দুবছর পর সেই পরিচিত কণ্ঠস্বর শুনে......
হ্যাঁ,চিনতে পেরেছি আমি এখন,এই মহিলা তার এই গল্পে যে ছেলের কথা বলছেন,সেই ছেলে আর কেউই নয়:'আমি' ।
কোনরকম নিজেকে সামলে বললাম,
-" আচ্ছা,বলছিলাম কি,আপনার নাম কি পিয়ালী????"
-" হ্যাঁ,তবে আপনি কি করে জানলেন??" - বলে উঠলেন তিনি।
-" বুঝতেই পেরেছি আমি,আসলে......"- পুরো কথাটা বলার আগেই তিনি বলেন:
-" আচ্ছা,আপনি কি শুনতে পারছেন আমার কথা,আমি শুনতে পারছি না...... হ্যালো....."
-"হ্যালো, হ্যাঁ ,আমি শুনতে পারছি....বলুন......" বলে উঠলাম আমি....
কিন্তু তখনই ফোনে একটা অদ্ভুত আওয়াজ হয়ে,ফোনটা কেটে গেলো.... কয়েক মুহূর্ত বেখেয়ালি ভাবে বসে রইলাম...তারপর দুই থেকে তিন বার সেই নম্বরে ফোন করলাম,কিন্তু লাগলো না...রাগের মাথায় পাশে থাকা পেনের বাক্স ছুড়ে মারলাম......
আজ দুবছর পর, নিজের প্রেমিকার আওয়াজ শুনতে পারলাম,খুব ইচ্ছা ছিল যে ওকে বলি,আমিই তোমার সেই প্রেমিক,যাকে তুমি খুঁজে চলেছো.....আমার মা-বাবা কেমন আছেন তা জানিনা......কিভাবে বলবো তাদের আমি, যে আমার অনেক স্বপ্ন আছে...সেগুলো পূরণ করতে হবে....তার জন্যই পালিয়ে এসেছি....সত্যিই চোখ থেকে জলের ধারা বয়ে চলেছে এখন.....
সেদিন কিভাবে বাড়ি ফিরেছিলাম,জানি না....তবে সারা রাত ঘুম হয়নি......
পরদিন,অফিসেও ঠিক মত কাজ না করায়,boss এসে দুবার খোঁটা দিয়ে গেছে......
হঠাৎ বিকেল নাগাদ আমার ফোনটা বেজে উঠলো।
ফোনটা তোলা মাত্রই ওপর প্রান্ত থেকে একজন মহিলা বলে উঠলেন:
-" দুবছর পর,তাহলে শেষ পর্যন্ত খুঁজেই পেলাম তোমায়.....কি ভেবেছিলে, পাবো না তোমায়,তাইতো???
এই দুবছর আমরা কিভাবে কাটিয়েছি?তোমার মা -বাবা কেমন আছেন?একবারও জানার চেষ্টা করেছো??....."
কণ্ঠস্বর আর এত প্রশ্ন,শুনে বুঝতেই পেরেছি কে আমায় ফোন করেছে......জানি আমি, এখনও আমার অনেক স্বপ্ন আছে,যা পূরণ করতে হবে,যার জন্য আমায় আমার পরিবার থেকে দূরে থাকতে হবে.......কিন্তু কেন জানি না,এইসব প্রশ্ন শুনে বিরক্তি একদম লাগছে না.....জানি ব্যাপারটা অন্যদের কাছে interesting হলেও এখন আমার কাছে serious হয়ে দাঁড়িয়েছে......
তবে সেই মহিলা ক্রমাগত বলেই চললেন:
-" এবার কিন্তু এটা জানতে চাইবে না .....কিভাবে তোমাকে খুঁজে পেলাম.....সেটা বড় কথা নয়....তুমি কোথায় আছো? ভালো আছো কি?? দেখো তোমার কাছে ব্যাপারটা......."
পুরোটা বলার আগেই বলে উঠলাম:
-" হ্যাঁ,জানি আমার কাছে ব্যাপারটা interesting হলেও তোমার কাছে ব্যাপারটা serious...."
সত্যি বলতে আজ দুবছর হয়ে গেছে,এই " সলিউশন(Solution) " কোম্পানিতে কাজ করছি। জানি না,কাজটা কতটা ঠিক,কতটা ভুল; কিন্তু কাজটা করতে খুব ভালো লাগে,অন্যের জীবনের সমস্যার সমাধানে একটা আলাদাই আনন্দের ব্যাপার আছে....তার ওপর মোটা টাকার মাইনে তো আছেই....তাই আর ছাড়তে পারিনি।
তবে মানুষের জীবনে কেমন উদ্ভট চাহিদা বা সমস্যা থাকতে পারে, তা ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছি এই চাকরির মাধ্যমে।
তবে আমাদের কোম্পানির কাজ করার পদ্ধতি খুব সহজ; প্রতিদিন আমাদের বিজ্ঞাপন খবরের কাগজে দেওয়া হয়,সেখানে লেখাই থাকে বড় বড় হরফে-
"সবার জীবনেই ছোট থেকে বড়,সব ধরনের সমস্যাই থাকে,কিন্তু সব কি সমাধান হয়?? সেই সমস্যার সমাধানের কর্তব্য আমাদের।
নিচে আমাদের নম্বর দেওয়া আছে,আমাদের মেসেজ করুন,কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা নিজেরাই ফোন করবো।"
সেই বুঝেই অনেকে আমাদের ফোন করে আর আমরা সাহায্য করি। তবে এখন পাশে থাকা ল্যাপটপটা দেখে বুঝলাম..... এবার আজকের মত শেষ যাকে ফোন করবো,উনি একজন মহিলা। অর্থাৎ আমাকে নিজের আসল কণ্ঠেই কথা বলতে হবে।
যদি সেই মহিলার জায়গায় কোনো লোকের নাম থাকত,তাহলে আমায় মেয়েলি গলায় কথা বলতে হতো...সুতরাং সেরকম কোনো ঝামেলা নেই..ভালো ভাবেই কথা বলে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে পড়বো অফিস থেকে।
নম্বরটা ভালো ভাবে অফিসের দেওয়া টেলিফোনে dial করে ফোনটা করলাম.....ওপর প্রান্তে ফোনটা তুলতেই বললাম:
-" হ্যালো , ম্যাম, আমি ' সলিউশন (solution) ' কোম্পানি থেকে বলছি; আপনি নিজের সমস্যার জন্য আমাদের মেসেজ করেছিলেন,বলুন আমরা আপনাকে কিভাবে সাহায্য করতে পারি?"
ওপর প্রান্ত থেকে কোনো উত্তর এলো না,বললাম:
-" হ্যালো,ম্যাম শুনতে পারছেন আমার কথা??....."
-"......হ্যাঁ, শুনতে পারছি....."- সেই মহিলা বলে উঠলেন।
কণ্ঠস্বরটা শোনা মাত্রই কিছুক্ষন আমি নিজেই চুপ থেকে গেলাম;কিন্তু এ কি সেই, যার কথা আমি ভাবছি,নিজেকে সামলে নিয়েই বললাম:
-" হ্যাঁ,তো,এবার বলুন, আপনার কি সমস্যা?"
কিছুক্ষন চুপ থেকে নিজেই কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে বললেন:
-" আচ্ছা,আপনারা কি মনের সমস্যারও সমাধান করতে পারেন? "
এই প্রশ্ন শোনার পর, আমার নিজের মনে অনেক প্রশ্ন আসছে..... এ কি সেই, যার কথা সত্যিই আমি ভাবছি??? যদি ঐই হয়ে থাকে,তাহলে এত দিন পর .......না না উল্টোপাল্টা ভাবছি আমি,নিজেকে সামলে নিয়েই বললাম:
-" ম্যাম,আমাদের কোম্পানির নাম তো নিশ্চয়ই আপনি জানেন, 'সলিউশন (solution)', তাই সেই অনুযায়ী আমরা যেকোন সমস্যার সমাধান করে থাকি...আপনি নির্দ্বিধায় বলুন...''
কিছুক্ষন কোনরকম কোনো উত্তর পেলাম না....বোধহয়,যা বলবেন,তাই একবার ঘুছিয়ে নিচ্ছিলেন;তারপর বললেন:
-" আসলে আমি একটা ছেলেকে খুব ভালবাসতাম,বরং এখনও ভালোবাসি.......আজ দুবছর হয়ে গেছে,তার সাথে দেখা হয়নি, সে নিজে একদিন হঠাৎ নিজের পরিবার বা আমায় কিছুই না জানিয়ে নিজের বাড়ি ছেড়ে চলে যায়...জানি না,আজ সে কোথায় আছে......."
এই পর্যন্ত বলেই কেঁদে ফেললেন তিনি।তারপর নিজেকে সামলে নিয়েই বললেন,
-" কম খুঁজেছি আমি,তার বাবা-মা মিলে!...কিন্তু পাইনি তাকে....আপনাদের কাছে আমার একটাই অনুরোধ.... দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন, তাকে খুঁজতে...তার নাম,ফটো সব আমি আপনাকে দেব.....তবে ব্যাপারটা আপনার কাছে interesting হলেও,আমার কাছে ব্যাপারটা খুবই serious......."
আর বলতে পারলেন না তিনি....উনি যে কাঁদছেন, তা বুঝতে পেরেছি,তবে সত্যি এখন আমার চোখ দিয়েও জল পড়ছে....সেই মহিলার গল্প শুনে নয়,আজ দুবছর পর সেই পরিচিত কণ্ঠস্বর শুনে......
হ্যাঁ,চিনতে পেরেছি আমি এখন,এই মহিলা তার এই গল্পে যে ছেলের কথা বলছেন,সেই ছেলে আর কেউই নয়:'আমি' ।
কোনরকম নিজেকে সামলে বললাম,
-" আচ্ছা,বলছিলাম কি,আপনার নাম কি পিয়ালী????"
-" হ্যাঁ,তবে আপনি কি করে জানলেন??" - বলে উঠলেন তিনি।
-" বুঝতেই পেরেছি আমি,আসলে......"- পুরো কথাটা বলার আগেই তিনি বলেন:
-" আচ্ছা,আপনি কি শুনতে পারছেন আমার কথা,আমি শুনতে পারছি না...... হ্যালো....."
-"হ্যালো, হ্যাঁ ,আমি শুনতে পারছি....বলুন......" বলে উঠলাম আমি....
কিন্তু তখনই ফোনে একটা অদ্ভুত আওয়াজ হয়ে,ফোনটা কেটে গেলো.... কয়েক মুহূর্ত বেখেয়ালি ভাবে বসে রইলাম...তারপর দুই থেকে তিন বার সেই নম্বরে ফোন করলাম,কিন্তু লাগলো না...রাগের মাথায় পাশে থাকা পেনের বাক্স ছুড়ে মারলাম......
আজ দুবছর পর, নিজের প্রেমিকার আওয়াজ শুনতে পারলাম,খুব ইচ্ছা ছিল যে ওকে বলি,আমিই তোমার সেই প্রেমিক,যাকে তুমি খুঁজে চলেছো.....আমার মা-বাবা কেমন আছেন তা জানিনা......কিভাবে বলবো তাদের আমি, যে আমার অনেক স্বপ্ন আছে...সেগুলো পূরণ করতে হবে....তার জন্যই পালিয়ে এসেছি....সত্যিই চোখ থেকে জলের ধারা বয়ে চলেছে এখন.....
সেদিন কিভাবে বাড়ি ফিরেছিলাম,জানি না....তবে সারা রাত ঘুম হয়নি......
পরদিন,অফিসেও ঠিক মত কাজ না করায়,boss এসে দুবার খোঁটা দিয়ে গেছে......
হঠাৎ বিকেল নাগাদ আমার ফোনটা বেজে উঠলো।
ফোনটা তোলা মাত্রই ওপর প্রান্ত থেকে একজন মহিলা বলে উঠলেন:
-" দুবছর পর,তাহলে শেষ পর্যন্ত খুঁজেই পেলাম তোমায়.....কি ভেবেছিলে, পাবো না তোমায়,তাইতো???
এই দুবছর আমরা কিভাবে কাটিয়েছি?তোমার মা -বাবা কেমন আছেন?একবারও জানার চেষ্টা করেছো??....."
কণ্ঠস্বর আর এত প্রশ্ন,শুনে বুঝতেই পেরেছি কে আমায় ফোন করেছে......জানি আমি, এখনও আমার অনেক স্বপ্ন আছে,যা পূরণ করতে হবে,যার জন্য আমায় আমার পরিবার থেকে দূরে থাকতে হবে.......কিন্তু কেন জানি না,এইসব প্রশ্ন শুনে বিরক্তি একদম লাগছে না.....জানি ব্যাপারটা অন্যদের কাছে interesting হলেও এখন আমার কাছে serious হয়ে দাঁড়িয়েছে......
তবে সেই মহিলা ক্রমাগত বলেই চললেন:
-" এবার কিন্তু এটা জানতে চাইবে না .....কিভাবে তোমাকে খুঁজে পেলাম.....সেটা বড় কথা নয়....তুমি কোথায় আছো? ভালো আছো কি?? দেখো তোমার কাছে ব্যাপারটা......."
পুরোটা বলার আগেই বলে উঠলাম:
-" হ্যাঁ,জানি আমার কাছে ব্যাপারটা interesting হলেও তোমার কাছে ব্যাপারটা serious...."