...

3 views

গল্প: হোটেলের জানলা থেকে।
গল্প: হোটেলের জানলা থেকে।

সেদিন সন্ধেয় পৌঁছলাম শহরের এক নামি হোটেলে। 5 স্টার নয় বটে তবে বেশ ভালো।
বড় ,পরিস্কার পরিচ্ছন্ন পরিপাটি পূর্ণ,
সব চেয়ে ভাল লাগল একফালি নোট বুক ও ছিল বিছানার মাথার দিকে ড্রেশিং টেবিলের উপর। হয়ত কি কিনলাম কি খেলাম তা টুকে রাখতে তবে ভাল লাগার আরো বড় কারণ বোধ হয় আমাকে হোটেলের রেট জানতে হয়নি কেননা আমি একটা বিয়ে বাড়ীর আমন্ত্রিত। সুতরাং একটু ফ্রেশ হয়েই
একটা কবিতা কালকের রিটকোর জন্য তৈরী করতে শুরু করলাম বিছানায় শুয়ে শুয়েই কেননা বেশ ঠান্ডা ।
নিজেকে বেশ ধনী ধনী মনে হতে লাগল, কিছুক্ষণ পর আকুলি বিকুলি ময় আবেদন বড়ো কিন্তুু বন্ধ জানালা দিয়ে ভেসে আসছিল , তাই বুঝলাম মাইকের আওয়াজই হবে। কিন্তুু সেই স্বর - 'ইঁদুর মারা বিষ নিয়ে যান, এক ডোজেই সব শেষ , বেশী দাম নয় , মাত্র কুড়ি টাকা, কুড়ি টাকা ইত্যাদি ইত্যাদি'। বার বার শোনা যেতে লাগল। আমি ভূলে গেলাম মাইক বাজছে। ভাবছি এই ঠান্ডায় লোকটা রাস্তার ধারে এত চিল্লাচ্ছে তবু ও কারো দয়া হয়না! কতগুলো বেচলে তবে তো মাত্র100 টাকা হবে । তাতেই বা কি হবে ? পরিবারে তো বৌ বাচ্চা মা বাবা হতেই পারে। সবার তো জল ও জুটবেনা । কেননা আমি ততক্ষণে একবোতল জল প্রায় শেষ করে ফেলেছি যেটা 50 টাকা। আশ্চর্যের ব্যাপার এম আর পি কিন্তুু 20 টাকা। আর এব্যাপারে ওদের কিন্তুু সূপ্রীম কোর্টের অথরিটি আছে যা খুশি দাম নেওয়ার ।
যা হোক আমার ভাবনা কিন্তুু দৌড়চ্ছে এভাবে- কে জানে বিক্রি হচ্ছে কিনা। অবশ্য চিৎকার চলছে।
ভাবনা গেল ঘুরে , কই এই হোটেল বালা তো চিৎকার করে কাউকে ডাকছেনা - 'এসো এসো আমার ঘরে এসো, থাকো আমার ঘরে'। অবশ্য এদের আশ্রয় দানের ব্যাবসা, আর‌ ওর
আশ্রয় চুকিয়ে দেওয়ার ব্যাবসা । অর্থাৎ লোকটা ভালো ব্যাবসা বাছতে পারেনি। তাই কি একই ঠাকুর দুজন কে আলাদা আলাদা ফল দিচ্ছে কেননা হোটেল টা ও যেমন 'মা মনসা হোটেল' তেমনি এর জানালা থেকে দৃষ্ট ইঁদুর মারা বিষের রিক্সঠেলাটার নাম ও 'মা মনসা' । ডিনারের ডাক পড়তেই ভাবনায় ছেদ পড়ল , ডিনার সেরে রুমে ফিরলাম। আর কোন আওয়াজ পেলাম না। হয়তো শুভ রাত্রি হয়ে থাকবে তার ও।
**KRN**
28.01.2024 .Siuri
Writco: 06.02.2024