...

4 views

SANTALITY
24শে ডিসেম্বরের রাত। স্কুল মোড়ের church টায় 12 টার ঘন্টা বাজতেই পাশের flat থেকে আবছা শোনা গেল "Jingle bells, jingle bells, jingle all the way".
তিনতলার মিষ্টি দিদিমণিদের জানলায় একটা ভুঁড়ি ওয়ালা, দাড়ি ভর্তি, টুপি পরা বুড়োর ছায়া দেখতে পেলাম। বুঝতে পারলাম এই বছর ও তিন্নির বাবা Santa বুড়ো সেজে গেছে মিষ্টি দিদিমণির মন ভোলাতে। এবার যেন দাদাবাবু কী একটা আইপ্যাড না ওইপ্যাড কিনে দিয়েছেন মেয়েকে বড়দিনে। ওটা দিদিমণির হাতে দিয়েই বোধহয় তিন্নির বাবা চলে আসবে।

আজ হঠাৎ যেন ছোটবেলার সেই মজার রাত গুলোতে বড়লোক বাচ্চাদের দেখাদেখি দরজায় মোজা ঝুলিয়ে রাখার কথা মনে পড়ছে, যার প্রত্যেকটার সকাল হতো মন খারাপে ভর্তি খালি মোজা হাতে। মা বাবা বলতো "ও সব বড়লোক দের উৎসব। আমাদের মতন দিনমজুর দের ঘরে ওসব সান্তা আসে না! আমাদের শুধু পান্তাই হয়"
তারপর যখন তিন্নির মা হলাম তখন বুঝলাম, আসলে গরীবের সান্তা দের আমরা মা বাবা বলে ডাকি, যে সান্তা আমাদের জন্য তাদের সবটা দিয়ে দেয়।

হঠাৎ একটা ঝাঁকুনিতে ভাবনা ছাড়লো। তিন্নির বাবা তিন্নির জন্য উপহার এনেছে-ওর স্কুলের ছেঁড়া ব্যাগটা সেলাই এর পর একদম নতুন লাগছে। ও দেখলে ভীষণ খুশি হবে। গরীবের ঘরের 9 বছরের বাচ্চার আর কিই বা চায়!!
"চলো তিন্নির মা! তিন্নি মোজার কাগজে এই বছর কী লিখেছে দেখি! "
মোজার ভেতরে একটা চিরকুট ছিল সব বছরের মতো। আর একটা জিনিস ছিল যেটা দেখে দুজনেই অবাক হলাম- সেটা হলো আমার সেলাই করা একটা 'মাস্ক'
সঙ্গে সঙ্গে চিরকুট টা খুলে পড়া হলো-
"প্রিয় সান্তা দাদু! আমাকে বাবা মা বলেছে, এবার লক ডাউনে সবার অনেক ক্ষতি হয়েছে। তাই এবছর আমি আর কিছু চাই না। আর হ্যাঁ, তোমার তো অনেক বয়স হয়েছে, তাই মা এর বানানো একটা মাস্ক তোমাকে দিলাম। তুমি ওটা পরো, তাহলে তোমার করোনা হবে না। তুমি খুব ভালো থেকো সান্তা দাদু। I love you! আসছে বছর আবার হবে।"
© ইচ্ছেpa लोक