রহস্যময় সুন্দরবন (অংশ 2)
আর যে অপুদার কথা বলছি সে হচ্ছে আমার বাবার বন্ধুর ছেলে কাম আমার স্কুলের স্পোর্টস টিচার। ওর বাড়ি এখানে নয় ব্যরাকপুরে তাই অপুদা আমাদের বাড়িতেই থাকে। তবে ও বলে যে ওর স্পোর্টস টীচার হওয়ার কোনো ইচ্ছেই নাকি ছিল না, নেহাত ছোটো বেলায় ফুটবল খেলায় গোল কিপার হতে গিয়ে ফুটবলের বারি খেয়ে বা হাতে আঘাত পায় যার জন্য ওর বা হাতে এখনো বাঁকা । নিতান্তই ওর এই কথা শুনে বুঝতে পারলাম ওর পুলিশ হওয়ার স্বপ্ন চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে গেছে। অবশেষে এই ঘুরতে আসতে পেরেছি এটাই অনেক। কাল আমরা এসেছি এই সুন্দর বনের পল্টে । কাল অবশ্য ঘুরলেও বেশি ভেতরে যাওয়া হয় নি । তবে আজই ঘোরার প্ল্যান ছিল, কিন্তু এই বৃষ্টি বোধহয় সবাই কে কাঁদিয়ে ছাড়বে। আমি হোটেলের রুমে বসে বই পড়ছিলাম আর অপুদা সুবিরের সঙ্গে দাবা খেলছিল । এছাড়াও আরও অনেকেই ছিল ঘরে। হঠাৎ কী যে হল অপুদা ঘর ছেড়ে বাইরে বেড়িয়ে গেল, তারপর সাত আট মিনিট পর আবার এল বুঝলাম ধূপকাঠি টানতে গিয়ে ছিল। ঘরের মধ্যে এত স্টুডেন্ট আছে তাই বাইরে...