...

3 views

#_স্বপ্নরঙীন💛💙

© All Rights Mona:
#_স্বপ্নরঙিন 🧡💙

#Mohena

পর্ব -- ২

আরব বীরকে নিয়ে গার্ডেনের দিকে ছুটে যায়...আর ওদের পেছনে পেছনে সবাই ছোট গার্ডেনের দিকে...গার্ডেনে সবাই এসে দেখে একটা জেড ব্ল্যাক অডি দাড়িয়ে রয়েছে...তার মধ্যে ইয়েলো ব্লু বেলুন আর রিবন দিয়ে সাজানো...

অনিসা --- ঠাম দেখো দেখো আমাদের বীরের গাড়িটা কি দারুন করে সাজানো...( গাড়ির দিকে তাকিয়ে বলে )

ললিতা --- তোর ভাইয়া একটা পাগল...বুঝলি...( অনিসা কে ধরে )

অর্চনা --- তুই ভুলে গেলি অনি,, তোর birthday তেও তোকে তিনবছর আগে কার গিফট করেছে...এমন সুন্দর করে সাজিয়ে...( অনিসার গাল টিপে )

মেঘনা --- ভাইয়া তো এই বাড়ির সবাইকে কার গিফট করে...আমাকেও আমার birthday তে গিফট করেছিল...

অনিসা --- আমার ভাইয়া বেস্ট ভাইয়া...( মেঘনা জড়িয়ে ধরে )

আকাশ --- ওর মত মন আর কজনের আছে...

ললিতা --- আমাদের অ্যাব সবাইকে নিয়ে চলতে ভালো বাসে,, চিন্তা একটাই ওর মনের মত কেউ হবে নাকি...???

মেঘনা --- ঠাম তুমি এত চিন্তা করো না,, দেখবে ভাইয়ার মনের মতো ই আমরা কাউকে ঠিক পাবো...

অর্চনা --- আমরা খুজবো ত ঠিক কথা,, কিন্তু তোমরা কি ভুলে গেছো আমাদের অ্যাবের ইচ্ছের কথাটা...

অনিসা --- ভাইয়ার ইচ্ছে অ্যারেঞ্জএর মধ্যেও লাভ থাকবে...

মেঘনা --- আমাদের ভাইয়া আমাদের পছন্দ করা মেয়ের সাথেই আগে ফ্রেন্ডশিপ করবে তারপর লাভ হবে তারপর ম্যারেজ....

আকাশ --- পাগল বলেই এমন কথা বলেছে...

মেঘনা --- এই যে আমার ভাইয়াকে পাগল বলবে না,, তুমিও তো এমনই করেছো ভাইয়ার কথায়...( আকাশের দিকে তাকিয়ে কোমরে হাত দিয়ে বলে )

অর্চনা --- সে আর বলতে,, যখন তোকে দেখে এলাম তখন সারাক্ষণ দুই ভাইয়ের এক রুমে ঢুকে থাকতো...আর এই অনি টাও ( অনিষার মাথায় মেরে ) ওদের সাথে তাল মেলাত...

অনিসা --- উফফফ মম...( মাথায় হাত বুলিয়ে )।।

ললিতা --- ঠিক করেছে অর্চনা...তুই কি কম দুষ্টু নাকি...( আনিষার গালে হাত দিয়ে )

অনিসা --- আমরাই তো আশ ভাইকে প্রেম করতে শেখালেন...( মুচকি হেসে )

আকাশ --- তাই নাকি রে...( আনিশার মাথায় মেরে )

অনিসা --- আশ ভাই ঠিক হচ্ছে না কিন্তু...( দুষ্টু রাগ দেখিয়ে )

মেঘনা --- এই যে তুমি অনি কে কি বলছো,, ওরাই তো আমার সাথে তোমার কথা বলাত...ভুলে গেছো নাকি...

অর্চনা --- ওরা তিন ভাইবোন এরকমই...এখন আবার তুই আর বীর যুক্ত হয়েছিস...( হেসে দিয়ে বলে )

আরব --- দিদিয়া..( মেঘনাকে ) এদিকে এসো...( দূরে দাঁড়িয়ে ডাকে )

আরব মেঘনাকে বৌদি নয় বড়ো দিদি ভাবে তাই দীদিয়া বলে ডাকে...

মেঘনা --- কি হলো ভাইয়া...???( একটু জোরে আরবের দিকে তাকিয়ে )

অর্চনা --- যা দেখ কি বলছে...

আকাশ --- যাও কেন ডাকছে দেখো...( মেঘনা কে বলে )

আরব --- একবার এদিকে এসো দিদিয়া...

মেঘনা যায় আরবের কাছে...আর বলে...

মেঘনা --- বলো কি বলবে ভাইয়া...

আরব --- buddy তুমি তোমার মাম্মার সাথে এখন তোমার গাড়িতে বসবে...( বীরকে মেঘনার কোলে দিয়ে )।। দিদিয়া তুমি বীরকে নিয়ে গাড়িতে বসো...

মেঘনা --- এখনই বসতে হবে...( বীরকে কোলে নিয়ে বলে )

আরব --- ইয়েস,, এখুনি বসতে হবে...চলো চলো...( গাড়ির দরজা খুলে মেঘনা কে নিয়ে )।। ভাই তুইও আয়...( আকাশের দিকে তাকিয়ে )

অনিসা --- ভাই এবার তোমার ডাক পড়েছে যাও...( আকাশের কাঁধে হাত দিয়ে বলে )।।

ললিতা --- যা আশ যা,, তোকেও ডাকছে...

অর্চনা --- তোদের দিয়ে টেস্ট ড্রাইভ করাবে,, যা যা আশ যা...( আকাশকে ধাক্কা দিয়ে )

আকাশ --- ও তো নিজেই টেস্ট ড্রাইভ করতে পারতো...আবার আমার কি দরকার ছিল...

ললিতা --- ইডিয়ট এর মত কথা বলিস না,, বীরের পাপা তুই...যা এখুনি যা...( একটু ধমক দিয়ে )

অর্চনা --- অ্যাব তোর ছেলে নিয়ে থাকে বলেই কিন্তু তোরা স্বামী স্ত্রী ঘুরতে বেড়াতে পারিস বুঝলি...

আকাশ --- মম তুমিও...( আদুরে গলায় বলে )

অর্চনা --- যাবি নাকি মার খাবি...( তেরে যেতেই )

আকাশ --- যাচ্ছি যাচ্ছি...( বলেই দৌড় দেয় )

আকাশ আরবের কাছে যেতেই,, আরব আকাশকে ড্রাইভিং সিটে বসিয়ে দিয়ে গাড়ির চাবি হাতে দিয়ে বলে...

আরব --- যা এবার একটা টেস্ট ড্রাইভ করে আয়...( স্মাইল করে )।। Buddy bye bye...( বীরের দিকে হাত নেড়ে স্মাইল করে )

বির --- তা তা,, অ্যাব...( খুশিতে হাত নেড়ে নেড়ে আবার ফ্লাইং কিস করে )

আরবও ফ্লাইং কিস করে বীরকে...আকাশ সিট বেল্ট লাগিয়ে নিয়ে সবার দিকে একবার তাকিয়ে দেখে নেয়,, আর সবাই খুশি হয়ে by by করতে থাকে... বীর তো খুব খুশি সবাইকে বায় করে...

সবাই --- বায় বীর বায়...( জোরে জোরে খুশিতে হাত নাড়তে নাড়তে বলে )

বীর সবাইকে ফ্লাইং কিস করতে থাকে...মেঘনার কোলে বসে রয়েছে বীর...আকাশ গাড়ি স্টার্ট দেয়...আরব by করতে করতে পিছনে সরে যায়...আকাশ গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যায়...
অনিসা ছুটে আসে আরবের কাছে আর আরবের হাত ধরে বলে...

অনিসা --- ভাইয়া বীরের গাড়িটা দারুন হয়েছে...( খুশি হয়ে বলে )

আরব --- সত্যি তোর পছন্দ হয়েছে অনি..( খুশি হয়ে তাকিয়ে )

অনিসা --- হ্যা রে ভাইয়া..( হেসে )

আনিশার গাল ধরে বলে...

আরব --- তোদের পছন্দ হয়েছে যখন আমিও খুশি হলাম...( স্মাইল করে )

অনিসা --- কিন্তু একটা কথা...

আরব --- কি কথা বল...???

অনিসা --- আমার গাড়িটা বেশি ভালো কিন্তু...( আদুরে ভাবে বলে )

আরব --- তুই না সত্যি পাগলী একটা,, তুই হলি আমাদের একমাত্র ছোট্ট বোন,, তুই বীরের সাথে হিংসে করছিস,,খুব দুষ্টু হয়েছিস কিন্তু ( আনিশার নাক টেনে ধরে বলে )

অনিসা --- ভাইয়া ভালো হচ্ছে না কিন্তু...( আদুরে ভাবে বলে )

আরব --- ওলে বাবা রে আমার ছোট্ট বোন টা রেগে যাচ্ছে...( গাল টিপে আদর করে বলে )।। তুই জানিস তোর জন্যও একটা গিফট আছে...( আনিশার কাঁধ ধরে বলে )

অনিসা --- সত্যি...( খুশি হয়ে )।। কি... কি গিফট শুনি...না না দেখবো... কই দেখি...( হাত সামনে পেতে )

আরব --- সেটার জন্য আমার সাথে এক জায়গায় যেতে হবে...( আনিশার হাত ধরে বলে )

অনিসা --- কোথায় যাবো...??? বল না ভাইয়া...( অবাক হয়ে তাকিয়ে জানতে চায় )

আরব --- যা রেডী হয়ে আয়... আমি রেডি হয়ে আসছি,, তারপর দুজনে বেরোবো...

অনিসা --- আমরা বাইরে যাবো???

আরব --- ইয়েস মাই লিটল সিস...( গালে হাত দিয়ে )... যা তাড়াতাড়ি রেডী হয়ে আয়...

অনিসা --- আমি এখুনি যাচ্ছি ভাইয়া...( খুশি হয়ে আরবকে জড়িয়ে ধরে বলে )

অনিসা ছুটে চলে যায় বাড়ির ভেতরে... আনিশাকে ছুটে ভেতরে ঢুকে যেতে দেখে ললিতা আর অর্চনা অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে...আরব পকেটে হাত দুটো ঢুকিয়ে স্মাইল করতে করতে এগিয়ে আসে অর্চনা আর ললিতার কাছে...

ললিতা --- অনিসা অমন করে ছুটে ভেতরে কেন গেলো রে...???( অবাক হয়ে জানতে চায় )

অর্চনা --- কি প্ল্যানিং হলো শুনি একটু দুই ভাই বোনের...( স্মাইল করে )

আরব --- কোন প্ল্যানিং নয় মম... আমরা দুজন এখন একটু বাইরে যাবো...( পকেটে হাত ঢুকিয়ে দাড়িয়ে বলে )

অর্চনা --- তোদের দুজনের মধ্যে কিছু প্ল্যানিং হয়নি এটা আমায় মানতে হবে,, ভুলে যাস না আমি তোদের মা...তোদের ভালো করেই চিনি আমি...

ললিতা --- নিশ্চয় শপিং এ যাবার প্ল্যানিং হয়েছে...( আরবের দিকে তাকিয়ে )

আরব স্মাইল করে মাথায় হাত বুলিয়ে তাকায় ললিতা আর অর্চনার দিকে...

অর্চনা --- তুমি ঠিক ধরেছো মা,, ওরা এখন শপিং এ যাবে...এই মুখ দেখেই বুঝে গেছি...

ললিতা --- আচ্ছা অ্যাব তুই এই ভাবে সবার birthday তেই এমন করে সবাইকে কেন শপিং করে কিছু না কিছু দিস,, যার birthday তাকে দিলি ঠিক আছে,, তা বলে বাড়ির সবাইকে...

অর্চনা --- এগুলো ঠিক নয় অ্যাব,, এখন থেকে নিজেকে চেঞ্জ কর... এরপর তোর নিজের ফ্যামিলি হবে,, তোর রেসপনসিবিলিটি বাড়বে... তুই যেমন চাইবি সেরকম তোর বউ মেনে নাও তো নিতে পারে...

আরব --- আমার আবার আলাদা কেন ফ্যামিলি হতে যাবে...আমরা তো সবাই একটাই ফ্যামিলি... আর আমি সব সময় সবার জন্যেই থাকবো,, এই ফ্যামিলি আমার জীবন,, আমার শ্বাস...আমি তোমাদের থেকে আলাদা কোন কিছুই ভাবতেই পারিনা...আর আমার বউয়ের কথা বলছো... তাকে আমি আগে থেকেই বলে দেবো,, আমার কাছে আমার ফ্যামিলি সব... আমায় বিয়ে করতে হলে আমার ফ্যামিলিকে ভালো বাসতে হবে,, যদি না পারে তাহলে বিয়ে ক্যান্সেল....( ললিতা আর অর্চনাকে জড়িয়ে ধরে বলে )।। আর তোমরাই তো খুঁজবে তোমাদের বৌমাকে,, আমি থরি খুজবো...তাই আমার মনের কথা তোমরাই বলে দেবে সেই মেয়েকে...আমার এত্তো চিন্তার কিছু নেই...( ললিতা আর অর্চনা কে জড়িয়ে ধরে হেসে বলে )

ললিতা --- ওরে পাগল রে...( আরবের মাথায় হাত বুলিয়ে )

অর্চনা --- আমরা যদি না খুঁজি,, তাহলে কি তুই খুঁজবি না...

আরব --- আমার থেকে ভালো তোমরাই বুঝবে,, আমি তোমাদের উপর সব ছেড়ে দিয়েছি...

ললিতা --- তুই তোর মনের মত মেয়ে খোঁজ আমরা সেই অধিকার তোকে দিয়েছি...কারণ জীবনটা তোর অ্যাব.. তুই তোর জীবন সঙ্গীকে নিজেই পছন্দ করবি...

অর্চনা --- হ্যা রে অ্যাব মা ঠিকই বলেছে...আমরা তোর উপর তোর জীবন সাথী চুজ করার রেসপনসিবিলিটি দিলাম...( আরবকে ধরে বলে )

আরব --- কিন্তু...

ললিতা / অর্চনা --- কোন কিন্তু নয়... যা বলেছি ঠিক বলেছি...( একটু ধমক দিয়ে বলে )

অনিসা --- একী ভাইয়া তুই এখনও রেডী হোসনি... আমি রেডী হয়ে চলে এলাম...( ওদের সবার মাঝে এসে বলে )

আনিশার গলার আওয়াজ পেয়ে সবাই আনিশার দিকে তাকায়,,

আরব --- এই তো এখুনি যাচ্ছি...( দৌড়ে চলে যায় )