আকুতি পর্ব ৩
সারাবাড়ি এখন লোকে লোকারণ্য।সারাদিন বিভিন্ন মানুষের শোকপ্রকাশ আর কান্নাকাটির পর্ব শেষ হওয়ার পর দাদুর দেহ সৎকার সেরে তাতান বিমর্ষ মুখ নিয়ে বিছানায় তার পরিশ্রান্ত দেহ এলিয়ে দিল।হঠাৎ বিদ্যুৎ চমকের মতো একটা কথা মনে আসতেই সে হঠাৎ শোয়া থেকে এক ঝটকায় লাফিয়ে উঠে দাঁড়াল।তারপর দাদুর শুন্য ঘরখানার দিকে দ্রুতবেগে ধাবমান হল।দাদু বেঁচে থাকতে তো সে ঘরখানায় তিনি নিজে ছাড়া দ্বিতীয় মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল।এখন তো আর সেসবের বালাই নেই।দাদু মৃত্যুর আগেই যে পরিবারের সকল সদস্যের মধ্যে সম্পত্তির সমান ভাগ বাঁটোয়ারা করে দিয়ে উইল করে দিয়ে গেছেন সেটা দাদুর মৃত্যুর পরেই তাঁর উকিল মারফৎ সে খবর পেয়ে সবাই এখন মোটামুটিভাবে আশ্বস্ত। অতএব দাদুর সৎকার করে ফেরার সাথে সাথেই সকলের মাথা থেকেই দাদুর সাথে সম্পর্কিত সমস্তরকমের চিন্তাভাবনাও একলহমায় অপ্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। কাজেই তাঁর ব্যবহৃত...