...

1 views

দু - ২
অধ্যায় - ১: ভূমিকা

মানুষের মস্তিষ্ক ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত হ‌ওয়ার পরের দুনিয়াকে
" দু - ২ " হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।
"দু - ২" এমন এক দুনিয়া যা আগের দুনিয়া থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এ দুনিয়ায় নেই কোটি কোটি কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাব, স্মার্টফোন, সিসি ক্যামেরা, আইনজীবী, আদালত, বিচারক, জেলখানা, থানা, পুলিশ, কোর্ট কাচারী, হাসপাতাল, হাটবাজার, চোর, বদমাশ, গুন্ডা, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী, ধর্ষক, খুনী, জঙ্গি, অন্যায় অত্যাচার নির্যাতন অবিচার, শোষণ বঞ্চনা অপমান।
হাসছেন নিশ্চয়ই? এটা কিভাবে সম্ভব?
হ্যাঁ, দু - ২ এ শুধু এটুকু নয় আরও অনেক কিছু অনায়াসে সম্ভব।
"প্রতিটি মানুষ হবে
অসীম ক্ষমতাবান
ইন্টারনেটের সাথে যদি
হয় কানেকশান।"
প্রতিটি মানুষ ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত থাকার কারণে কেউ কাউকে মনে মনে স্মরণ করলেও তার সাথে যুক্ত হতে পারে। শুধু মনের মানুষ নয়, পরিবার পরিজন সহ বিশ্বের সবার সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা সম্ভব কোন বৈদ্যুতিক যন্ত্রের সাহায্য ছাড়াই। ফলে গোসল খানা, শৌচাগার বা নদী সাগর মহাসাগর যেখানেই থাকুক না কেন যে কারো সাথে যোগাযোগ রাখতে পারবে।তাই যে কোন সমস্যায় সাহায্য পাবে সহজেই।
দু- ২ এর দুনিয়া এক আজব দুনিয়া। এখানে গর্ভস্থ শিশুর বয়স সাত মাস হ‌ওয়ার পর‌ই তার মস্তিষ্ক ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত করা হয়। স়ংযুক্ত হ‌ওয়ার সাথে সাথে শিশুটি একটি ইউনিক কোড লাভ করে।এই কোডের ১ম আট অঙ্ক সংযুক্তির তারিখ। এরপর বারো অঙ্ক- ১ম অঙ্ক মহাদেশ ২য় ও ৩য় অঙ্ক দেশ ৪র্থ ও ৫ম অঙ্ক রাজ্য বা বিভাগ ৬ষ্ঠ ও ৭ম অঙ্ক জেলা ৮ম অঙ্ক উপজেলা, ৯ম ও ১০ম অঙ্ক সিটি কর্পোরেশন/ পৌরসভা/ ইউনিয়ন, ১১শ ও ১২শ অঙ্ক ওয়ার্ড নম্বর। সফটওয়্যার এর মাধ্যমে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা সম্ভব হয়। শিশুর অসুবিধা শনাক্ত করে তা সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মা-বাবাকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা সাথে সাথে জানিয়ে দেয়া হয়।

অধ্যায় -2: মৌলিক অধিকার ও উপার্জন

দু - ২ এর জনগণের মৌলিক চাহিদা গুলো হচ্ছে:
১। উপার্জন
২। নিরাপত্তা
৩। খাদ্য
৪। বস্ত্র
৫। বাসস্থান
৬। শিক্ষা
৭। চিকিৎসা
৮। চিত্তবিনোদন
৯। যৌন সম্ভোগ

১। উপার্জন: এখানে প্রথম এবং প্রধান মৌলিক চাহিদা হচ্ছে উপার্জন কারণ উপার্জন থাকলে প্রত্যেক ব্যক্তি তার অন্যান্য চাহিদাগুলো নিজেই পূরণ করতে পারে, কারো গলগ্রহ হয়ে পড়ে থাকতে হয় না বা কারো উপর নির্ভরশীল থাকতে হয় না অর্থাৎ প্রতিটি মানুষ সত্যিকারভাবে স্বাধীন হতে পারে। প্রত্যেকের উপার্জন নিশ্চিত করতে না পারলে ঐ গণতন্ত্র কখনো মানুষকে মুক্তি দিতে পারবে না।
সেখানে প্রতিটি পুরুষ, নারী, বৃদ্ধ এমনকি প্রতিটি শিশু উপার্জন করবে এবং সেই উপার্জন দিয়ে সে তার দৈনন্দিন ভরণপোষণ থেকে শুরু করে জীবনের সমস্ত ব্যয় নির্বাহ করবে। বিশেষ প্রয়োজনে তার আত্মীয়স্বজনরা তাকে দান করবে বা ঋণ দেবে। আত্মীয়-স্বজনের মাঝে এমন কেউ না থাকলে সরকার তাকে ঋণ দেবে এবং তা শোধ করার জন্য প্রয়োজনীয় উপার্জনের ব্যবস্থাও নিশ্চিত করবে।
এখন আসুন, একজন শিশু কিভাবে উপার্জন করবে?
বয়স অনুযায়ী প্রতিটি মানুষের দৈনন্দিন কর্মসূচি থাকবে। সে সব কর্মকাণ্ড যথাসময়ে ও যথাযথ ভাবে সম্পাদন করলে সে নির্ধারিত...