অবাঞ্ছিত প্রেম (সমকামী ভালোবাসা)🔞
নিশার আজ ফুলশয্যা। ফুলশয্যার খাট নানা রকম মনোরম ফুল দিয়ে সজ্জিত। সেই সজ্জিত খাটের মধ্য স্থানে বসে রয়েছে নববধূ নিশা। মনে মনে সে বিবাহের প্রথম রাতের বহু চিত্র কল্পনা করে চলেছে। সে স্বপ্নের জগতে ভাসমান। স্বপ্নে সে তার স্বামী সঙ্গে প্রেম আলাপে রত। অয়ন তার মাথার লম্বা লাল চেলি ঘোমটা খানি খুলে সবেমাত্র তার লাল রঙের ঠোঁটের উপর নিজের গোলাপি রঙের ঠোঁট মিশিয়ে দিল। ভালোবাসার চুম্বনে নিশাকে ভরিয়ে দিতে যাবে এমন সময় নিশার কানে এলো দরজা খোলার শব্দ। নিশার স্বপ্নের ঘোর কেটে গিয়েছে। সে দেখলো এখন সত্যি সত্যি অয়ন ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে দরজা টা বন্ধ করে দিলো। তারপর অয়ন এগিয়ে আসলো ফুলশয্যার খাটের কাছে। নিশার পাশে বসে অয়ন নিশাকে বলল -তুমি এবার ঘোমটা টা খুলে ফেলো আর যাও গিয়ে চেঞ্জ করে দাও। আজ আমাদের কোন ফুলশয্যা হবে না কারণ………
যে কথাটা বলার জন্য উদগ্রীব হয়েছিল সেই কথাটি তার গলায় কাছে কাঁটার ন্যায় বৃদ্ধে লাগলো।
নিশা কিছু বুঝতে না পারে সে নিজের ঘোমটা খুলে অয়নকে জিজ্ঞাসা করে-অয়ন দা তুমি এসব কি বলছ? আমি যে তোমার বিবাহিত স্ত্রী। তাহলে আমাদের ফুল সজ্জা কেন হবে না? বলো আমায় বলো।
অয়ন নিজের আড়ষ্টতা ভেঙে বলতে লাগলো- কারণ আমি এক এক অন্য....….
নিশা বলে- তুমি এক কি? তারপর বলো তুমি কি? এক অন্য নারীতে আসক্ত?
অয়ন বলে- না । আমি এক পুরুষে আসক্ত।
নিশা বলে -মানে কি? এর মানে কি? তার মানে তুমি কি সমকামী?
অয়ন বলে - হ্যাঁ আমি সমকামী। হ্যাঁ আমি হোমোসেক্সুয়ালিটি।
অয়ন অশ্রু ভরা জল এবং উত্তেজিত হয়ে বলে- হ্যাঁ, আমি আমার মত দেখতে একজন পুরুষকে ভালোবাসি। তোমাকে বিয়ে করার জন্য আমি তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থী। আমি তোমাকে কোনদিন স্বামীর মত করে ভালবাসা দিতে পারবো না ,তুই পারলে আমায় ক্ষমা করে দিস।
নিশা বলে-তাহলে তুমি আমায় বিয়ে করেছিলে কেন? যদি তুমি আমায় নিজের ভালোবাসায় না দিতে পারো? যদি তুমি আমাকে স্ত্রী হিসেবে স্বীকার না করো? তাহলে আমায় বিয়ে করেছিলে কেন?
নিশা অয়নের দিকে বেশ কিছু প্রশ্ন ছুড়ে দেয়।
অয়ন সেই প্রশ্নগুলোকে সম্মান জানিয়ে উত্তর দেয় একে একে - আমি তোমাকে বিয়ে করেছি, শুধুমাত্র আমার বাবার কথায়। তোমার বাবা তো আমার বিষয়ে সমস্তটা জানতেন কিন্তু তা সত্বেও তিনি তোমাকে আমার সঙ্গে বিয়ে কেন দিলেন? তোমার বাবা তোমাকে একটা খেলার পুতুল হিসেবে ব্যবহার করেছে। কথাগুলো শুনতে খারাপ লাগলে ও এটাই সত্য, এটাই বাস্তব। আর আমার বিয়ে হয়েছে শুধুমাত্র এই বংশের রক্ষা করার জন্য। একজন উত্তরাধিকারের জন্য। আমাদের বিয়েটা শুধুমাত্র একটা কন্টাক্ট। এক বছরের। যতদিন না তুমি আমাদের বংশের বংশধরকে পৃথিবীর আলো দেখাচ্ছ। ততদিন আমি তোমার স্বামী হয়ে থাকবো এরকমটাই কন্টাক্ট হয়েছিল ,তোমার বাবার সঙ্গে আমার বাবার। আমি এটুকুই জানি এর বেশি কিছু জানিনা।
নিশা এবার নিজের দু চোখের বারিধারা বহিয়ে দিয়ে বলতে লাগল- তুমি যতক্ষণ সব জানতে, তাহলে আমায় বিয়ের আগে কেন বললে না? সবকিছু তাহলে হয়তো এই দিনটা আমাদের দেখতে হতো না, অয়ন তুমি ও শুনে রাখো আমার একটা কথা। আমি তোমাকে একজন প্রকৃত পুরুষ বানিয়ে তুলবো , যেদিন আমি তোমাকে এই সমকামিতার মায়াজাল থেকে বের করে আনতে পারব ,সেদিনই হবে আমাদের ফুলশয্যার রাত। তুমি সেই দিনের জন্য প্রস্তুত থাকো, আমি তোমাকে কথা দিলাম।
অয়ন বলে- তুমি যদি সত্যিই আমাকে এই সমকামিতার মায়াজাল থেকে বের করে আনতে পারো, তাহলে আমি তোমার সঙ্গে ফুলশয্যার রাত কাটাবো। আর তোমার গর্ভেই আসবে আমাদের বংশের উত্তরসূরি।
এই কথা বলে অয়ন টাওয়াল আর জামা প্যান্ট নিয়ে চলে যেতে যায় ওয়াশরুমে ,তখনই নিশা তাকে পেছন থেকে হাত ধরে টানে আর বলে- দাঁড়াও একটু নয়ন দা। নিজের পরনের পোশাকটা তো এখানে ছেড়ে যাও।
অয়ন -এখানে মানে কি ? আমি কী তোর সামনে ধুতি পাঞ্জাবি খুলবো। না ,না এ আমি কিছুতেই করতে পারব না।
নিশা বলে-কিন্তু আজ যে তোমাকে এখানেই নিজের পোশাক খুলে টাওয়াল পড়ে বাথরুমে যেতে হবে।
অয়ন -কিন্তু কেন? আমার যে খুব লজ্জা করবে তোর সামনে ড্রেস চেঞ্জ করতে টাওয়াল পরতে।
নিশা বলে-আমি তো তোমার স্ত্রী আমার সামনে লজ্জা কি? তুমি যদি কাপুরুষ না হয়ে থাকো তাহলে তুমি আমার সামনেই নিজের পোশাক খুলে টাওয়াল পড়ে ওয়াশরুমে যাবে।
নাকি আমি খুলে দেবো।
অয়ন বলে- না থাক ,তোকে খুলতে হবে না আমি খুলে নিচ্ছি।
এরপর অয়ন নিজের চোখ বন্ধ করে পাঞ্জাবির প্রতাপ খুলে পাঞ্জাবি টি খুলে ফেলে তারপর ধুতি টি খুলে ফেলে। এরপর টাওয়াল পড়ে ওয়াশরুমে চলে যায়।
কিন্তু নিশা অয়নকে দেখে এই অবস্থাতে হাসলেও তার চলে যাওয়ার পর সে আবার কান্না শুরু করে। এ কি হল তার জীবনে? সে কি কোনদিনও পাবি নিজের স্বামীর ভালোবাসা? সমকামিতার মায়াজাল থেকে কি অয়নকে বের করে আনতে পারবে নিশা? নিশার বাবা ওর সঙ্গে এমনটাই বা করলো কেন? আর অয়ন কার সঙ্গেই বা সমকামিতায় জড়িত?
© বিশ্বজিৎ হালদার (কলমে বিশু)
যে কথাটা বলার জন্য উদগ্রীব হয়েছিল সেই কথাটি তার গলায় কাছে কাঁটার ন্যায় বৃদ্ধে লাগলো।
নিশা কিছু বুঝতে না পারে সে নিজের ঘোমটা খুলে অয়নকে জিজ্ঞাসা করে-অয়ন দা তুমি এসব কি বলছ? আমি যে তোমার বিবাহিত স্ত্রী। তাহলে আমাদের ফুল সজ্জা কেন হবে না? বলো আমায় বলো।
অয়ন নিজের আড়ষ্টতা ভেঙে বলতে লাগলো- কারণ আমি এক এক অন্য....….
নিশা বলে- তুমি এক কি? তারপর বলো তুমি কি? এক অন্য নারীতে আসক্ত?
অয়ন বলে- না । আমি এক পুরুষে আসক্ত।
নিশা বলে -মানে কি? এর মানে কি? তার মানে তুমি কি সমকামী?
অয়ন বলে - হ্যাঁ আমি সমকামী। হ্যাঁ আমি হোমোসেক্সুয়ালিটি।
অয়ন অশ্রু ভরা জল এবং উত্তেজিত হয়ে বলে- হ্যাঁ, আমি আমার মত দেখতে একজন পুরুষকে ভালোবাসি। তোমাকে বিয়ে করার জন্য আমি তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থী। আমি তোমাকে কোনদিন স্বামীর মত করে ভালবাসা দিতে পারবো না ,তুই পারলে আমায় ক্ষমা করে দিস।
নিশা বলে-তাহলে তুমি আমায় বিয়ে করেছিলে কেন? যদি তুমি আমায় নিজের ভালোবাসায় না দিতে পারো? যদি তুমি আমাকে স্ত্রী হিসেবে স্বীকার না করো? তাহলে আমায় বিয়ে করেছিলে কেন?
নিশা অয়নের দিকে বেশ কিছু প্রশ্ন ছুড়ে দেয়।
অয়ন সেই প্রশ্নগুলোকে সম্মান জানিয়ে উত্তর দেয় একে একে - আমি তোমাকে বিয়ে করেছি, শুধুমাত্র আমার বাবার কথায়। তোমার বাবা তো আমার বিষয়ে সমস্তটা জানতেন কিন্তু তা সত্বেও তিনি তোমাকে আমার সঙ্গে বিয়ে কেন দিলেন? তোমার বাবা তোমাকে একটা খেলার পুতুল হিসেবে ব্যবহার করেছে। কথাগুলো শুনতে খারাপ লাগলে ও এটাই সত্য, এটাই বাস্তব। আর আমার বিয়ে হয়েছে শুধুমাত্র এই বংশের রক্ষা করার জন্য। একজন উত্তরাধিকারের জন্য। আমাদের বিয়েটা শুধুমাত্র একটা কন্টাক্ট। এক বছরের। যতদিন না তুমি আমাদের বংশের বংশধরকে পৃথিবীর আলো দেখাচ্ছ। ততদিন আমি তোমার স্বামী হয়ে থাকবো এরকমটাই কন্টাক্ট হয়েছিল ,তোমার বাবার সঙ্গে আমার বাবার। আমি এটুকুই জানি এর বেশি কিছু জানিনা।
নিশা এবার নিজের দু চোখের বারিধারা বহিয়ে দিয়ে বলতে লাগল- তুমি যতক্ষণ সব জানতে, তাহলে আমায় বিয়ের আগে কেন বললে না? সবকিছু তাহলে হয়তো এই দিনটা আমাদের দেখতে হতো না, অয়ন তুমি ও শুনে রাখো আমার একটা কথা। আমি তোমাকে একজন প্রকৃত পুরুষ বানিয়ে তুলবো , যেদিন আমি তোমাকে এই সমকামিতার মায়াজাল থেকে বের করে আনতে পারব ,সেদিনই হবে আমাদের ফুলশয্যার রাত। তুমি সেই দিনের জন্য প্রস্তুত থাকো, আমি তোমাকে কথা দিলাম।
অয়ন বলে- তুমি যদি সত্যিই আমাকে এই সমকামিতার মায়াজাল থেকে বের করে আনতে পারো, তাহলে আমি তোমার সঙ্গে ফুলশয্যার রাত কাটাবো। আর তোমার গর্ভেই আসবে আমাদের বংশের উত্তরসূরি।
এই কথা বলে অয়ন টাওয়াল আর জামা প্যান্ট নিয়ে চলে যেতে যায় ওয়াশরুমে ,তখনই নিশা তাকে পেছন থেকে হাত ধরে টানে আর বলে- দাঁড়াও একটু নয়ন দা। নিজের পরনের পোশাকটা তো এখানে ছেড়ে যাও।
অয়ন -এখানে মানে কি ? আমি কী তোর সামনে ধুতি পাঞ্জাবি খুলবো। না ,না এ আমি কিছুতেই করতে পারব না।
নিশা বলে-কিন্তু আজ যে তোমাকে এখানেই নিজের পোশাক খুলে টাওয়াল পড়ে বাথরুমে যেতে হবে।
অয়ন -কিন্তু কেন? আমার যে খুব লজ্জা করবে তোর সামনে ড্রেস চেঞ্জ করতে টাওয়াল পরতে।
নিশা বলে-আমি তো তোমার স্ত্রী আমার সামনে লজ্জা কি? তুমি যদি কাপুরুষ না হয়ে থাকো তাহলে তুমি আমার সামনেই নিজের পোশাক খুলে টাওয়াল পড়ে ওয়াশরুমে যাবে।
নাকি আমি খুলে দেবো।
অয়ন বলে- না থাক ,তোকে খুলতে হবে না আমি খুলে নিচ্ছি।
এরপর অয়ন নিজের চোখ বন্ধ করে পাঞ্জাবির প্রতাপ খুলে পাঞ্জাবি টি খুলে ফেলে তারপর ধুতি টি খুলে ফেলে। এরপর টাওয়াল পড়ে ওয়াশরুমে চলে যায়।
কিন্তু নিশা অয়নকে দেখে এই অবস্থাতে হাসলেও তার চলে যাওয়ার পর সে আবার কান্না শুরু করে। এ কি হল তার জীবনে? সে কি কোনদিনও পাবি নিজের স্বামীর ভালোবাসা? সমকামিতার মায়াজাল থেকে কি অয়নকে বের করে আনতে পারবে নিশা? নিশার বাবা ওর সঙ্গে এমনটাই বা করলো কেন? আর অয়ন কার সঙ্গেই বা সমকামিতায় জড়িত?
© বিশ্বজিৎ হালদার (কলমে বিশু)