...

2 views

গল্প:খিস্তির প্রথম ও শেষ ।
গল্প:খিস্তির প্রথম ও শেষ ।

তখন কলেজে উঠেছি, যাকে বলে উঠতি বয়েস, অনেককে কথার মাঝে মাঝে অলঙ্কার হিসাবে কিছু অশ্লীল শব্দ জুড়ে নিজেদের বড় হ‌ওয়াকে প্রতিষ্ঠা দেওয়ার চেষ্টা পেতে শুরু করেছে দেখতাম। আমার কানে ওগুলো খুব খারাব ই লাগত কেননা আমাদের সব সময় মা কাকিমারা বলতেন মিথ্যা বলেনা, খারাপ কথা বলেনা , না বলে কারোর জিনিস নেয়না ইত্যাদি। এমন কি আমাদের ঘরে বে , ওবে ,আবে ধরণের শব্দগুলো যেগুলো রাখাল, বাগাল রা প্রায়‌ই ব্যাবহার করত তা খারাপ হিসাবেই ধরা হত তাই নিষিদ্ধ ছিল যা এখন শহরে এসে স্কুল বাচ্চাদের মধ্যে ও প্রায়‌ই শুনতে হয় । আমাদের বাচ্চা ও বাদ নয়। তবে ওদের বোঝানোতে অন্তত আমাদের সামনে বলেনা।
যা হোক এরকম দেখতে শুনতে সে সময় একদিন আমার ও মনে হয়েছিল ঐ ঢ‌ঙে একটু আধটু কথা বলব। তা আমি আর আমার যে বন্ধু একসঙ্গে সাইকেলে করে যাতায়াত করতাম সেদিন শণিবার প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস করে তাড়াতাড়ি ছুটি হ‌ওয়ায় বাড়ীর দিকে র‌ওনা দিয়েছি। কলেজ থেকে মেন রোড প্রায় 500 মিটার চড়াই তাই হেঁটে হেঁটে চলছি। হঠাৎ আমি বন্ধুটাকে একটা ছোট্ট খিস্তি অলঙ্কার হিসাবে জুড়ে কিছু বলেছি। বলেই যেন একটু বীরত্ব বোধ করে এদিক ওদিক ঘাড় উঁচু করে পৌরুষ ফলাতে তাকাতেই দেখি প্রায় 50 ফুট পিছনে ঐ স্যার যিনি প্র্যাকটিক্যাল করিয়েছিলেন তিনি ও তাঁর সাইকেল হাঁটিয়ে আসছেন। আমার উঁচু ঘাড় লজ্জায় নীচু হয়ে গেছে তৎক্ষনাৎ, স্যার ঐ অলঙ্কার যদি শুনে থাকেন কি ভাববেন এই ভেবে। যদিও আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করিনি, তিনি কোন প্রতিক্রিয়া ও দেননি এমন কি আজ ও আমি নিশ্চিত আছি নয় উনি শুনেছেন কিনা তবু সেইদিন ই ঐ বীরত্বের শেষ হল। আর কখনো ওমূখো হ‌ইনি। একবার চাকরি জীবনে আমার কোয়ার্টারের সামনে ভীষণ রকম অশ্লীল শব্দ জোরে জোরে বলার প্রতিবাদ করে মার পিটে জড়িয়ে পড়েছিলাম। এখনো যেখানে সেখানে নোংরা শব্দ যাতে মা বোনেদের সম্ভ্রম নষ্ট করার মত ঘৃণিত শব্দের কথা বার্তা কানে এলে ভীষণ কষ্ট পায়, এমন কি চাকরির জায়গাতে ও কখনো কখনো বড় এক্সিকিউটিভ দের ও এরকম অলঙ্কার যুক্ত কথা বার্তা কানে এসেছে ,বলতে দ্বিধা নেই যার বেশীর ভাগ ঝারখন্ড, বিহার ,ইউ পির লোক।
চা দোকান, রাস্তার কালর্ভাট,রকে আমি কখনো বসি না এই ঘেন্নায় ।
কিন্তু সর্বত্র কত আর প্রতিবাদ করা যায় ?
তবে আমাদের দেশের প্রধান মন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদিজি পথে ঘাটে গালি গালাজ রুখতে আইন আনবেন বলে শুনেছিলাম মনে হচ্ছে, তাতে আমি খুব খুশি , আশা করব তাঁর নেওয়া স্বচ্ছতা মিশনের মত পথ ঘাট কুশব্দ মুক্ত হয়ে মা বোন সহ সবার চলার পথ সুশব্দময় সুগম ও সৌরভ ময় হয়ে উঠবে একদিন।

**KRN**
21.06.2024.T
Writco: 23.06.2024
© Don't KR