কেন এক্সপ্রেস ট্রেনে চড়তে আমার ভালো লাগে
এক্সপ্রেস ট্রেনে চড়তে আমার ভীষণ ভালো লাগে। এর পিছনে বহু কারণ আছে।
প্রথমত: এক্সপ্রেস ট্রেন বা দূরপাল্লার ট্রেন নির্দিষ্ট কিছু স্টেশনে থামে; সব স্টেশনে নয়। এই যে যখন অন্যান্য স্টেশনের উপর দিয়ে ট্রেন ঝড়ের গতিতে চলে যায় ওই সময়ে আমার কেমন একটা অহংকার-অহংকার ভাব লাগে। এই ভেবে যে, স্টেশনের সব লোক দেখছে কী একটা ট্রেন ঝড়ের গতিতে ছুটে চলে যাচ্ছে আমাদের পাত্তা না দিয়ে। আর ঐ স্টেশন পার করার সময় ড্রাইভার সাহেব ক্রমাগত হন দিতে থাকেন। তো সেই একরকম শিস্ বাজিয়ে বাজিয়ে সাইক্লোনের গতিতে এগিয়ে যাওয়া.... এটা আমার বেশ লাগে।
দ্বিতীয়ত: যখন কোনো ধীর গতির ট্রেন বা লোকাল ট্রেনের পাশ দিয়ে আমাদের এক্সপ্রেস ট্রেন যায়, উফ! তখন আমার অহংকার বোধটা যেন আকাশের চাঁদ ছুঁয়ে নেয়। মন আমার খুব বলে লোকাল ট্রেনের যাত্রীদের উদ্দেশ্যে---- দ্যাখ তোরা কেমন ধীরে ধীরে যাচ্ছিস আর আর আমরা কত জোরে জোরে যাচ্ছি। লোকাল ট্রেনের যাত্রীরা হয়ত কেউ জানালার ফাঁক দিয়ে নয়তো দরজার কাছে এসে আমাদের ট্রেনটা দ্যাখে, ট্রেনেরর নাম কী পড়ে, কোথা থেকে কোথায় যাচ্ছে পড়ে---- তো তাদের এই রকম-সকম দেখে আমার ভারী ভালো লাগে। আমার যেন মনে হয় আমরা কত মহান। আমরা কী না কী একটা ট্রেনে উঠেছি যার জন্য অন্য মানুষদের দেখার এত আকুলতা।
তৃতীয়ত:এমন অনেক জায়গা আছে যেখান থেকে অন্য জায়গায় লোকাল ট্রেনও চলে আবার এক্সপ্রেস ট্রেনও চলে।সেই সমস্ত জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে ধরা যাক দুই-তিন ঘন্টা সময় লাগে (বিভিন্ন জায়গার জন্য সময়ের বিভিন্নতা হতে পারে)।এখন এমন দূরত্ব দূরপাল্লার ট্রেনে যেতে আমি বেশি পছন্দ করি।তার প্রধান কারণ হলো সময়ের সাশ্রয়। অর্থাৎ যাকে বলে সময় কম লাগা।
কোনো জিনিসের প্রতি ভালবাসার পিছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে তো আমার ক্ষেত্রেও ব্যাপারটি তেমনই। যাইহোক আরো বহু কারণ এর মধ্যে থেকে চতুর্থ কারণটি বলে লেখা শেষ করছি। সেটি হল---- যে স্টেশন থেকে এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠি
সেই ট্রেনে ওঠার আগে নির্ধারিত প্ল্যাটফর্মের উপর দিয়ে ব্যাগ-পত্তর নিয়ে হেঁটে যেতে আমার বেশ ভালো লাগে। ব্যাপারটা ঠিক এমন----- পাশেই দাঁড়িয়ে আছে এক্সপ্রেস ট্রেন আর তার পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে আমি এবং মিলিয়ে দেখছি টিকিটের সঙ্গে কোন কামরায় আমার সিট পড়েছে। তো সেই হেঁটে যাওয়ার মধ্যে যেন একটা রাজকীয় রাজকীয় ভাব ফুটে ওঠে। অথচ বিশ্বাস করুন আমার পোশাক কিন্তু কোন জাঁকজমকে ভরা থাকেনা বা এমন কোনো হাই-ফাই ড্রেস পড়তেও আমি ভালোবাসি না। কিন্তু ওই যে তবুও বললাম এক্সপ্রেস ট্রেনের পাশ দিয়ে হেঁটে যেতেই যেন কেমন লাগে! ওই হেঁটে যাওয়ার সময়ই যেন আমার মন এই ভাব প্রকাশ করতে থাকে যে, একটা চলমান রাজপ্রাসাদে ওঠার জন্য প্রস্তুত হ অর্ঘ্যদীপ।
--- অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী
© arghyadeepchakraborty
প্রথমত: এক্সপ্রেস ট্রেন বা দূরপাল্লার ট্রেন নির্দিষ্ট কিছু স্টেশনে থামে; সব স্টেশনে নয়। এই যে যখন অন্যান্য স্টেশনের উপর দিয়ে ট্রেন ঝড়ের গতিতে চলে যায় ওই সময়ে আমার কেমন একটা অহংকার-অহংকার ভাব লাগে। এই ভেবে যে, স্টেশনের সব লোক দেখছে কী একটা ট্রেন ঝড়ের গতিতে ছুটে চলে যাচ্ছে আমাদের পাত্তা না দিয়ে। আর ঐ স্টেশন পার করার সময় ড্রাইভার সাহেব ক্রমাগত হন দিতে থাকেন। তো সেই একরকম শিস্ বাজিয়ে বাজিয়ে সাইক্লোনের গতিতে এগিয়ে যাওয়া.... এটা আমার বেশ লাগে।
দ্বিতীয়ত: যখন কোনো ধীর গতির ট্রেন বা লোকাল ট্রেনের পাশ দিয়ে আমাদের এক্সপ্রেস ট্রেন যায়, উফ! তখন আমার অহংকার বোধটা যেন আকাশের চাঁদ ছুঁয়ে নেয়। মন আমার খুব বলে লোকাল ট্রেনের যাত্রীদের উদ্দেশ্যে---- দ্যাখ তোরা কেমন ধীরে ধীরে যাচ্ছিস আর আর আমরা কত জোরে জোরে যাচ্ছি। লোকাল ট্রেনের যাত্রীরা হয়ত কেউ জানালার ফাঁক দিয়ে নয়তো দরজার কাছে এসে আমাদের ট্রেনটা দ্যাখে, ট্রেনেরর নাম কী পড়ে, কোথা থেকে কোথায় যাচ্ছে পড়ে---- তো তাদের এই রকম-সকম দেখে আমার ভারী ভালো লাগে। আমার যেন মনে হয় আমরা কত মহান। আমরা কী না কী একটা ট্রেনে উঠেছি যার জন্য অন্য মানুষদের দেখার এত আকুলতা।
তৃতীয়ত:এমন অনেক জায়গা আছে যেখান থেকে অন্য জায়গায় লোকাল ট্রেনও চলে আবার এক্সপ্রেস ট্রেনও চলে।সেই সমস্ত জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে ধরা যাক দুই-তিন ঘন্টা সময় লাগে (বিভিন্ন জায়গার জন্য সময়ের বিভিন্নতা হতে পারে)।এখন এমন দূরত্ব দূরপাল্লার ট্রেনে যেতে আমি বেশি পছন্দ করি।তার প্রধান কারণ হলো সময়ের সাশ্রয়। অর্থাৎ যাকে বলে সময় কম লাগা।
কোনো জিনিসের প্রতি ভালবাসার পিছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে তো আমার ক্ষেত্রেও ব্যাপারটি তেমনই। যাইহোক আরো বহু কারণ এর মধ্যে থেকে চতুর্থ কারণটি বলে লেখা শেষ করছি। সেটি হল---- যে স্টেশন থেকে এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠি
সেই ট্রেনে ওঠার আগে নির্ধারিত প্ল্যাটফর্মের উপর দিয়ে ব্যাগ-পত্তর নিয়ে হেঁটে যেতে আমার বেশ ভালো লাগে। ব্যাপারটা ঠিক এমন----- পাশেই দাঁড়িয়ে আছে এক্সপ্রেস ট্রেন আর তার পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে আমি এবং মিলিয়ে দেখছি টিকিটের সঙ্গে কোন কামরায় আমার সিট পড়েছে। তো সেই হেঁটে যাওয়ার মধ্যে যেন একটা রাজকীয় রাজকীয় ভাব ফুটে ওঠে। অথচ বিশ্বাস করুন আমার পোশাক কিন্তু কোন জাঁকজমকে ভরা থাকেনা বা এমন কোনো হাই-ফাই ড্রেস পড়তেও আমি ভালোবাসি না। কিন্তু ওই যে তবুও বললাম এক্সপ্রেস ট্রেনের পাশ দিয়ে হেঁটে যেতেই যেন কেমন লাগে! ওই হেঁটে যাওয়ার সময়ই যেন আমার মন এই ভাব প্রকাশ করতে থাকে যে, একটা চলমান রাজপ্রাসাদে ওঠার জন্য প্রস্তুত হ অর্ঘ্যদীপ।
--- অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী
© arghyadeepchakraborty