...

1 views

নারী স্বাধীনতা=যৌনতার উদযাপন?
//নারী স্বাধীনতা=যৌনতার উদযাপন?//


সমাজটা কোন্ তলানিতে এসে পৌঁছেছে, তাই ভাবি মাঝে মাঝে। আধুনিকতার ধুয়া তুলে যে সকল নারী বক্ষ প্রদর্শন করে শাড়ি পরেন, তাঁদের সেই কাজকে সমর্থন জানাতে পারেন নি অভিনেত্রী মমতাশঙ্কর। তিনি বলেছিলেন, এরকমভাবে শাড়ি তো রূপোপজীবিনীরা পরেন (যদিও সেটা পেশার খাতিরেই, এবং বাধ্য হয়েই), কিন্তু সাধারণ মেয়েরা কোনো কারণ ছাড়াই কেন এমনভাবে শাড়ি পরবেন? মমতাশঙ্কর তাঁর বক্তব্যে বলেছেন, তিনি বারাঙ্গনাদের যথোচিত সম্মান করেই এই তুলনাটি করছেন। তার সঙ্গে তিনি এও বলেছেন যে, বিনা কারণে শুধুমাত্র নিজেদের বিকৃত যৌন মানসিকতার উদযাপন করতে যে সকল নারী এমনভাবে শরীর দেখিয়ে শাড়ি পরেন, তাঁরা নিজেদের সম্মান নিজেরাই নষ্ট করছেন এবং এর জন্য যদি তাঁরা কোনোভাবে কোনো সামাজিক কটূকাটব্যের সম্মুখীন হন, তবে তার দায় একান্তভাবে তাঁদেরই।

এই কথাগুলি মমতাশঙ্কর ঠিকই বলেছেন। ওঁর এই বক্তব্য কোনো অংশেই ভুল নয়। আমি তো গত দশ বছর‌ ধরে এই একই কথা বলে আসছি যে, এখন আধুনিক মেয়েরা যেভাবে শাড়ি পরেন, তাতে বারবিলাসিনীরাও লজ্জা পাবেন! কিন্তু তাতে কার কী! বেশি কিছু বলতে গেলেই তো শুনতে হয়, ‘সব পুরুষই আসলে পোটেনশিয়াল রেপিস্ট!’ তাই চুপ করে থাকাই শ্রেয় মনে করি আজকাল। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে যে নিরন্তর অসম্মান সহ্য করতে হচ্ছে মমতাশঙ্করকে, যেভাবে তাঁর মন্তব্যে ‘গেল-গেল রব’ উঠেছে সমাজের একটি অংশে, তাতে করে কয়েকটি কথা না বলেও পারছি না।

হঠাৎ দেখলাম, একদল নিকৃষ্ট নেড়িবাদী নেড়ি কুকুরের ন্যায় মমতাশঙ্করের মা-মাসি এক করে দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন। এঁরা বেশিরভাগই ফেসবুক বিপ্লবী, যদিও এঁরা নিজেদের চে গ্যাভারা বা ফিডেল ক্যাসট্রোর চেয়েও বেশি বড় বিপ্লবী বলে মনে করেন। এখনও তাঁরা সামাজিক মাধ্যমে ও সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁদের বিষোদ্গার জারি রেখেছেন। এঁদের মধ্যে সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা যেমন আছেন, তেমনই বয়স্ক নারীরাও আছেন। কিছু অত্যন্ত অসভ্য আধুনিক যুবতীও আছেন, যাঁরা নিজেদের সমাজের কেউকেটা মনে করেন। আছেন কিছু লেখিকা, যাঁদের লেখা কস্মিনকালেও কেউ পড়েন না। তাই ফ্রাস্ট্রু খেয়ে তাঁরা মমতাশঙ্করকে আক্রমণ করছেন। আছেন এক সিড়িঙ্গে ববচুল মনোবিদ, যিনি মনোবিদ কম, পুরুষবিদ্বেষী বেশি। মনোবিদ হিসেবে তাঁর পসার এতটাই তলানিতে এসে ঠেকেছে যে তাঁকে পুরুষ বিদ্বেষী কথাবার্তা বলে লাইমলাইটে থাকতে হয়। তাঁকে দেখলেই আমার পেটের ভেতর থেকে হাসি উঠে আসে! এঁদের মধ্যে রয়েছেন একজন এমন অভিনেত্রীও, যিনি তাঁর কর্ম, আচরণ, ব্যবহার এবং বক্তব্যে বরাবরই নিজেকে লালবাতি এলাকার মেয়েদের থেকেও নীচু প্রমাণ করে এসেছেন, এবারেও করলেন। তিনি বলে বসলেন, তিনিও একদিন ব্রা-র সঙ্গে শাড়ি পরে বুকের আঁচল সরিয়ে ক্লিভেজ দেখিয়ে হাতে পানপাত্র আর সিগারেট নিয়ে ল্যাম্পপোস্টের তলায় দাঁড়িয়ে মমতাশঙ্করের বক্তব্যকে খণ্ডন করবেন, কারণ তাঁর নাকি মনে হয়েছে, মমতাশঙ্কর তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে গণিকাদের অপমান করেছেন। অবিশ্যি তাঁর সামান্যতম মনুষ্যত্ববোধ আছে কিনা, সে বিষয়েই আমি ঘোর সন্দিহান! তাছাড়া তিনি আবার একদা কোনো এক দোকান থেকে জিনিস চুরি করার ব্যাপারেও অভিযুক্ত হয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। শাড়ির আঁচল নামিয়ে আর শয্যাদৃশ্যে অভিনয় করেই তিনি বিখ্যাত হয়েছেন। তাই তাঁর কথাকে পাত্তাই দিই না! কিছু নোংরা, আনকালচার্ড, আনএজুকেটেড মেয়ে (এদের বেশিরভাগেরই গুরু কার্ল মার্ক্স) আবার সরাসরি পাতলা শিফন শাড়ি পরে বুকের আঁচল সরিয়ে ব্রা অথবা ব্রা-কাটিং ব্লাউজ পরে ক্লিভেজ দেখিয়ে ল্যাম্পপোস্টের তলায় দাঁড়িয়ে মমতাশঙ্করকে গালাগালিপূর্বক ছবি আপলোডও শুরু করে দিলেন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোয়। কিছু ‘বাপে-খ্যাদানো মায়ে-তাড়ানো হাড়-হাভাতে রাম-ফক্কড়’ সেল্ফ প্রোক্লেইমড্ আর্টিস্ট ল্যাম্পপোস্টের নীচে ব্রা ও শাড়ি পরিহিত অবস্থায় স্তন ও স্তনবিভাজিকা প্রদর্শনপূর্বক ধূমপানরত নারীর ছবিও এঁকে ফেললেন! উদ্দেশ্য? পোতিবাদ গো কত্তা! পোতিবাদ! তবে এঁদের আসল উদ্দেশ্য মমতাশঙ্করকে হেয় করা! কিন্তু এভাবে যে তাঁরা নিজেরাই হেয় প্রতিপন্ন হয়ে গেলেন জনমানসে, সেটাই তাঁরা বুঝলেন না! বেশি চালাক তো! আবার কলকাতার একটা বহুল প্রচলিত সংবাদপত্র এক রোব্বারে তাদের সাপ্তাহিক ট্যাবলয়েডে এই শাড়ির আঁচল ও ল্যাম্পপোস্ট বিতর্ক নিয়ে কুড়ি পাতার গাঁজাখুরি প্রচ্ছদকাহিনী ছেপে কিছু অসম্ভব অসভ্য নেড়িবাদীদের (পুরুষ, নারী দুই লিঙ্গেরই) দিয়ে মমতাশঙ্করের প্রতি চোখা চোখা বাক্যবাণ হেনে নিজেদেরই কলুষিত করলেন! সত্যি, মাঝে মাঝে ভাবি যে সত্যের জোর কতখানি! তা না হলে আজ মিথ্যাবাদী বর্বরদের এতখানি প্রতিবাদ চোখে পড়ত কি!

অন্যদিকে মমতাশঙ্করের বক্তব্যকে সমর্থন ও সাধুবাদ জানিয়েছেন অভিনেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়।

যাঁরা মমতাশঙ্করকে অসম্মান করলেন, তাঁরা এটা ভেবে দেখলেন না, মমতাশঙ্কর ঠিক কী বলেছেন এবং কোন্ প্রেক্ষিতে বলেছেন, এবং তাঁর বক্তব্যের সারবত্তা কী। এই নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে যথেষ্ট জলঘোলা হয়েছে, তাই এই নিয়ে আর কিছু বিশদে বলছি না। শুধু এইটুকু বলব, যাঁরা মমতাশঙ্করের সমালোচনা এবং অপমান, অপযশ করেছেন এবং এখনও নিরন্তর অসম্মান করে চলেছেন তাঁকে, তাঁরা যেন এটাও জেনে রাখেন, মমতাশঙ্কর উদয়শঙ্কর ও অমলাশঙ্করের কন্যা, রবিশঙ্করের ভাইঝি। উদয়শঙ্কর ও রবিশঙ্করের নাম শোনেননি, এমন কোনো শিল্পমনস্ক মানুষ আছেন বলে আমার বিশ্বাস হয় না। কিন্তু মমতাশঙ্কর তাঁর বাবা-কাকার নামের জোরে বিখ্যাত হননি, নিজের কাজের মাধ্যমেই সেই সম্মান তিনি অর্জন করেছেন। তিনি নিজেও একজন প্রথিতযশা নৃত্যশিল্পী। তাঁর প্রথম ছবি মৃণাল সেনের ‘মৃগয়া’-য় কী পরিমাণ ডেডিকেশন দেখিয়েছিলেন তিনি, তাও কারো অজানা থাকার কথা নয়। সত্যজিৎ রায়ের পরপর তিনটি ছবির (‘গণশত্রু’, ‘শাখা প্রশাখা’, ‘আগন্তুক’) প্রধান নারী চরিত্রও তিনিই, যে কৃতিত্ব একমাত্র মাধবী মুখোপাধ্যায় (‘মহানগর’, ‘চারুলতা’, ‘কাপুরুষ’) ছাড়া আর কারো নেই। কিন্তু এর চেয়েও বড় কথা যেটা, সেটা হল এই যে, মমতাশঙ্কর নিজে যেটা বিশ্বাস করেন, সেটাই বলেছেন। তিনি সনাতন আদর্শে বিশ্বাসী এবং তিনি কোনোদিন যৌনতাউদ্রেককর তথা আপত্তিকরভাবে শাড়ি পরেননি। জড়াননি কোনো বিতর্কে। কাজেই, তিনি আর যাই হোন, হিপোক্রিট নন। তাতেই এত গেল-গেল রব কেন সুশীল সমাজ তথা অসুস্থ সমাজের? মমতাশঙ্কর আসলে পুরুষতান্ত্রিক, তিনি নাকি পুরুষতান্ত্রিকতার ধারক ও বাহক, তিনি গণিকাদের অপমান করেছেন ইত্যাদি ইত্যাদি। কেন? মেয়েরা নারী স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে অকারণে নগ্ন হয়ে ঘুরে বেড়ালে দোষ নেই, মমতাশঙ্কর বললেই দোষ? সত্য সেলুকস!

আর বসন্ত উৎসব তথা হোলি উদযাপন নামে দিল্লি মেট্রোয় একজোড়া তরুণীর যৌনতাউদ্রেককারী কর্মকাণ্ড এখন ফেসবুকের কল্যাণে সবার ফোনে ফোনে ঘুরছে! সত্যি কি মিথ্যা জানি না (অনেকে বলছেন এটা সত্য নয়, মর্ফড্ ভিডিও, এ. আই. টেকনোলজি ব্যবহার করে বানানো), কিন্তু এসব কী হচ্ছে! প্রকাশ্য মেট্রোয় তাঁরা যা অতুল কীর্তির সাক্ষর রাখলেন,তা সাধারণতঃ ব্রেজার্স বা দুষ্টু আমেরিকাতেই দেখতে অভ্যস্ত আমরা। কিন্তু এঁরা কেন এমন করলেন? সবচেয়ে বড় কথা, এটা করে তাঁরা দু’ জন কী প্রমাণ করতে চাইলেন? তাদের যৌনতার জ্বালা কি এতই বেশি যে তাঁরা চেপে রাখতে পারেন নি, নাকি তাঁরা মনে করেছিলেন এটাই আধুনিকতা প্রর্দশনের তথা ‘ভাইরাল হওয়ার’ শ্রেষ্ঠতম পরাকাষ্ঠা?

সমাজটা কোন্ দিকে যাচ্ছে আস্তে আস্তে? তাহলে কি সত্যিই সমাজটা আস্তে আস্তে সোনাগাছিতে রূপান্তরিত হচ্ছে? জানি না! আমি এও জানি না, মেয়েরা যৌনভাবে এত উত্তেজিত হয়ে থাকেন কেন সর্বদা! কেন তাঁদের ন্যূনতম সম্ভ্রমবোধটুকুও থাকবে না? কেন সাধারণ মেয়েদের শরীর বেচে খেতে হবে? কেন মা-মাসি-বৌদিদের অর্ধনগ্ন হয়ে রিলস্ বানাতে হবে? কেন পুনম পান্ডে বা উরফি জাভেদকে প্রকাশ্যে সর্বদা নগ্নপ্রায় হয়েই থাকতে হবে? লাইমলাইটে থাকার জন্যই কি? এভাবে কি সত্যিই লাইমলাইটে থাকা যায়?

শ্রেয়া রায় নামক একটি নোংরা মেয়ে কন্টেন্ট তৈরির নামে প্রায় প্রতিদিনই ভরা বাজার কিম্বা ট্রেনে জাঙ্গিয়া এবং প্রচণ্ড টাইট গেঞ্জি পরে স্তন ও সুবর্তুল ঘনকৃষ্ণ নিতম্ব দেখিয়ে নাচাকোঁদা করে চলেছেন, সে কথাও কারো অজানা নয় আশা করি। এছাড়া কিছু চরিত্রহীন বৌদি তো ফেসবুকে নগ্ন অথবা অর্ধনগ্ন হয়ে শরীরের সম্পদ দেখিয়ে এবং মুখ দিয়ে অশ্লীল আওয়াজপূর্বক সফ্ট পর্ণ ভিডিও বানিয়েও চলেছেন। এমনকি কেউ কেউ ক্যামেরার সামনে স্তন প্রদর্শনপূর্বক বাচ্চাকে দুধও খাওয়াচ্ছেন! ভাবা যায়?! হ্যাঁ, মানলাম, স্তন্যপান করানোটা কোনো অশ্লীল কাজ নয়, কিন্তু সেটা এভাবে প্রকাশ্যে ফেসবুকে আর ইন্সটাগ্রামে না দেখালেই কি নয়? এই বৌদি তথা নোংরা মেয়েগুলোর বাড়ির লোক বা বাচ্চা ছেলেমেয়েরা এই ভিডিও দেখে কী প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করবে, সেটা তাঁদের মনে আসে না একবারও? তাছাড়া ইনস্টাগ্রাম আর ফেসবুক তো এখন পর্ণসাইটে রূপান্তরিত হয়েছে! আর সমাজমাধ্যমের কল্যাণে এই পৃথিবী এখন পরিণত হয়েছে এক বৃহৎ যৌনপল্লীতে! আর এসবের নৈতিক দায় জুকারবার্গ কোনোভাবেই এড়িয়ে যেতে পারেন না! তিনি বা তাঁর টিম এইসব অশ্লীল ভিডিও ও ছবি কেন সেন্সর করবেন না? কেন তাঁদের একাউন্ট রেস্ট্রিক্ট করা হবে না? কেন তাঁদের বিরুদ্ধে জনগণকে বিপথে চালিত করার জন্য মামলা করা হবে না?

আবার আরামবাগের প্রত্যন্ত এক অঞ্চল থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়বার নাম করে কলকাতার সল্টলেকে এসে সদ্য আঠেরো পেরোনো যে তরুণী টাকার বিনিময়ে অ্যাডাল্ট সাইটে নিজের নগ্ন ছবি আর ভিডিও আপলোড করে কাস্টমার ধরে নিজের জীবিকা নির্বাহ করছেন, তাঁকেই বা আমি কী বলতে পারি? তিনি এখন দিনে ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রী (আদৌ পড়াশোনা করেন কি তিনি? ভগবানই জানেন!), রাতে এসকর্ট তথা নীলছবির নায়িকা। এত শরীরের খিদে? এত টাকার লালসা? ছিঃ! তাঁর কলেজের প্রোফেসর ও বন্ধুবান্ধবরা জানেন কি, তিনি কী কাজ করেন? আমি ভাবি, এঁদের বাড়ির লোকজন দেখেন না এইসব? লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যায় না তাঁদের? নাকি, তাঁদের প্রচ্ছন্ন মদতেই এরা এইসব অনৈতিক তথা অমানবিক কাজ করবার লাইসেন্স পেয়ে যান?

সবচেয়ে বড় কথা, নিজেদের লজ্জা লাগে না এঁদের? এত শরীরী উত্তেজনা এঁদের আসে কোত্থেকে! আর কেনই বা আসে! কই, দশ বছর আগে তো এমনটা দেখতাম না আমরা! তাহলে কি নারী স্বাধীনতার অর্থটাই বদলে গেছে? এখন কি নারী স্বাধীনতা মানেই নগ্নতার মহোৎসব? সমানাধিকার তো চান না মেয়েরা, তাঁরা চান যৌনতার উদযাপন করতে! হায় রে, ‘এ কোন্ সকাল, রাতের চেয়েও অন্ধকার!’ সবচেয়ে বড় কথা এই যে, কিছু ‘মানুষরূপী অমানুষ’ পুরুষ (পুরুষজাতির কলঙ্ক তাঁরা) আবার এই অসভ্য, দুর্দম, বারবিলাসিনী, নেড়িবাদী নারীদের সমর্থন করেন, এবং যাঁরা একটু রক্ষণশীল বা এসবের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন, তাঁদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন! কিন্তু সাধারণ বা অসাধারণ, কোনো পুরুষকেই আজ অবধি যৌনাঙ্গ প্রদর্শন করে বা যৌনসুড়সুড়িমূলক ভিডিও বানাতে আমি অন্ততঃ দেখি নি! রাস্তাঘাটেও পুরুষরা এমনটা করছেন বলে আমার অন্ততঃ জানা নেই। তা এই ফেমিনিস্টগুলো এতই যদি উদারবাদী, নিজেদের মা-বোনকে নগ্ন করে রাস্তায় আর ল্যাম্পপোস্টের তলায় দাঁড় করিয়ে দিন না! অথবা, তাঁদেরকে অর্ধনগ্ন করে রিলস্ বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোয় ছেড়ে দিন না! বুঝব, কত দম তাঁদের!

আসলে এখন ব্যক্তি স্বাধীনতার অর্থটাই বদলে গেছে। এখন ব্যক্তি স্বাধীনতার অর্থ স্বেচ্ছাচার, বা অবাধ যৌন স্বাধীনতা। মানে ব্যাপারটা এই, আমার শরীর, আমি যা ইচ্ছে পরব, যাকে ইচ্ছে বিলোব, যা খুশি করব, যতজনের সঙ্গে ইচ্ছে ঘুমোব—তাতে তুমি বলার কে হে বাপু? বেশিরভাগ মেয়েদের এখন এটাই জীবনদর্শন। আর এর জন্য অনেকাংশে দায়ি সমাজমাধ্যম। আসলে, যুগটাই এখন নোংরামিতে ভরে গেছে। কেউ প্রতিবাদ করলেই এই আমানুষেরা এবং কিছু নোংরা নেড়িবাদী তার বাবা-মা তুলে অপমান করে দেবে আর তাকে ‘নারীবিদ্বেষী’ বলে দাগিয়ে দেবে! তাই যাঁদের নিজেদের সম্মান আছে, তাঁরা আর কেউ কিছু বলেন না। বা, বলবার সাহস পান না।

আসলে আধুনিকতার অর্থ যা-খুশি-তাই-করা নয়। আধুনিকতার অর্থ একটা নতুন জাগরণ, নব নব সৃষ্টির মহানন্দ ও জনগণের উদারনৈতিক চিন্তাশীল মানসিকতার উন্মেষ। কিন্তু যা বুঝছি, তাতে অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক! আমরা যদি এখনও সতর্ক না হই, তাহলে সমূহ বিপদ!


©কৌ.ম.

২৩ মার্চ—৩ এপ্রিল ২০২৪

#kaustavmondal


© গেছো দাদা