...

2 views

"তুমি: মানে সেই ছেলে"
-"কোনো এক মেয়ে দিনরাত তোমার সাথে কথা বলছে.....
কোন ফোন কিনবে,তুমি বলবে......
বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যাচ্ছে, কেরকম জামা পড়বে,তুমি বলবে......
তার গাড়ি খারাপ হয়ে গেছে,কে ঠিক করবে? তুমি করবে.....
মানে তোমাকে ছাড়া তো তার জীবন একদম অসম্পূর্ণ,যেন মনে হচ্ছে সে হলো নায়িকা আর তুমি তার জীবনের নায়ক।

কিন্তু তারপর একদিন তুমি জানতে পারছো যে ,তার জীবনে একজন ছেলের আবির্ভাব ঘটেছে....তখন তুমি বুঝতে পারছো,এই গল্পের নায়ক তো অন্যকেউ.....তুমি তো কেবলমাত্র তার জীবনের একজন সাধারণ চরিত্র........"- এইটুকু বলে একটু থামলাম ,দেখলাম সামনে অনেকে দাঁড়িয়ে শুনছে,কয়েকজন তো সামনে ঐই সিঁড়িতে বসেও পড়েছে,আমি বলে চললাম:
-" এরকম কত গল্পঃ আমরা শুনি,বেশিরভাগ ছেলের এই "তুমি" -র জায়গায় থেকে এরম অভিজ্ঞতা রয়েছে ...
কি ভাবছো তোমরা এখন? সেই "তুমি" মানে সেই ছেলের কি অবস্থা ......
বেশি কিছু নয়,বেশিরভাগ ছেলে এরম অবস্থায় নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে,তবে কিছু ছেলে তো এরম নেশাতেশা কিছু করে না,নিজেকে একলা ঘরে বন্দি করেই রেখে নেয়....
কি দুঃখ লাগছে না তোমাদের? দুঃখ তো তখন আরো বেশি লাগে, যখন সেই মেয়ে তোমার কাছে এসে জিজ্ঞেস করে,তার জীবনে আসা ছেলেটা তার জন্য পারফেক্ট কিনা...."
-" ভাই,তুই তো পুরো আমার গল্পটাই বলছিস...."- হঠাৎ সামনে লোকের মধ্যে একজন বলে উঠলো।
-" এরকমই হয়ে ভাই,আমি জানি বলেই তো বলছি..."- হেসে বললাম, আর দেখলাম সামনে সেই লোকেদের মধ্যে সায়নও দাঁড়িয়ে। তাকে দেখে হাত নাড়লাম।
তারপর একজন বললো:
-" কি হলো দাদা,থেমে গেলে কেন? তুমি বলে চলো,কি হলো সেই ছেলের??"
-" কি আর হবে,ওই যে বললাম, নেষাতেশা করে থাকে অনেকে....কিন্তু এখানে একটা ব্যাপার আছে,সেই ছেলেরা যখন নিজেকে সামলে নেয়,নিজের মনকে বুঝিয়ে নেয়......তখনই আবার সেই মেয়ে তার লাইফে প্রবেশ করে,আর তখন বলে তার ব্রেক-আপ হয়ে গেছে,সে এতদিন বুঝতে পারেনি যে আসল ভালোবাসা কে তার জীবনে,আর তখন সে প্রপোজ করে....আর "তুমি"মানে সেই ছেলে খুব সাধাসিধে,যাকে ভালোবাসো সে ফিরে এসেছে,তুমি কি তাকে মেনে নেবে না?? অবশ্যই মেনে নেবে নিশ্চয়ই,কিন্তু এটাই সবচেয়ে বড় ভুল....সুযোগ পেলে,তোমার থেকেও ভালো কাউকে পেলে সে কিন্তু তখনও তোমায় ধোঁকা দিতে ......"
হঠাৎ থেমে গেলাম আমি ,মুখ থেকে কথা বেরোলো না,শুধু চোখ থেকে জল বেরোলো।সেই স্টেজ থেকে নেবে গেলাম....
-"কি হলো ভাই,থেমে গেলো কেন??"- এরম অনেকে বলতে লাগলো একে অপরের দিকে তাকিয়ে।
তবে কিছু জন বুঝতে পেরেছে,আমার হঠাৎ এক নির্দিষ্ট দিকে তাকিয়ে চুপ হয়ে যাওয়ার কারণ, হঠাৎ করে সেই স্টেজ থেকে নেবে যাওয়ার কারণ।
আর সেই কিছুজনের মধ্যে একজন হলো আমার বন্ধু সায়ন। আর একজন হলো সেই ,যাকে দেখে আমি থেমে গেলাম , "যামিনী".....
ফোন বেজে উঠলো,দেখলাম সায়ন-ই করেছে,তুলতেই বললাম:
-"হ্যালো,বল......"
ওপর প্রান্ত থেকে সায়ন বললো:
-" সত্যি বলতে এতদিনে বুঝলাম,তোর মাঝখানে এতটা চুপচাপ থাকার কারণ কি,যামিনীকে এড়িয়ে চলার কারণ কি.....আজ তুই অন্য কোনো ছেলের গল্পঃ নয়,তুই তোর গল্পঃ শোনাচ্ছিলি..কি তাইতো?"
কোনো উত্তর দিতে পারলাম না, ফোনটাও শেষ পর্যন্ত কেটে দিলাম,কারণ গলা যে ধরে এসেছে,চোখ থেকে জলও বয়ে চলেছে.....