...

3 views

লক্ষ্মীমন্ত
চেয়েছিলে হবে ছেলে,এলাম হয়ে মেয়ে;
"ঘরে তবে লক্ষ্মী এল বলল সবাই চেয়ে।

বাবার ঘরের লক্ষ্মী আমি পিতৃকূলের মান,
সরস্বতীর কৃপায় বাড়াই মা-বাবার সম্মান।
এভাবেই পার হল দুটি দশক আমার
বিয়ের বয়স হয়েছে নাকি চিন্তা দেখি সবার।
প্রেমের ডালি সাজিয়ে নিয়ে এলেন জনমসাথী
সাত পাকে সাড়ম্বরে জ্বলল বাসর বাতি।

সমাজ বলে আমিই নাকি প্রতি ঘরে শ্রীলক্ষ্মী,
বাবার ঘরে,বরের ঘরে আমিই গৃহলক্ষ্মী।
পিতৃকূল আর শ্বশুরকূলের আমিই‌ কূললক্ষ্মী,
সৌভাগ্য আমি স্বামীর নাকি,আমিই ভাগ‍্যলক্ষ্মী।
যশলক্ষ্মী হয়ে আমিই সম্মান দুই কূলের
আমিই মহালক্ষ্মী তবে অবকাশ নেই ভুলের।
আমিই ঘোর আঁধার মাঝে আলোর এক জ‍্যোতি,
লক্ষ্মী বড়ই চঞ্চলা আর সুস্থিরা সরস্বতী।।

কনের সাজে সাজতেই দেখি বাড়ল আমার দর,
মালক্ষ্মীর বেশে সেজেই হলাম স্থানান্তর।
সোনায় মোড়া দেহখানি,প্রেমে মোড়া মন,
ধূপ-দীপ শঙ্খ দিয়ে হলাম আমি বরণ।
গৃহলক্ষ্মীর বেশে আমি কূললক্ষ্মী হয়ে
ভাগ‍্যলক্ষ্মীর ভূমিকায় হলাম অক্ষয়।
কিন্তু একি!মান তো নেই বিদ‍্যাবতীর নেই কোনো মান শ্রীয়ের
মান তো নেই প্রেমের হেথায়,মান নেই বিয়ের।

ভালোবাসায় যতন করে পবিত্র প্রেমডোরে,
বিদ‍্যাবতী লক্ষ্মী হয়ে স্থির থাকেন প্রতি ঘরে।
লক্ষ্মী হলেন নারায়ণের পরিপূরক সত্তা
লক্ষ্মী হলেন কর্ত্রী ধরার নারায়ণ কর্তা।
প্রেম আর পবিত্রতা র দৈবগুণে দোহে
প্রকৃত সুখে সু্খী হয় স্বামী-স্ত্রী ওহে!

ভালোবেসে মানিয়ে নেওয়া গুছিয়ে নেওয়া ভালো,
কিন্তু জানো দাসত্বের রঙটা বড়ই কালো।
ভালোবাসায় যত্ন করে শুদ্ধ দেহ মনে
বশে থেকে লক্ষ্মী নাকি বাড়ান ধনে জনে।
দাসী ভেবে করলে তাকে তুচ্ছ অবহেলা
বংশে আসে দুঃখ ভোগ,অশান্তি দুই বেলা।
পবিত্র প্রেম,ভাতৃভাব,অপত‍্য মায়াস্নেহ
---সং বাদে সার তো এসব,যাতে নেই মোহ।
প্রেমের বাঁধন সফল হলে পূর্ণ হয় কূল
সার্থক এক গার্হস্থ্যের এটুকুই মূল।

অবহেলায় চঞ্চলা হন লক্ষ্মীর নেই দোষ
মেয়ে বউয়ের ওপর করলে পরে রোষ।
চায় সবাই রূপে লক্ষ্মী গুণে সরস্বতী
মূল‍্য কে দেয় যত্ন করে যাতে না হয় ক্ষতি।
লক্ষ্মী আসেন ডাকলে তাকে ভালোবাসার টানে,
কিন্তু কভু স্থিরা হননা অবিচারের স্থানে।


© বুনানী