বৃক্ষকাহিনী পর্ব ২
কুড়ুলধারীদের মধ্যে একজন বলল,ব্যাপারটা সম্বন্ধে একটু জানা দরকার। ঠিক কোন গাছের থেকে এসব হচ্ছে সেইটা জানতে হবে।তাই না?
---তুই ঠিক বলেছিস।ব্যাপারটা একদম সুবিধার ঠেকছে না।ভাই তুই বল তো কোন গাছটার থেকে এসব হল?
দ্বিতীয় ভুক্তভোগী তখন কাঁপা কাঁপা গলায় অঙ্গুলী নির্দেশ করল একটি বটবৃক্ষের দিকে।সবাই ভীত সন্ত্রস্ত পায়ে ধীরগতিতে বটবৃক্ষটির দিকে অল্প এগোল।এবার প্রথম ভুক্তভোগী চেঁচিয়ে উঠল।
"আরে,ওই তো পেয়েছি আমার গামছাখানা।আরে এই গাছটা কি করে এমন করবে!এই গাছটায় যখন কাল আমি কুড়ুল মারতে যাব তখন উল্টোদিক হতে আরেকটা গাছ এসে এমনটা করছিল।এইবার আমার মনে পড়েছে বলে সে ছয় হাত দূরের বটবৃক্ষের দিকে অঙ্গুলীনির্দেশ করল।তখন দ্বিতীয় ভুক্তভোগী বিদ্রোহ করে উঠল।মোটেই না।আমি বাজি রেখে বলতে পারি এই গাছটাই আমায় ডালপালা নিয়ে গিলতে এসেছিল।প্রথম ভুক্তভোগী তখন বলল,তুই তোর চোখের মাথা খেয়েছিস।আমার গামছা এই গাছের নীচে পাওয়া গেল।আমি তো সেদিন এখানেই জ্ঞান হারালুম।আমি এই গাছের নীচেই ছিলুম আর ওদিক থেকে ওই বটগাছটা আমায় গিলতে এল যার নীচে তুই শুয়েছিলি।
ব্যাস্...আর পায় কে!
এখন গাছ নিয়ে দুজনের মধ্যে তুমুল ঝগড়া বেঁধে গেল।বেগতিক দেখে একজন চেঁচিয়ে উঠল।
---তোরা থামবি?গাধার মতো ঝগড়া করে কোনো লাভ নেই।চল ব্যাপারটা মালিককে গিয়ে জানাই।
সবাই তাতে সহমত হল।তারা সবাই দল বেঁধে পঞ্চায়েত প্রধানকে ব্যাপারটা জানাল।ব্যাপারটা তখন মুচমুচে খাস্তার মতো গোটা গ্রামে ছড়িয়ে গেল সেদিন দুপুরে পঞ্চায়েত প্রধান দলবল নিয়ে দেখতে এলেন ব্যাপারখানা কি!
পুরো ব্যাপারটা শুনে নিয়ে একটু থম মেরে মুখটা গম্ভীর করে কিছু অনুধাবন করার চেষ্টা করতে থাকলেন।এমন সময় যে শহুরে বাবুটি এই জঙ্গলে ছাওয়া গ্রামটিতে পাকা রাস্তা করার দায়িত্বে ছিলেন,তিনি হঠাৎ বলে উঠলেন, "একটা প্রশ্ন জাগছে আমার মনে।এই ভরা জঙ্গলে এত লতাপাতা আর গাছগাছালির ভীড়ে দুটো বটগাছ এখানে কি করছে!এই গোটা চত্বর জুড়ে আমি তো অন্তত কতগুলো বুনো গাছপালা ছাড়া আর কিছুই দেখলাম না।এইটাও একটা ভাববার বিষয় নয় কি?
পঞ্চায়েত প্রধান বললেন,"ব্যাপারটা আপনি ঠিকই লক্ষ্য করেছেন। সত্যিই তো!এখানে কতগুলো জংলা বনবাদাড়ের ভীড়ে দুটো বটগাছ কি করছে!আর সারা গ্রামের মধ্যে এরকম বটগাছ আছে বলে তো আমার মনে পড়ছে না।"
---ব্যাপারটা সত্যিই অদ্ভুত। রাস্তা তৈরি করতে গেলে তো সব গাছই কাটতে হবে,তোমরা আর দেরী কোরো না...এক্ষুনি কাজে লেগে পড়ো...
বলে কুড়ুলধারীদের দিকে অঙ্গুলী নির্দেশ করলেন।
কুড়ুলধারী শ্রমিকেরা একসাথে বলে উঠল।"দেখুন বাবুরা...জঙ্গলের সব গাছ আমরা কাটতে রাজী।কিন্তু ওই দুটো বটগাছে আমরা হাত লাগাতে পারব না।আমাদের মাপ কইরেন"।
অগত্যা কি আর করা...।ঠিক হল,জঙ্গলের সব গাছ কেটে পরিষ্কার করা হলে তারপর ওই দুটো বটগাছ অন্যখান থেকে লোক আনিয়ে বা কোনো একটা ব্যবস্হা করে কাটানো হবে এই মর্মে সিদ্ধান্ত হল।
---তুই ঠিক বলেছিস।ব্যাপারটা একদম সুবিধার ঠেকছে না।ভাই তুই বল তো কোন গাছটার থেকে এসব হল?
দ্বিতীয় ভুক্তভোগী তখন কাঁপা কাঁপা গলায় অঙ্গুলী নির্দেশ করল একটি বটবৃক্ষের দিকে।সবাই ভীত সন্ত্রস্ত পায়ে ধীরগতিতে বটবৃক্ষটির দিকে অল্প এগোল।এবার প্রথম ভুক্তভোগী চেঁচিয়ে উঠল।
"আরে,ওই তো পেয়েছি আমার গামছাখানা।আরে এই গাছটা কি করে এমন করবে!এই গাছটায় যখন কাল আমি কুড়ুল মারতে যাব তখন উল্টোদিক হতে আরেকটা গাছ এসে এমনটা করছিল।এইবার আমার মনে পড়েছে বলে সে ছয় হাত দূরের বটবৃক্ষের দিকে অঙ্গুলীনির্দেশ করল।তখন দ্বিতীয় ভুক্তভোগী বিদ্রোহ করে উঠল।মোটেই না।আমি বাজি রেখে বলতে পারি এই গাছটাই আমায় ডালপালা নিয়ে গিলতে এসেছিল।প্রথম ভুক্তভোগী তখন বলল,তুই তোর চোখের মাথা খেয়েছিস।আমার গামছা এই গাছের নীচে পাওয়া গেল।আমি তো সেদিন এখানেই জ্ঞান হারালুম।আমি এই গাছের নীচেই ছিলুম আর ওদিক থেকে ওই বটগাছটা আমায় গিলতে এল যার নীচে তুই শুয়েছিলি।
ব্যাস্...আর পায় কে!
এখন গাছ নিয়ে দুজনের মধ্যে তুমুল ঝগড়া বেঁধে গেল।বেগতিক দেখে একজন চেঁচিয়ে উঠল।
---তোরা থামবি?গাধার মতো ঝগড়া করে কোনো লাভ নেই।চল ব্যাপারটা মালিককে গিয়ে জানাই।
সবাই তাতে সহমত হল।তারা সবাই দল বেঁধে পঞ্চায়েত প্রধানকে ব্যাপারটা জানাল।ব্যাপারটা তখন মুচমুচে খাস্তার মতো গোটা গ্রামে ছড়িয়ে গেল সেদিন দুপুরে পঞ্চায়েত প্রধান দলবল নিয়ে দেখতে এলেন ব্যাপারখানা কি!
পুরো ব্যাপারটা শুনে নিয়ে একটু থম মেরে মুখটা গম্ভীর করে কিছু অনুধাবন করার চেষ্টা করতে থাকলেন।এমন সময় যে শহুরে বাবুটি এই জঙ্গলে ছাওয়া গ্রামটিতে পাকা রাস্তা করার দায়িত্বে ছিলেন,তিনি হঠাৎ বলে উঠলেন, "একটা প্রশ্ন জাগছে আমার মনে।এই ভরা জঙ্গলে এত লতাপাতা আর গাছগাছালির ভীড়ে দুটো বটগাছ এখানে কি করছে!এই গোটা চত্বর জুড়ে আমি তো অন্তত কতগুলো বুনো গাছপালা ছাড়া আর কিছুই দেখলাম না।এইটাও একটা ভাববার বিষয় নয় কি?
পঞ্চায়েত প্রধান বললেন,"ব্যাপারটা আপনি ঠিকই লক্ষ্য করেছেন। সত্যিই তো!এখানে কতগুলো জংলা বনবাদাড়ের ভীড়ে দুটো বটগাছ কি করছে!আর সারা গ্রামের মধ্যে এরকম বটগাছ আছে বলে তো আমার মনে পড়ছে না।"
---ব্যাপারটা সত্যিই অদ্ভুত। রাস্তা তৈরি করতে গেলে তো সব গাছই কাটতে হবে,তোমরা আর দেরী কোরো না...এক্ষুনি কাজে লেগে পড়ো...
বলে কুড়ুলধারীদের দিকে অঙ্গুলী নির্দেশ করলেন।
কুড়ুলধারী শ্রমিকেরা একসাথে বলে উঠল।"দেখুন বাবুরা...জঙ্গলের সব গাছ আমরা কাটতে রাজী।কিন্তু ওই দুটো বটগাছে আমরা হাত লাগাতে পারব না।আমাদের মাপ কইরেন"।
অগত্যা কি আর করা...।ঠিক হল,জঙ্গলের সব গাছ কেটে পরিষ্কার করা হলে তারপর ওই দুটো বটগাছ অন্যখান থেকে লোক আনিয়ে বা কোনো একটা ব্যবস্হা করে কাটানো হবে এই মর্মে সিদ্ধান্ত হল।