...

4 views

RIP MOUMITA DEBNATH
মোমবাতি নিয়ে মিছিল করে অপরাধীদের অপরাধকেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আজও অনেক ব্যক্তি চুপ আছে। কারণ তারাও অতিতে অপরাধ করেছে। তাই, এই রকম শান্তিপূর্ণ মিছিলে ধর্ষকরা কিছুদিন শান্ত থাকবে তারপর আবার যেইকে সেই। কঠোর আন্দোলন করলে তবে এদের মনে ভয়ে আসবে।

আর সত্যি কথা বলতে নারীদের শ্লীলতাহানির পিছনে নারী জাতিরই এক বিরাট অংশ রয়েছে। আজও যখনই কোনো ধর্ষণের খবর টিভিতে দেখানো হয়, তখন বাড়ির ছোট সদস্যদের অন্য ঘরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কেন? না ওর মনে প্রভাব পরবে। বাঃ! আর তার সামনে যখন আর একটা মেয়ে নিন্দা করেন, তার পোষাক নিয়ে চর্চার করেন, তাকে বলেন যে "বউ ধরে আনবি" তখন তার মনে প্রভাব পরে না?

তাকে যদি সেই মুহূর্তেই নারীদের সম্মান দেওয়ার কথা বোঝানো হত, তাহলে হয়ত বড় হয়ে তার চোখে, সমাজ মেয়েদের জন্য সম্মান দেখতে পেত। সে বুঝত যে মেয়েদের সম্মান দিতে হয়।

বেশি দুরে যাওয়ার দরকার নেই, কালকের মন্তব্য তেই তা দেখা গেছে—"করলে তো 5 দিন আন্দোলন, কেউ কিছু বলেনি।" কেন ভাই? আমরা কি শখ করে আন্দোলন করছি? আপনি এই 5 দিনে কতবার এগিয়ে এসেছেন? আগের বারেও যখন ডাক্তারদের আন্দোলন চলছিল তখন আপনি 1 সপ্তাহ পর এলেন। কেন হ্যাঁ! তাই এই শান্তিপূর্ণ মিছিলে কিছু হবে না। হাতে মোমবাতি এর জায়গায় "বন্দুক" ধরো, ধর্ষকের বাড়ির সামনে গিয়ে সারা রাত বন্দুক চালাও!
আর মেয়েদের বিয়েতে "সোনার বালা" না দিয়ে তাদের বন্দুকের লাইসেন্স দিন, সেল্ফডিফেন্সের ট্রেনিং দিন।

আজও বাড়ির বাইরের এমন অনেক কিছু ঘটে যা মেয়েরা বাড়িতে এসে বলতে পারে না। কারণ তারা জানে, যেমন এই মেয়েটাকে প্রশ্ন করা হচ্ছে যে সে "এত রাতে ওখানে কি করছিল?" ঠিক তেমনি যে কোন মেয়ের সাথে কোন অন্যায় হলে প্রথমে তাকেই দোষ দেওয়া হয়, যে সে ওখানে কি করতে গিয়ে ছিল বা কেন গিয়েছিল। এই ভয় সে বাড়িতে কাউকেই কিছু বলতে পারে না। আর সুইসাইড করে নেয়।

বাড়ির লোকেরাই যদি না বোঝে, তাহলে তো বাইরের লোক তো বলবেই। তাই মেয়েদের নয়, ছেলেদের শেখানো উচিত। আগে "কাকিমা" গুলোকে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করার দরকার। তবে মেয়েরা স্বাধীন হতে পারবে।

#justiceformoumitadebnath