...

4 views

প্রেতপুরী স্টেশন
শেষ ট্রেনটাও দুরন্ত গতিতে স্টেশনের পাঁচ নাম্বার প্লাটফর্ম দিয়ে চলে গেলো রোহিতের চোখের সম্মুখ দিয়ে। এদিকে ঘড়িতে ঢং ঢং শব্দে রাত্রি বারোটার ঘন্টা বেজে ওঠে। সাথে সাথে স্টেশনটাও জনশূন্য হয়ে পড়ে। চারিদিকে নিস্তব্ধ পরিবেশ আর ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক।

রোহিত ক্লান্তির সুরে স্টেশনের এক বেঞ্চে মুখ নিচু করে বসে স্টেশন ভুমির দিকে তাকিয়ে রইল। সে এই মুহুর্তে কী করেবে তা নিয়ে গভীর চিন্তায় মগ্ন। কারণ পরবর্তী ট্রেন সকাল আটটায়। এদিকে তার বাড়ি ফেরাটা নিতান্ত জরুরি। বাড়িতে তার মা অসুস্থ। পরদিন সকালে মা' কে নিয়ে ডাক্তার বাবুর অফিসে যেতেই হবে।

অবশেষে কোনো উপায় না পেয়ে রোহিত সেই বেঞ্চের উপর বিশ্রাম নেয়। রাত্রি তখন দুটো বাজে, রোহিত সেই মুহূর্তে গভীর নিদ্রায়...