❤তোমায় ভালোবেসে❤
স্কুলের ক্লাসরুমের ভিতরে চিল চিৎকার চলছে, বাইরে থেকে শুনলে মনে হবে মাছের বাজার বসেছে। কেউ... কেউ বেঞ্চে ওপর উঠে খেলছে, কেউ কেউ আবার মাড়ামাড়ি করছে একে অপরের সঙ্গে, আবার কেউ কেউ এরই মধ্যে এর ব্যাগ থেকে ওর ব্যাগ থেকে টিফিন চুরি করে নিচ্ছে। আর এই টিফিন চুরি করার মূল চরিত্র হলো তৃষ্ণা। ওর কোনদিনও নিজের টিফিন খেতে ভালো লাগেনা, তাই সুযোগ বুঝে ওর বিরোধি পক্ষের ব্যাগ থেকে টিফিন চুরি করে নেয়। আজও সেই রকম চুরি করছিল, কিন্তু করা হয়ে উঠল না....!!! তার আগেই স্যার ক্লাসরুমে ঢুকে পড়লেন, সাথে সাথে সবাই শান্ত হয়ে যে... যার জায়গায় বসে পড়ল। তবে আজ সবাই একটু অবাক হয়েছে, কারন স্যারের সাথে আজকে ওদের বয়সি একজন মোটা ফ্রেমের গোল চশমা পড়া ছেলে দাঁড়িয়ে আছে। যে... দুদিন আগেই এসেছে তৃষ্ণাদের বাড়ির পাশের বাড়িতে ভাড়াটিয়া রুপে। তৃষ্ণা নিজের ঘরের জানলা দিয়ে দু.... একবার কথা বলার চেষ্টা করেছে, কিন্তু ছেলেটি পাত্তা দেয়নি, বড্ড গম্ভীর। তাই তৃষ্ণাও আর কথা বলার চেষ্টা করেনি।
---------ক্লাসরুমের সবাই স্যারকে দেখে একসাথে বলে উঠল, গুড.... মর্নিং.... স্যার....
-------স্যারও বলে উঠলেন, গুড.... মর্নিং.... স্টুডেন্ট, আজ তোমাদের সাথে তোমাদের আর এক নতুন বন্ধুর পরিচয় করিয়ে দেব, ও... হল সৌনক সেন। আজ থেকে তোমাদের সাথে পড়বে।
----------সবাই আবার একসাথে বলে উঠল, হাই.... সৌনক, তৃষ্ণা বাদে, কারন... ওর ভীতরে রাগ আছে আগের দিন সৌনক ওর সাথে কথা বলেনি বলে। কিন্তু আজও একই ব্যাপার লক্ষ্য করল তৃষ্ণা, সৌনকের দিক থেকে কোনরকম উত্তর এলোনা, এমনকি ঠোঁটের কোনে হাসিটুকুও না...!! স্যার নির্দেশ দিল সৌনককে তৃষ্ণার পাশে বসতে। স্যার কথা মতো সৌনক বসল ঠিক তৃষ্ণার পাশে এসে।
****************************
এইভাবে পার হয়ে গেল একমাস। সৌনক আর তৃষ্ণার বন্ধুত্ব হয়েছে, সৌনক খুব কম কথা বলে আর তৃষ্ণা সারাক্ষন বকবক করে চলে নিজের মত। তবে রোজ এসে ঠিক তৃষ্ণার পাশে বসে সৌনক, অলিখিত ভাবে তৃষ্ণার পাশের জায়গাটা এখন ওর হয়েগেছে, সারাক্ষন উদাসী দৃষ্টিতে ক্লাসরুমের জানলা দিয়ে তাকিয়ে থাকে সৌনক বাইরের দিকে, আর কিসব ভাবতে থাকে। তৃষ্ণা কিন্তু ওর দুষ্টুমি চালিয়ে যায়, সৌনকের তাতে ভালোলাগা বা... বিরক্ত কিছুই যেন নেই!!! তবে এখন আর তৃষ্ণাকে টিফিন চুরি করতে হয়না!!!সৌনক এর টিফিন তৃষ্ণা খায়,আর তৃষ্ণার টিফিন সৌনক। অবশ্য এই নিয়ম চালু হওয়ার পিছনে কারন আছে। গোটা এক সপ্তাহ সৌনক টিফিন খেতে পায়নি, কারন টিফিন রোজ চুরি হয়ে যেত। সৌনক বুঝতেও পারতোনা কে করতো!!! একদিন হঠাৎ সৌনক মাথাঘুরে পড়ে যায়, তারপর থেকে তৃষ্ণা আর টিফিন চুরি করেনা বরং ভাগ করে খায়।
এইভাবে বেশ ধীরে ধীরে একটা বন্ধুত্বের বন্ধন গড়ে উঠছিল তৃষ্ণা এবং সৌনকের মধ্যে। যেখানে তৃষ্ণা সমস্ত কিছু নিয়ম কানুন চালু করেছিল, আর সৌনক বিনা বাক্যব্যায়ে সেইসব মেনে চলত। কিন্তু বেশ কিছু বছর পর সৌনকের বাবার ট্রান্সফার হয়ে গেল এবং সৌনকরা আবার চলে গেল অন্য জায়গায়। তৃষ্ণা সেই দিন খুব কেঁদেছিল বন্ধুত্বের বিচ্ছেদের জন্য। তবে তৃষ্ণা সেইদিন লক্ষ্য করেছিল সৌনক চুপচাপ থাকলেও ওর মোটা ফ্রেমের পাওয়ারের চশমায় ঢাকা চোখটা জলে চিকচিক করে উঠেছিল। সৌনক শুধু যাওয়ার আগে একটা কথা বলেছিল আবার দেখা হবে.........
****************************
সময় স্রোতের তীব্র প্রবাহে পার হয়ে গেছে অনেকগুলো বছর। তৃষ্ণা স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে এখন কলেজে, তবে তৃষ্ণার দুষ্টুমি এবং বকবক কোন অংশে কমেনি। বরং বয়স বাড়ার সাথে সাথে সবকিছু বেড়ে গেছে। তৃষ্ণা এখন একজন চঞ্চল, প্রানবন্ত, তরুণী। সৌনক আজও তৃষ্ণার মনের মধ্যে গেঁথে আছে ভালো বন্ধু হয়ে। তৃষ্ণা এতদিনে অনেক বন্ধু পেয়েছে, কিন্তু সৌনকের মত একজনকেও পাইনি!!! যে.... নির্ধিদ্ধায় ওর সমস্ত অত্যাচার, দুষ্টুমি, অন্যায়, আবদার মেনে নিত, আর থেকে থেকে গোল গোল করে অবাক দৃষ্টিতে চেয়ে...
---------ক্লাসরুমের সবাই স্যারকে দেখে একসাথে বলে উঠল, গুড.... মর্নিং.... স্যার....
-------স্যারও বলে উঠলেন, গুড.... মর্নিং.... স্টুডেন্ট, আজ তোমাদের সাথে তোমাদের আর এক নতুন বন্ধুর পরিচয় করিয়ে দেব, ও... হল সৌনক সেন। আজ থেকে তোমাদের সাথে পড়বে।
----------সবাই আবার একসাথে বলে উঠল, হাই.... সৌনক, তৃষ্ণা বাদে, কারন... ওর ভীতরে রাগ আছে আগের দিন সৌনক ওর সাথে কথা বলেনি বলে। কিন্তু আজও একই ব্যাপার লক্ষ্য করল তৃষ্ণা, সৌনকের দিক থেকে কোনরকম উত্তর এলোনা, এমনকি ঠোঁটের কোনে হাসিটুকুও না...!! স্যার নির্দেশ দিল সৌনককে তৃষ্ণার পাশে বসতে। স্যার কথা মতো সৌনক বসল ঠিক তৃষ্ণার পাশে এসে।
****************************
এইভাবে পার হয়ে গেল একমাস। সৌনক আর তৃষ্ণার বন্ধুত্ব হয়েছে, সৌনক খুব কম কথা বলে আর তৃষ্ণা সারাক্ষন বকবক করে চলে নিজের মত। তবে রোজ এসে ঠিক তৃষ্ণার পাশে বসে সৌনক, অলিখিত ভাবে তৃষ্ণার পাশের জায়গাটা এখন ওর হয়েগেছে, সারাক্ষন উদাসী দৃষ্টিতে ক্লাসরুমের জানলা দিয়ে তাকিয়ে থাকে সৌনক বাইরের দিকে, আর কিসব ভাবতে থাকে। তৃষ্ণা কিন্তু ওর দুষ্টুমি চালিয়ে যায়, সৌনকের তাতে ভালোলাগা বা... বিরক্ত কিছুই যেন নেই!!! তবে এখন আর তৃষ্ণাকে টিফিন চুরি করতে হয়না!!!সৌনক এর টিফিন তৃষ্ণা খায়,আর তৃষ্ণার টিফিন সৌনক। অবশ্য এই নিয়ম চালু হওয়ার পিছনে কারন আছে। গোটা এক সপ্তাহ সৌনক টিফিন খেতে পায়নি, কারন টিফিন রোজ চুরি হয়ে যেত। সৌনক বুঝতেও পারতোনা কে করতো!!! একদিন হঠাৎ সৌনক মাথাঘুরে পড়ে যায়, তারপর থেকে তৃষ্ণা আর টিফিন চুরি করেনা বরং ভাগ করে খায়।
এইভাবে বেশ ধীরে ধীরে একটা বন্ধুত্বের বন্ধন গড়ে উঠছিল তৃষ্ণা এবং সৌনকের মধ্যে। যেখানে তৃষ্ণা সমস্ত কিছু নিয়ম কানুন চালু করেছিল, আর সৌনক বিনা বাক্যব্যায়ে সেইসব মেনে চলত। কিন্তু বেশ কিছু বছর পর সৌনকের বাবার ট্রান্সফার হয়ে গেল এবং সৌনকরা আবার চলে গেল অন্য জায়গায়। তৃষ্ণা সেই দিন খুব কেঁদেছিল বন্ধুত্বের বিচ্ছেদের জন্য। তবে তৃষ্ণা সেইদিন লক্ষ্য করেছিল সৌনক চুপচাপ থাকলেও ওর মোটা ফ্রেমের পাওয়ারের চশমায় ঢাকা চোখটা জলে চিকচিক করে উঠেছিল। সৌনক শুধু যাওয়ার আগে একটা কথা বলেছিল আবার দেখা হবে.........
****************************
সময় স্রোতের তীব্র প্রবাহে পার হয়ে গেছে অনেকগুলো বছর। তৃষ্ণা স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে এখন কলেজে, তবে তৃষ্ণার দুষ্টুমি এবং বকবক কোন অংশে কমেনি। বরং বয়স বাড়ার সাথে সাথে সবকিছু বেড়ে গেছে। তৃষ্ণা এখন একজন চঞ্চল, প্রানবন্ত, তরুণী। সৌনক আজও তৃষ্ণার মনের মধ্যে গেঁথে আছে ভালো বন্ধু হয়ে। তৃষ্ণা এতদিনে অনেক বন্ধু পেয়েছে, কিন্তু সৌনকের মত একজনকেও পাইনি!!! যে.... নির্ধিদ্ধায় ওর সমস্ত অত্যাচার, দুষ্টুমি, অন্যায়, আবদার মেনে নিত, আর থেকে থেকে গোল গোল করে অবাক দৃষ্টিতে চেয়ে...