একমাত্র তুই ( অন্তিম পর্ব )
মাতাল হওয়ায় চুল গুলো উড়ছে, চোখ বন্ধ হয়ে এসেছে তনির।সূর্যের লাল আভা এসে পরছে ওর মুখে। ভীষণ মোহময়ী লাগছে আজ ওকে।
হটাৎ একটা শক্ত হাত ওকে টেনে নিল। চমকে উঠল তনি। সামনে দাঁড়িয়ে অম্বর ওর অমু দা।
তনির কথা বেরোচ্ছে না মুখ থেকে,অমু ওর গালে হাত রাখল।তনি কিছু বলতে যাবে তার আগেই নিজের ঠোঁট মিশিয়ে দিল তনির ঠোঁটে। তনির গোটা শরীর যেন অবশ হয়ে গেল। মুহূর্তের মধ্যে অমুর শক্ত হাতটা তনির ঘাড়ে আর একটা হাত তনির কোমরে গিয়ে আকড়ে ধরল তনিকে। তনির হাতও অমুর বুকের ওপর পরেছে নিজের অজান্তেই।
কিছু করতে পারছে না ও,ওর সমস্ত অভিমান, রাগ সব যেন শুষে নিচ্ছে অমু।
কিছু ক্ষণ পর যখন অমু ওকে ছাড়ল,তখন তনির সারা পৃথিবীটা যেন বদলে গেছে, তাকাতে পারেনি আর কোনদিকে ছুটতে ছুটতে ঘরে চলে এল। এসেই দরজা লাগিয়ে দরজায় পিঠ ঠেকিয়ে,মেঝেতেই বসে পরলো। এদিকে অমুও বুঝতে পারছে না কি করে করে ফেললো ও।
তনির মনে এখন ঝড় বয়ে যাচ্ছে। কেন করল ও এরম, ও যদি ওকে ভালো না বাসত তাহলে কখনো এরম করতো না।তাহলে সেদিনের পার্টিতে যা হল সেটা কি?এর উত্তর একজনই দিতে পারে কিন্তু কি ভাবে প্রশ্ন গুলো করবে তনি?ওর এ মুহূর্তে অমুর সামনে যাবার শক্তি নেই। ফোন টা হাতে নিয়েও খুলতে পারল না, কি বলবে, যেমন ছিল তেমনি সুইচ অফ রেখেই আবার চুপচাপ বসে রইল মেঝেতে।
বেশ খানিকক্ষণ পর, দরজা খুলে বাইরে গেল তনি, এর মাঝে অনেক বার ডেকেছে ওর মা ওকে।মায়ের কাছে রান্না ঘরে গেল তনি।
তনির মা--কি রে কখন থেকে ডাকছি।
--হুম কিছু বলছিলে?
--অমু এসেছিল? তখন বোধয় বাগানে ছিলিস?দেখা হল তোর সাথে?
--হুমম , না তো।
--দেখা হয়নি, বললো যে তোর সাথে দেখা করে নেবে যায় হোক।অমু চাকরি পেয়েছে রে।
--কি?
--হ্যাঁ রে, ভালো চাকরি।পাশ করার আগেই কেমন চাকরি পেয়ে গেল বল।তোর সাথে দেখা হয়নি তো, তাই জানিস না।তোর ফোন টাও কি বন্ধ আছে? বলল তোকে ফোনে পাচ্ছে না।
যাকগে কাল ওদের বাড়িতে পুজো আছে। আমাদের তোর মামনি যেতে বলেছে,পুজো আছে ওদের বাড়িতে তুই সকালে চলে যাস।
--কেন?
--কেন কি?ও বাড়ি যাওয়ার জন্য তোর আবার কারণের দরকার নাকি।একটু সাহায্য করিস তোর মামনিকে।
--না মা কাল একটু কাজ আছে একবার রিয়া দের বাড়ি যাব।
মা বুঝলো নিশ্চয় অমুর সাথে ওর ঝগড়া হয়েছে,তারপর আবার এত বড় সুখবরটা ওর মুখ থেকেও শুনতে পেল না তারও অভিমান যোগ হয়েছে বোধয়। তাই ওর মন টাও খারাপ আর ওদের বাড়ি যেতে চাইছে না।
মা--পুজোর কাজে মানা করতে নেই তনি, বন্ধুর বাড়ি পরে চলে যাস, আর তোর মামনি কি সব কাজ একা করবে নাকি?তোর মামনি বারবার বলেছে।
খানিক ভেবে তনি বলল...
--আচ্ছা বেশ।
পরের দিন......
হটাৎ একটা শক্ত হাত ওকে টেনে নিল। চমকে উঠল তনি। সামনে দাঁড়িয়ে অম্বর ওর অমু দা।
তনির কথা বেরোচ্ছে না মুখ থেকে,অমু ওর গালে হাত রাখল।তনি কিছু বলতে যাবে তার আগেই নিজের ঠোঁট মিশিয়ে দিল তনির ঠোঁটে। তনির গোটা শরীর যেন অবশ হয়ে গেল। মুহূর্তের মধ্যে অমুর শক্ত হাতটা তনির ঘাড়ে আর একটা হাত তনির কোমরে গিয়ে আকড়ে ধরল তনিকে। তনির হাতও অমুর বুকের ওপর পরেছে নিজের অজান্তেই।
কিছু করতে পারছে না ও,ওর সমস্ত অভিমান, রাগ সব যেন শুষে নিচ্ছে অমু।
কিছু ক্ষণ পর যখন অমু ওকে ছাড়ল,তখন তনির সারা পৃথিবীটা যেন বদলে গেছে, তাকাতে পারেনি আর কোনদিকে ছুটতে ছুটতে ঘরে চলে এল। এসেই দরজা লাগিয়ে দরজায় পিঠ ঠেকিয়ে,মেঝেতেই বসে পরলো। এদিকে অমুও বুঝতে পারছে না কি করে করে ফেললো ও।
তনির মনে এখন ঝড় বয়ে যাচ্ছে। কেন করল ও এরম, ও যদি ওকে ভালো না বাসত তাহলে কখনো এরম করতো না।তাহলে সেদিনের পার্টিতে যা হল সেটা কি?এর উত্তর একজনই দিতে পারে কিন্তু কি ভাবে প্রশ্ন গুলো করবে তনি?ওর এ মুহূর্তে অমুর সামনে যাবার শক্তি নেই। ফোন টা হাতে নিয়েও খুলতে পারল না, কি বলবে, যেমন ছিল তেমনি সুইচ অফ রেখেই আবার চুপচাপ বসে রইল মেঝেতে।
বেশ খানিকক্ষণ পর, দরজা খুলে বাইরে গেল তনি, এর মাঝে অনেক বার ডেকেছে ওর মা ওকে।মায়ের কাছে রান্না ঘরে গেল তনি।
তনির মা--কি রে কখন থেকে ডাকছি।
--হুম কিছু বলছিলে?
--অমু এসেছিল? তখন বোধয় বাগানে ছিলিস?দেখা হল তোর সাথে?
--হুমম , না তো।
--দেখা হয়নি, বললো যে তোর সাথে দেখা করে নেবে যায় হোক।অমু চাকরি পেয়েছে রে।
--কি?
--হ্যাঁ রে, ভালো চাকরি।পাশ করার আগেই কেমন চাকরি পেয়ে গেল বল।তোর সাথে দেখা হয়নি তো, তাই জানিস না।তোর ফোন টাও কি বন্ধ আছে? বলল তোকে ফোনে পাচ্ছে না।
যাকগে কাল ওদের বাড়িতে পুজো আছে। আমাদের তোর মামনি যেতে বলেছে,পুজো আছে ওদের বাড়িতে তুই সকালে চলে যাস।
--কেন?
--কেন কি?ও বাড়ি যাওয়ার জন্য তোর আবার কারণের দরকার নাকি।একটু সাহায্য করিস তোর মামনিকে।
--না মা কাল একটু কাজ আছে একবার রিয়া দের বাড়ি যাব।
মা বুঝলো নিশ্চয় অমুর সাথে ওর ঝগড়া হয়েছে,তারপর আবার এত বড় সুখবরটা ওর মুখ থেকেও শুনতে পেল না তারও অভিমান যোগ হয়েছে বোধয়। তাই ওর মন টাও খারাপ আর ওদের বাড়ি যেতে চাইছে না।
মা--পুজোর কাজে মানা করতে নেই তনি, বন্ধুর বাড়ি পরে চলে যাস, আর তোর মামনি কি সব কাজ একা করবে নাকি?তোর মামনি বারবার বলেছে।
খানিক ভেবে তনি বলল...
--আচ্ছা বেশ।
পরের দিন......