...

18 views

Its talking about my life.
রিশাকে আমি চড় মারার সাথেই ওর দাদু মানে আমার শাশুড়ী মা আমার সাথে চিৎকার করে উঠল,তুমি এটা কি করলা বৌমা, এত্ত বড় মেয়ের গালে এক ঘর মানুষের সামনে চড় মারলা তাও আমার সামনে? কান্ডজ্ঞান হারিয়ে বসে আছ নাকি?
রাগে আমার গা কাঁপতে থাকে আমি রিশার হাত ধরে টেনে ওকে ঘরে এনে দরজা লাগিয়ে দেই। আমার শাশুড়ী,ননদ দরজা ধাক্কাতে থাকে আমি পাত্তা দেইনা।
মেয়েকে চিরুনি দিয়ে মারতে মারতে বলতে থাকি, অসভ্য মেয়ে, তুমি বড় হইছ না? সবে ক্লাস নাইনে উঠেছ এত্ত বড় তুমি হয়েছ যে স্কুলে না গিয়ে বাইরে ঘুরে বেড়াও? আজ আসুক তোমার বাবা তখন তোমার ব্যবস্থা করব। লেখা পড়ার তো এইনা ছিরি ভাইকে দেখেতো শেখনাই কিছু। আমার ছেলের নখের ও যোগ্যি না তুই। আমাদের মান সম্মান ডোবানোর জন্য উঠে পড়ে লেগেছিস।
রিশা কাঁদতে থাকে আমি ওকে রেখে বের হয়ে আসি। ওর রুমে গিয়ে সব তোলপাড় করি। টেবিলের ড্রয়ার, আলমারী,তোশকের নিচে, ব্যাগের ভেতর, বইয়ের তাকে। কিছু না কিছুতো আছেই। ইদানিং প্রায়ই টাকা চায় এই সেই উছিলায়। ছোট মানুষ গুরুত্ব দেইনাই। এখন বুঝতেছি ও টাকা চায় কেন,কিছু একটা তো আছেই।
আমার শাশুড়ী ডাকতে থাকেন, বৌমা দুপুর তিনটা বাজে বাড়িতে মেহমান সে খেয়াল আছে তোমার? ভাত দাওনা কেন টেবিলে? জামাইকে কি না খাওয়াইয়া রাখবা?

আমি খাবার দিতে যাই। আমার ননদ বলে ভাবি, রিশাকে ডাক।
-নাহ্ ওর ভাত বন্ধ।
-বৌমা জিদ করোনা। রিশাকে ডাক দাও।
-মা বেয়াদবী নিবেন না, আর নিলেও আমি নিরুপায় আজ দুপুরে রিশার ভাত বন্ধ। ওর বাবা আসুক। রাফি বাবা টেবিলে আয় সোনা। পরে পড়িশ। না খেলে পড়াশোনা করবি কি করে?
আমার ননদ রাগ করে খাবার রেখে উঠে যায়। সব কিছুতে বাড়াবাড়ি। আমার মেয়েকে আমি শাসন করব না আদর করব সেটা আমার ব্যাপার,বেড়াতে আসছে দু দিন থাকবে চলে যাবে। তানা সব কিছুতে নাক গলানো চাই।

রাফি-রিশার বাবা ফিরল রাত আট টা নাগাদ। রিশার রুমের আলমারীর কাপড়ের নিচে একটা ডায়েরী পেয়েছি। ডায়েরি টা বের করে নিয়ে এসে ওকে ওর রুমে পাঠিয়ে দিয়েছি। ওর দাদু খাবার নিয়ে অনেক সাধাসাধি করেছে উনি খাবেন না। বেয়াদ্দপ হয়েছে মেয়েটা। রাগ দেখায়, জীদ করে। আজ ওর একটা ব্যবস্থা...