...

2 views

গল্প: এক বাস ভারতবর্ষ:
গল্প: এক বাস ভারতবর্ষ:
শ্রীনগর জম্মু হাইওয়ে বন্ধ থাকায় অমরনাথ দর্শন শেষে বালটাল বা পহেলগাঁও থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত ও সেরকম কোন বাস চলছিলনা ,বেশী দেরী হলে 13 জুলাই জম্মু থেকে আমাদের ট্রেন মিস হ‌ওয়ার আতঙ্ক। আমাদের বলতে আমরা দুজন। 'আমি সুভাস' আমার মূখতুতো 'নবীন মামা', আমার সাত জনের টিমের একজন যে পহেলগাঁও হয়ে অমরনাথ এর স্লট না পেয়ে একা বালটাল বেসক্যাম্প থেকে যাত্রা করেছিল আর আমরা 6 জন পহেলগাঁও থেকে। কিন্তুু 10 তারিখে আমি যখন অমরনাথ দর্শন করে ব্যাগ খুঁজছি এমন সময় আমার সঙ্গে অপ্রত্যাশিত ভাবে মামার দেখা হয়ে যায় সেই 6 তারিখে জম্মুতে আলাদা হ‌ওয়ার পর। তারপর বালতাল বেসক্যাম্পে নেমে এসেছিলাম মামার সঙ্গে, আমার গ্রুপের বাকি পাঁচজন পহেলগাঁও দিকেই নেমেছিল 10 জুলাই এরোপ্লেনে।
মামার সঙ্গে আরো একজন ছিল, চলার পথে জোগার হ‌ওয়া রবি ভ‌াইপো (যেহেতু মামাকে কাকু ডাকছিল), মামা ওর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল 11 তারিখ সকালে- কলকাতার ভক্তিমান ছেলে , ভগবতীনগর ক্যাম্পের বাস থেকেই পরিচয়, বালটালে এক‌ই তাঁবুতে ছিল মামার সঙ্গে। ও আবার বৈষ্ণদেবী যাবে। মিশুকে ছেলে।
মামা বয়োজ্যেষ্ঠ 60 বছরের বালক । রবির বয়স আমার চেয়ে ও কম , এখনো বিয়ে হয়নি। একরাত আমিও একসঙ্গে কাটিয়েছিলাম, মিশুকে ছেলে সেটা আমি একদিন মিশেই বুঝেছিলাম।
যাহোক 11 তারিখ বিকেলে বাসস্ট্যান্ডে সরেজমিনে পরিস্থিতি দেখতে গেলাম।
শোনা গেল প্রাইভেট বাস কাল ছাড়বে। কিছু ক্ষন অপেক্ষা করার পর দেখলাম হুড়মুড়িয়ে কিছু লাইন মত তৈরী হল ,কিন্তুু এত ভিড় আর ঠেলাঠেলি যে টিকিট বিক্রি বন্ধ হয়ে গেল। আবার কিছুক্ষন পর পুলিশ সহায়তায় লাইন তৈরী হল, আমরা তিনজন তিনটে লাইনে দাঁড়ালাম। লাইন আর এগোয় না। তার সঙ্গে ধাক্কামুক্কি। যখন দেখলাম লাইন একটু শান্ত এবং রবি ও আমি কিছুটা সামনে পৌঁছে গেছি তখন আমি মামাকে লাইনটা ছেড়ে দিতে বল্লাম এবং ফোণটায় একটু মনোযোগ রাখতে বল্লাম।
অবশেষে তিনটে টিকিট জোগাড় হল। বাস কোথা থেকে ছাড়বে এসব দেখে তাঁবুতে ফিরে এলাম। ভোর চারটে তে বাসছাড়ার কথা। তাড়াতাড়ি লঙ্গর থেকে ডিনার করে তাঁবুতে ব্যাগ গুছিয়ে মালিক গুল মহম্মদ চাচা কে টাকাপয়সা মিটিয়ে টুথব্রাশ করে শুয়ে পরলাম। রাত প্রায় সাড়ে নটা হবে ,মাইকে শোনাগেল, রাত আড়াইটায় কনভয় বাস ছাড়বে ; 10, 11 তারিখে যাত্রা সম্পুর্ণ করা যাত্রীরা যেতে পারবেন। কিন্তুু আমাদের প্রাইভেট বাস এর টিকিট হয়ে গেছে তাই 'আমাদের জীবন টাকার চেয়ে দামী' সেটা ভূলে গেলাম ,তাছাড়া ভোর আড়াইটায় বাস ধরা মানে ঘুম ও ঠিকমত হবেনা , আমি তো ঘোড়া করে এসে ছিলাম কিন্তু মামা আর রবি তো একদিনে ষোল প্লাস ষোল বত্রিশ কিমি হেঁটে ছিল সুতরাং পায়ের ব্যাথা তখনো ছিল। সুতরাং ঐ চারটের বাসই সঠিক। যথারীতি চারটার আগেই লঙ্গরে চা বিস্কুট খেয়ে 500 /600 মি হেঁটে বাসের কাছে পৌঁছে দেখি বাসবালারা বন্ধ বাসে ঘুমোচ্ছে। 4টা বাজল দেখে হাঁক ডাক করে ঘুম ভাঙিয়ে সিটে ব্যাগ রাখলাম । 5 টা পার হয়ে গেল ,বাস ছাড়েনা। সুতরাং আরো একবার চা খেয়ে একদম পিছে আমাদের নম্বরের সিটে বসলাম। ততক্ষণে বাকি সিট গুলো ভরে গেছে। প্রায় 6 টা নাগাদ দেখি একজন এসে মামার পায়ের সামনে বসে যাচ্ছে , জিজ্ঞেস করি কত নম্বর সিট? হিন্দিতে জবাব আসে অন্যের কাছে টিকিট আছে। পিছনের সিটেই বসা এক ভদ্রমহিলা ঐ কথা শুনে বল্লেন মেরা সাথ সিট বদল কর লেগা ক্যা ? নীচে বসা লোক কোন জবাব দিলনা।
তার পর আরো দু একজন করে করিডর ভরে গেল, বুঝলাম উপরি প্যাসেঞ্জার। কিছুটা হৈচৈ হলো, পিছনের সিটেই বসা ঐ ভদ্রমহিলা ও বেশ প্রতিবাদ করছিলেন। জলদি বাস ছাড়ার ও দাবি করছিলেন । অবশেষে বাস ছাড়ল 6.30 এ।
আমি রসিকতা করে বল্লাম সিট বদল নহী করেঙ্গে আম্মা জী? উনি বল্লেন - বাঁচ গয়া বাবা।
দেখি মামা বাস থেকেই সিনারির ফটো তোলাচ্ছে রবিকে দিয়ে যার জানালার ধারে সিট । রবি আর মামার মাঝের সিটে আমি , কেউ কেউ ঢুলছে, কেউ ঘুমোচ্ছে ,কেউ কথাও বলছে, পায়ের কাছে লোকটা মামার পায়ে হেলান দিচ্ছে, অস্বস্তি হ‌ওয়ায় সরতে বলছিলাম কিন্তুু সে ঠেঁস দিয়ে ঢুলছে, আর সরবেই বা কোথায়? পরে মামা বল্ল ছাড় সুভাষ- ভারত ও তো বাংলাদেশী উদ্বাস্তুদের আশ্রয় দিয়েছিল।
বাস আর এগোয় না, পাহাড়ি রাস্তা, রবি মাঝে মাঝে রাস্তায় পাহাড়ারত পুলিশদের সাড়া দিয়ে হোঁসলা বাড়াচ্ছে। বড় ব্যাগ সবার বাসের নীচে ডিকিতে। মামার কোমরে বাঁধা পাউচে চকলেট ইত্যাদি আর জল খেয়ে সময় কাটছে। একজায়গায় পেট্রল পাম্পে একটু দাড়িয়েছিল ,কিন্তুু কতক্ষণ দাঁড়াবে আগাম নোটিশ না থাকায় এবং তার উপর ঐ পিছনের সিট থেকে নামতেই অনেকটা সময় গেল তাই তাড়াতাড়ি একটু বিস্কুট জল যা পেলাম কিনে বসে পড়লাম। মামার পাশে ডানদিকে একজন তেলুগু তার ডান দিকে দিল্লীর ঐ ভদ্রমহিলা বসেছিলে়ন। আর বাঁদিকে আমি আর রবি।
আমাদের সামনের দুটো সিটে একজন ওড়িয়া, রাজস্থানী ইত্যাদি ছিল। গল্প গুজব ,তর্ক বিতর্ক সবই চলছে। ভারতবর্ষের বিভিন্ন অঞ্চলের মন্দির, মাহাত্য ইত্যাদি র গল্পই বেশি। মামার সায় না পেয়ে এবং যখন জানলেন মামা অমরনাথ গিয়েও দর্শন না করে চলে এসেছে তখন দিল্লীর ভদ্রমহিলা তো রেগে বলেই ফেল্লেন - আপ তো একদম পাপী আদমি হ্যায়। আপসে তো বাত ভি নহী করনা চাহিয়ে। আমি আশ্চর্য হয়ে দেখলাম মামা এতটুকু রাগ না করে বল্ল -কিন্তুু আমি আপনাকে যতটুকু দেখলাম বা জানলাম তাতে আপনাকে আমি খুব ভাল এবং স্মার্ট লেডি বলে মনে করি। লেডি ঘুরে প্রশ্ন ছুঁড়লেন- কিঁউ? মামা- আপনি বলছিলেন একা একা ভ্রমণ করছেন ,অনেক কিছুতে আপনাকে প্রতিবাদ করতে দেখলাম, এই যে আমাকে আপনার অপছন্দ সেটা পরিস্কার ভাবে বল্লেন। লেডি- লেকিন যদি দর্শন নহী করনা তো আপ গয়ে কিঁউ? আমি তখন বল্লাম- আপ উনকো জানতে নেহি, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে , ট্রেক করতে আর পাহাড়ের সম্মন্ধে কিছু মেসেজ প্রচার করতে গেছিলেন। এই বলে আমি মামার ট্র্যাকস্যুটের পিঠে পাহাড় সংরক্ষণের জন্য আবেদনের ফটোটা দেখালাম যার ব্যাকগ্রাউন্ডে সুন্দর বরফবালা পাহাড়ের দৃশ্য দেখা যাচ্ছিল একসাথে নামার সময় আমি স্নাপটা নিয়েছিলাম। ঐ ছবি দেখে ভদ্রমহিলা এবং তেলেগু ভদ্রলোক দুজনেই মুগ্ধ হলেন। উনাদের বাহবা তে আমাদের সামনের সিটের যাত্রীরা ও দেখে খুশি হল বিস্মিত ও হল রাস্তার এত সুন্দর দৃশ্যাবলী দেখে যা ওরা উঁচু দুর্গম পথ পরিক্রমার কষ্টে এবং অমরনাথের আকর্ষণে সেভাবে নজর করেনি। আমাকে আরো ফটো থাকলে দেখাতে বল্ল। আমি তখন মামাকে বল্লাম দেখানোর জন্য। দুএকজন ভাল লাগায় 'শেয়ার ইট' এর মাধ্যমে নিয়ে ও নিল । ওরা মামাকে বল্ল - ও আপনি মেইনলি ফটোগ্রাফি করতেই গেছিলেন? মামা জবাব দিলেন মেইনলি ট্রেক করতে , তাছাড়াও আপনাদের মত কিছু সুন্দর মানুষের দেখা পাব বলে গেছিলাম।
দিন গড়িয়ে বিকাল হয়ে যায় , সব খিদেতে ক্লান্ত, বিদ্ধস্ত কিন্তুু রাজস্থানের দুচার জনের রাত 9 টায় ট্রেন জম্মু তাওয়াই থেকে। ওরা ট্রেন মিস করতে পারে তাই দুটো মত নিয়ে ঝগড়া শুরু হয়ে গেল, পার্লামেন্টের মত হৈচৈ।ঐ দিল্লি ওয়ালীও- আরে তুমলোগোকে লিয়ে ভূখা রহেগা ক্যা বলে বাস থামানোর পক্ষে তীব্রভাবে মত প্রকাশ করেন। কিন্তুু ওদের কথা ভেবে ধ্বনি ভোটে ঠিক হল বাস দাঁড়াবেনা। কিন্তুু জ্যামের জন্য দাঁড়াচ্ছেই‌ তবে আমরা কেউ নামতে পারছিনা। এদিকে বাসের মধ্যে নড়া চড়ার উপায় নেই। মামা মনে মনে গুণ গুণ করে গান গেয়ে চলেছে আনমনে কেননা মাঝের সিটে বসে থাকায় বাইরের দৃশ্যাবলী ও সেভাবে দেখতে পাচ্ছেনা। কিন্তুু ঐ গুণ গুণানো শুনে ভদ্রমহিলা বল্লেন - জরা হামলোগো কো ভি শুনায়ে। ভূপেন হাজারিকার 'দিল হুম হুম করে' গানটা শুনে ওদের ভাললাগা প্রকাশ পেল তালির মাধ্যমে এবং কারো কারো প্রশস্তিতে । তখন ঐ ভদ্রমহিলা ও একটা ভজন গাইলেন। অন্য দু একজন ও নিজের ভাষায় কিছু গাইল। এভাবেই সময় পার হচ্ছে।
কিন্তুু সন্ধে পর্যন্ত বাস তেমন এগোলনা। তখন আরো একবার চিৎকার চেঁচামেচি, কেউ বলছে দাঁড়াও কেউ বলছে চল , ড্রাইভার কে ও গালি দিচ্ছে। মামা বোঝানোর চেস্টা করল, ড্রাইভারের কি দোষ আমরাই তো ড্রাইভারকে দাঁড়াতে না করেছিলাম ,তাছাড়া ড্রাইভার কে বিরক্ত কোরনা দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। রাত হয়ে গেলে ড্রাইভারের ঘুম ও পেয়ে যেতে পারে।‌ তাই চলতে দাও।
একদিন না খেলে কি হবে! তবে ওদের আর ট্রেন পাওয়া সম্ভব নয় তাই বাথরুম টয়লেটে যাওয়ার জন্য একটু দাঁড়াতেই হবে।
তার উপর নীচে বসা প্যাসেঞ্জার দের জন্য আমরা না দাঁড়াতে পারছি না পা নড়াতে পারছি। তার মধ্যেই ঐ ভদ্রমহিলা 'ভারতমাতা' হয়ে নীচে বসা ওদের টপকে ড্রাইভার কে একদম হরিয়ানার জাঠদের রাফ ভাসায় গালিগালাজ সহ পুলিশ ডাকব 'এফ আই আর' করব ইত্যাদি বলে ধমকি দিতে লাগল।
ফলে বাস দাঁড়াল এক বড় ময়দানে, যেখানে অনেকগুলো লঙ্গর, টয়লেট সেট ছিল। মামা বল্ল আরে এখানে তো ভগবতী নগর ক্যাম্প এর বাসে করে যাওয়ার পথে 6 তারিখে ভাল টিফিন খেয়েছিলাম ,খোবানী কিনেছিলাম। জায়গাটার নাম মনে হচ্ছে রামবন। ।কিন্তুু এখন রাত নটা বেজে গেছে, পাহাড় অঞ্চলে সন্ধেতেই ডিনার শেষ হয়। সুতরাং বেঁচে যাওয়া কিছু ভাত আর মূগডাল একটা দুটো লঙ্গরে অমৃত স্বাদে সব খেলাম। তবে খাওয়ার আগে ওয়াসরুমে যেতে পারায় , একটু চলাফেরা করতে পারায় বেশ সতেজ লাগছিলো। মামার পায়ের সামনে বসা উদ্বাস্তু টাকে একটু মামার সিটে বসতে দিয়ে মামা দেখলাম দাড়িয়ে থাকল। আমাদের রবি ও ঐ ভদ্রমহিলা সহ কিছু কিছু যাত্রীর বৈষ্ণদেবী যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। বাস দেরী হ‌ওয়ায় বিভ্রান্ত। ভাবছে ডুমেল চক নেমে যাবে না জম্মু গিয়ে ব্যাক করবে। ভদ্রমহিলা র কাছে ফোণ ছিলনা বা চার্জ ছিলনা। মামার মোবাইল দিয়ে ফোণ করিয়ে মেয়ের সঙ্গে কথা বলে আপডেট দিলেন, বৈষ্ণদেবী যাওয়ার কথা বল্লেন। আমাদের ও তার সংসার সম্মন্ধে, সংসারে কতৃত্ব সম্মন্ধে গল্প শোনাতে শোনাতে অন্যযাত্রীদের মত ঢুলতে লাগলেন। এদিকে উদ্বাস্তু ভাই ভূলেই গেল ও অন্যের সিটে বসে আছে। হঠাৎ একটা ঝাঁকূনি ,বোধহয় বাম্প, চোখ খুলে দেখি মামা ছিটকে ওর দিকে ঠেঁসে গেছে। এটা বুঝে সে মামার সিটটা ছেড়ে দিয়ে যথা রীতি মামার পায়ে হেলান দিয়ে নাক ডাকতে লাগল। মানুষের দুর্দশা দেখে মামা অতটুকু সহ্য করেই চলেছে, আগেও একবার ওকে বসতে দিয়েছিল । মামা ছাড়া আর কাউকে কিন্তুু এরকম দেখলাম না। তবে এই সহানুভূতি দেখে আমার কাছাকাছি সিটের সবাই বুঝতে পারছে ভগবৎ ভক্তির সঙ্গে মনুস্বত্বের কোন সম্পর্ক নেই যেটা ওদের বিশেষ করে ভদ্রমহিলার পরিবর্তিত কথাবার্তার থেকেই বোঝা যাচ্ছিল।
ভোর প্রায় চারটা ডোমেল এসে গেল। আমি ও নামলাম ব্যগপত্র দেখে নেওয়ার জন্য। মামা ও নামল , চালক ও নেমেছিল। মামা আশঙ্কা থেকে চালক কে বল্ল বহোৎ তকলীফ হুয়া একেলা ইতনা দেরতক গাড়ী চলা রহা হ্যায় আপ! ও আমাদেরকে আরো বিস্মিত করে বল্ল- নহী হামলোগ দো দো দিন গাড়ি চালাতা হ্যায়। এর মধ্যে কয়েকজন শুভেচ্ছা বিনিময় করে ডিকি থেকে লাগেজ বের করে বৈষ্ণদেবী র বাস এর জন্য ওদিকটায় চলে গেল যার মধ্যে আমাদের রবি ও ছিল মামার কয়েকদিনের সহযাত্রী ভাইপো, মামা পৌঁছে ফোণ করার অনুরোধ‌ জানিয়ে রাকস্যাকটা বাসের মধ্যে নিয়ে নিল কেননা বাসটা তখন একটু ফাঁকা। বাকিরা জম্মু পৌছানোর অপেক্ষার শেষ ধাপের উত্তেজনায় বাকি 30 কিমি গল্পগুজব করতে করতে ও পাহাড়ি রাতের অন্ধকার রূপ দেখতে দেখতে প্রায় সকাল 6টায় অর্থাৎ 12 ঘন্টার যাত্রা 24 ঘন্টায়
অন্য কিছু যাত্রী সহ জম্মূ পৌছলাম আমি আর মামা এক ই ট্রেন ধরার দুই বাঙালি সহযাত্রী।
কিন্তুু নামার পরেই মনে হল ভারত বর্ষটা টুকরো টুকরো হয়ে বিভিন্ন রাজ্যে বিলীন হয়ে গেল।
**KRN**
13.07.2023 JAT
Writco: 31.12.2023