"বোন=প্রেমিকা?"
-"ঐই ভাই,সত্যিই বলতে অন্য কোথাও চল তো,
ঘোরাতে বললেই, এইখানেই নিয়ে আসিস,কেনো বল তো?" বললো তানিশা।
সত্যিই...অনেকদিন পর বেরোলেও আজও এই ঝিল পাড়ে বোনকে নিয়ে এলাম; সত্যি বলতে একটা আলাদাই স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে এই জায়গার সাথে।
বললাম-
-"আচ্ছা বোনু,আগে বল,যে তুই এটা প্রশ্ন করলি,নাকি কবিতা শোনালি!"
-"তুই যেটা ভাববি,সেটাই! আসলে কবিতার মধ্যে দিয়ে প্রশ্ন করলাম...তুই তো আবার কবি মানুষ,কবিতা বেশি ভালো বুঝিস,আর তোর বোন হিসেবে,আমিও খারাপ লিখি না,কি বলিস?"- হেসে বললো তানিশা।
সত্যিই তো,মেয়েটা ঘোরার কথা বললেই এখানে নিয়ে আসি। অন্য এতো জায়গা থাকতে এখানেই । কারণটা কি বলবো?বুঝতে কি পারবে? যদিও বয়সে দুবছরের ছোট হলেও সব কিছুই বোঝে।কিন্তু এই ব্যাপারটাই অন্যরকম! তাই একটু রাগের সহিতই বললাম -
-"বেকার কথা বলিস না তো,সারাক্ষণ উলোট পালট কথা, ঘোরাতে নিয়ে এসেছি,এত সুন্দর পরিবেশ,উপভোগ কর, তা না করে খোটাই দিয়ে যা, এই ভাই কে....আর কোনোদিন যদি এনেছি তোকে..."
-"আরে,রাগ করিস কেন বলতো,বল না রে দাদা,কেন এই জায়গা টাই বার বার নিয়ে আসিস।" একটু অনুরোধের স্বরে বলল তানিশা,আর তখনই এক মুহূর্তের জন্য তাকালাম ওর দিকে....আর সত্যিই দেখতে পেলাম..সেই পুরোনো হাসি,সেই মিষ্টি ভাবে আমাকে মানানোর তার মুখের অভিব্যক্তি; সত্যিই আমার চোখ এড়াতে পারেনি। কিছুক্ষন পর মুখ নামিয়ে শান্ত গলায় বললাম:
- "না রে বোনু,সব কিছু জানা ভালো নয়... কেস(case) খেলে আমারই অবস্থা খারাপ হবে।"
- "বাহহ বাহ্হঃ,খুব সুন্দর,আমার কাছে কিছু জানতে চাইলে,থাকো তুমি বেশ..
আর আমি কিছু জানতে চাইলে,খাবে তুমি কেস(case)... বাহঃ খুব সুন্দর!"বললো তানিশা।
- "ঐই তুই তোর এই ভাটের কবিতা তোর কাছেই রাখ বুঝলি....আমার কোনো ইচ্ছা নেই,শোনার...."
- "আচ্ছা,বল না রে,এতটা অনুরোধ কাউকে করি না,কিন্তু..."
একটু হেসেই ফেললাম... বললাম-
-" সে আর বলতে...অনুরোধ নাকি..."
-" তুই বলবি কি,নাহলে কিন্তু আর......"-রাগের সহিতই বলতে যাচ্ছিল পুরো কথা,তার আগেই,আমি বললাম....
-"আচ্ছা,আচ্ছা....বলবো তোকে...কিন্তু একটা শর্তে.."
-"আমি রাজি ভাই.." - পুরো না শুনেই বলে উটলো তানিশা।
বললাম....-" আগে শুনে তো নে...এই গল্প যা শোনাবো... যার কথা বলবো,সে কে?কোথায় থাকে? নাম কি? এই সব ফালতু প্রশ্নের উত্তর আমি কিন্তু কোনো মতেই দেবো না..খালি গল্পটা শোনাবো।"
-"এর মানে এটা নিশ্চয়ই তোর প্রেমের গল্প...বুঝতেই পারছি...not bad bro...keep it up.."-কথার মাঝেই হঠাৎ বলে উঠলো তানিশা।
রাগের সহিত,উঠেই পড়লাম...আর হাঁটতে শুরু করলাম.... বলবই না কিছু....
পেছন থেকে তানিশা আমার হাত ধরে আটকে বললো..
-"please, আর হবে না রে,আর হবে না... চল না রে..বসে গল্পটা বল.....হ্যাঁ রাজি রাজি,তোর সব শর্তে রাজি...তুই শোনা খালি..."
সত্যিই অনেক কিছুই মনে হচ্ছে এখন,বলা কি ঠিক হবে?বুঝে নেবে না তো?
অনেক ভাবার পর,বলারই সিদ্ধান্ত নিলাম,আবার সেই জায়গায় গিয়ে বসলাম...তারপর শুরু করলাম বলা:
-" আজ থেকে তিনবছর আগে,যখন আমি প্রথম আমার কলেজের বন্ধুদের সাথে এখানে এসেছিলাম.....সেদিন এখানেই একটা মেয়ের সাথে প্রথম আলাপ ....আর সত্যি বলতে,প্রথম দেখাতেই আমার তাকে খুব ভালো লেগে গেছিলো...মন এর ব্যাপার বুঝতেই তো পারছিস....
আমি আমার বন্ধুদের বললাম ,এই বিষয়....সত্যিই বলতে ভগবানের দয়ায় বন্ধুও অনেক ভালো পেয়েছিলাম রে....কোন দিক দিয়ে,কিভাবে,জানি না...তবে তার নাম,কোন কলেজ.....সব কিছু দারুন ভাবে জোগাড় করে দিয়েছিল...
এমন কি তাকে প্রপোজ করার বেলায়ও প্রায় সব কিছু করে দিয়েছিল..."
-" ওরে বাবা,প্রপোজও করেছিলে...how sweet...." আমার বলার মাঝেই বলে উঠলো তানিশা।
কিন্তু আমি না থেমেই বলে গেলাম...
-"সত্যিই এমন উপকারী বন্ধু থাকলে কি না কি করা যায়..তুই জানিসও না রে...ওদের সাহায্যের জন্যই তো আমার প্রপোজ- এর উত্তরে সে হ্যাঁও বলেছিল....." এইটুকু বলে আমি একটু থামলাম...
-"তারপর,তারপর...কি হলো"- বললো তানিশা।
দূরে সেই অস্তগামী সূর্যের দিকে তাকিয়ে থেকেই বললাম...
-"তারপর কি ,সেই থেকে আমাদের প্রেমের গল্প শুরু......সময় পেলে দেখা করা থেকে শুরু করে একে ওপরের হাত ধরে রাস্তা পাশে হেঁটে চলা...এসবেরই সাক্ষী কলকাতার রাস্তাঘাট...আর এই জায়গা....''
-"Wow, কতটা রোমান্টিক রে...আমি কল্পনা করতে পারছি ..." -তানিশা বলে উঠলো...
তার দিকে তাকিয়ে হালকা হাসলাম..
-"কিন্তু......."
বলেও বলতে পারলাম না....
-"কি হলো...কিন্তু কি? পুরোটা বল" - খুব আগ্রহের সাথে বললো তানিশা।
বললাম:
-"কিন্তু সব কিছুরই একটা শেষ আছে রে...এরম একটা কথা আছে শুনেছিলাম....ঠিক সেটাই যেন কাজে লেগে গেলো আমাদের জীবনে...."
-"কেন,কি হয়েছিল,বল না রে.... একি,তুই কি কাঁদছিস রে....."
এরম বলা মাত্রই তানিশা এসে আমার চোখের জল মুছে দিলো....সে ইতিমধ্যেই বুঝতে পেরেছে নিশ্চয়ই যে ব্যাপারটা গুরুতর....
আমার একটু স্বাভাবিক হওয়ার পরই...তানিশা নিজের জায়গায় ফিরে গেলো.....তারপর বাকিটা বলতে বললো....
আমিও বলা শুরু করলাম...
-"সব কিছুই যেমন শেষ থাকে,আমাদের সম্পর্কটাও সেরকমই শেষ হলো...কিন্তু আমার ভালোবাসা নয়......
একদিন যখন কলেজে আসছিল সে,তখন তাকে একটা গাড়ি ধাক্কা মারে..... সত্যি বলছি...আমার সামনেই হয়েছিল...কিন্তু আমি তার থেকে অনেক দূরে দাঁড়িয়ে ছিলাম.... সত্যি রে....কেউ সাহায্য করতে আসেনি...আমি পাগলের মত তাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম......
ডাক্তার তাকে চেকআপ করে বললো....যে ওর নাকি মাথায় ভালো আঘাত লেগেছে.... যার জেরে সে বেচেঁ তো যাবে...তবে পুরনো সব স্মৃতি সে ভুলে যাবে...তবে তার মা বাবা,অতি পরিচিত আত্মীয়দেরই সে চিনতে পারবে.....
আর জানিস,ওর একটা বড় ভাই ছিল...সেও মারা গেছিল ক্যান্সারে........
অপারেশন হওয়ার পর যখন গেলাম...ওর সাথে দেখা করতে ওর মা-বাবার সাথে.... ও আমায় তার নিজের সেই মৃত ভাই ভাবলো...কত কাঁদলো জানিস...নিজের সেই মৃত ভাইকে ফিরে পেয়ে....তার সেই মুহূর্তে যা অবস্থা...তাকে সত্যি বলার মত সাহস আমার বা তার বাবা-মা কারোর মধ্যে ছিল না...."
-"তারপর কি হলো..."-তানিশা জিজ্ঞেস করলো।
-" তারপর আবার কি,সেই থেকে সে আমায় তার বড় ভাই মনে করে...আর তার মা-বাবাও এটাই মেনে নিয়েছে রে...'' এই বলে চুপ করলাম...
খানিকক্ষণ আমরা উভয়ই কিছুই বললাম না।
তারপর তানিশাই বললো:
-"আচ্ছা,দাদা...এত কিছু ঘটে গেছে...এই ব্যাপারটা নিশ্চয়ই আমাদের মা-বাবা জানে?"
-"হ্যাঁ,জানে ....."-বললাম আমি..
-" তাহলে আমি কেন ব্যাপারটা এতদিন জানতাম না?"
আমি ভেবেছিলাম,এরকমই কোনো একটা প্রশ্ন আসবে অপর প্রান্ত থেকে,ভেবে রেখেছিলাম কি করবো....শুধু তার দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম...আর মুচকি হাসলাম.......
ঘোরাতে বললেই, এইখানেই নিয়ে আসিস,কেনো বল তো?" বললো তানিশা।
সত্যিই...অনেকদিন পর বেরোলেও আজও এই ঝিল পাড়ে বোনকে নিয়ে এলাম; সত্যি বলতে একটা আলাদাই স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে এই জায়গার সাথে।
বললাম-
-"আচ্ছা বোনু,আগে বল,যে তুই এটা প্রশ্ন করলি,নাকি কবিতা শোনালি!"
-"তুই যেটা ভাববি,সেটাই! আসলে কবিতার মধ্যে দিয়ে প্রশ্ন করলাম...তুই তো আবার কবি মানুষ,কবিতা বেশি ভালো বুঝিস,আর তোর বোন হিসেবে,আমিও খারাপ লিখি না,কি বলিস?"- হেসে বললো তানিশা।
সত্যিই তো,মেয়েটা ঘোরার কথা বললেই এখানে নিয়ে আসি। অন্য এতো জায়গা থাকতে এখানেই । কারণটা কি বলবো?বুঝতে কি পারবে? যদিও বয়সে দুবছরের ছোট হলেও সব কিছুই বোঝে।কিন্তু এই ব্যাপারটাই অন্যরকম! তাই একটু রাগের সহিতই বললাম -
-"বেকার কথা বলিস না তো,সারাক্ষণ উলোট পালট কথা, ঘোরাতে নিয়ে এসেছি,এত সুন্দর পরিবেশ,উপভোগ কর, তা না করে খোটাই দিয়ে যা, এই ভাই কে....আর কোনোদিন যদি এনেছি তোকে..."
-"আরে,রাগ করিস কেন বলতো,বল না রে দাদা,কেন এই জায়গা টাই বার বার নিয়ে আসিস।" একটু অনুরোধের স্বরে বলল তানিশা,আর তখনই এক মুহূর্তের জন্য তাকালাম ওর দিকে....আর সত্যিই দেখতে পেলাম..সেই পুরোনো হাসি,সেই মিষ্টি ভাবে আমাকে মানানোর তার মুখের অভিব্যক্তি; সত্যিই আমার চোখ এড়াতে পারেনি। কিছুক্ষন পর মুখ নামিয়ে শান্ত গলায় বললাম:
- "না রে বোনু,সব কিছু জানা ভালো নয়... কেস(case) খেলে আমারই অবস্থা খারাপ হবে।"
- "বাহহ বাহ্হঃ,খুব সুন্দর,আমার কাছে কিছু জানতে চাইলে,থাকো তুমি বেশ..
আর আমি কিছু জানতে চাইলে,খাবে তুমি কেস(case)... বাহঃ খুব সুন্দর!"বললো তানিশা।
- "ঐই তুই তোর এই ভাটের কবিতা তোর কাছেই রাখ বুঝলি....আমার কোনো ইচ্ছা নেই,শোনার...."
- "আচ্ছা,বল না রে,এতটা অনুরোধ কাউকে করি না,কিন্তু..."
একটু হেসেই ফেললাম... বললাম-
-" সে আর বলতে...অনুরোধ নাকি..."
-" তুই বলবি কি,নাহলে কিন্তু আর......"-রাগের সহিতই বলতে যাচ্ছিল পুরো কথা,তার আগেই,আমি বললাম....
-"আচ্ছা,আচ্ছা....বলবো তোকে...কিন্তু একটা শর্তে.."
-"আমি রাজি ভাই.." - পুরো না শুনেই বলে উটলো তানিশা।
বললাম....-" আগে শুনে তো নে...এই গল্প যা শোনাবো... যার কথা বলবো,সে কে?কোথায় থাকে? নাম কি? এই সব ফালতু প্রশ্নের উত্তর আমি কিন্তু কোনো মতেই দেবো না..খালি গল্পটা শোনাবো।"
-"এর মানে এটা নিশ্চয়ই তোর প্রেমের গল্প...বুঝতেই পারছি...not bad bro...keep it up.."-কথার মাঝেই হঠাৎ বলে উঠলো তানিশা।
রাগের সহিত,উঠেই পড়লাম...আর হাঁটতে শুরু করলাম.... বলবই না কিছু....
পেছন থেকে তানিশা আমার হাত ধরে আটকে বললো..
-"please, আর হবে না রে,আর হবে না... চল না রে..বসে গল্পটা বল.....হ্যাঁ রাজি রাজি,তোর সব শর্তে রাজি...তুই শোনা খালি..."
সত্যিই অনেক কিছুই মনে হচ্ছে এখন,বলা কি ঠিক হবে?বুঝে নেবে না তো?
অনেক ভাবার পর,বলারই সিদ্ধান্ত নিলাম,আবার সেই জায়গায় গিয়ে বসলাম...তারপর শুরু করলাম বলা:
-" আজ থেকে তিনবছর আগে,যখন আমি প্রথম আমার কলেজের বন্ধুদের সাথে এখানে এসেছিলাম.....সেদিন এখানেই একটা মেয়ের সাথে প্রথম আলাপ ....আর সত্যি বলতে,প্রথম দেখাতেই আমার তাকে খুব ভালো লেগে গেছিলো...মন এর ব্যাপার বুঝতেই তো পারছিস....
আমি আমার বন্ধুদের বললাম ,এই বিষয়....সত্যিই বলতে ভগবানের দয়ায় বন্ধুও অনেক ভালো পেয়েছিলাম রে....কোন দিক দিয়ে,কিভাবে,জানি না...তবে তার নাম,কোন কলেজ.....সব কিছু দারুন ভাবে জোগাড় করে দিয়েছিল...
এমন কি তাকে প্রপোজ করার বেলায়ও প্রায় সব কিছু করে দিয়েছিল..."
-" ওরে বাবা,প্রপোজও করেছিলে...how sweet...." আমার বলার মাঝেই বলে উঠলো তানিশা।
কিন্তু আমি না থেমেই বলে গেলাম...
-"সত্যিই এমন উপকারী বন্ধু থাকলে কি না কি করা যায়..তুই জানিসও না রে...ওদের সাহায্যের জন্যই তো আমার প্রপোজ- এর উত্তরে সে হ্যাঁও বলেছিল....." এইটুকু বলে আমি একটু থামলাম...
-"তারপর,তারপর...কি হলো"- বললো তানিশা।
দূরে সেই অস্তগামী সূর্যের দিকে তাকিয়ে থেকেই বললাম...
-"তারপর কি ,সেই থেকে আমাদের প্রেমের গল্প শুরু......সময় পেলে দেখা করা থেকে শুরু করে একে ওপরের হাত ধরে রাস্তা পাশে হেঁটে চলা...এসবেরই সাক্ষী কলকাতার রাস্তাঘাট...আর এই জায়গা....''
-"Wow, কতটা রোমান্টিক রে...আমি কল্পনা করতে পারছি ..." -তানিশা বলে উঠলো...
তার দিকে তাকিয়ে হালকা হাসলাম..
-"কিন্তু......."
বলেও বলতে পারলাম না....
-"কি হলো...কিন্তু কি? পুরোটা বল" - খুব আগ্রহের সাথে বললো তানিশা।
বললাম:
-"কিন্তু সব কিছুরই একটা শেষ আছে রে...এরম একটা কথা আছে শুনেছিলাম....ঠিক সেটাই যেন কাজে লেগে গেলো আমাদের জীবনে...."
-"কেন,কি হয়েছিল,বল না রে.... একি,তুই কি কাঁদছিস রে....."
এরম বলা মাত্রই তানিশা এসে আমার চোখের জল মুছে দিলো....সে ইতিমধ্যেই বুঝতে পেরেছে নিশ্চয়ই যে ব্যাপারটা গুরুতর....
আমার একটু স্বাভাবিক হওয়ার পরই...তানিশা নিজের জায়গায় ফিরে গেলো.....তারপর বাকিটা বলতে বললো....
আমিও বলা শুরু করলাম...
-"সব কিছুই যেমন শেষ থাকে,আমাদের সম্পর্কটাও সেরকমই শেষ হলো...কিন্তু আমার ভালোবাসা নয়......
একদিন যখন কলেজে আসছিল সে,তখন তাকে একটা গাড়ি ধাক্কা মারে..... সত্যি বলছি...আমার সামনেই হয়েছিল...কিন্তু আমি তার থেকে অনেক দূরে দাঁড়িয়ে ছিলাম.... সত্যি রে....কেউ সাহায্য করতে আসেনি...আমি পাগলের মত তাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম......
ডাক্তার তাকে চেকআপ করে বললো....যে ওর নাকি মাথায় ভালো আঘাত লেগেছে.... যার জেরে সে বেচেঁ তো যাবে...তবে পুরনো সব স্মৃতি সে ভুলে যাবে...তবে তার মা বাবা,অতি পরিচিত আত্মীয়দেরই সে চিনতে পারবে.....
আর জানিস,ওর একটা বড় ভাই ছিল...সেও মারা গেছিল ক্যান্সারে........
অপারেশন হওয়ার পর যখন গেলাম...ওর সাথে দেখা করতে ওর মা-বাবার সাথে.... ও আমায় তার নিজের সেই মৃত ভাই ভাবলো...কত কাঁদলো জানিস...নিজের সেই মৃত ভাইকে ফিরে পেয়ে....তার সেই মুহূর্তে যা অবস্থা...তাকে সত্যি বলার মত সাহস আমার বা তার বাবা-মা কারোর মধ্যে ছিল না...."
-"তারপর কি হলো..."-তানিশা জিজ্ঞেস করলো।
-" তারপর আবার কি,সেই থেকে সে আমায় তার বড় ভাই মনে করে...আর তার মা-বাবাও এটাই মেনে নিয়েছে রে...'' এই বলে চুপ করলাম...
খানিকক্ষণ আমরা উভয়ই কিছুই বললাম না।
তারপর তানিশাই বললো:
-"আচ্ছা,দাদা...এত কিছু ঘটে গেছে...এই ব্যাপারটা নিশ্চয়ই আমাদের মা-বাবা জানে?"
-"হ্যাঁ,জানে ....."-বললাম আমি..
-" তাহলে আমি কেন ব্যাপারটা এতদিন জানতাম না?"
আমি ভেবেছিলাম,এরকমই কোনো একটা প্রশ্ন আসবে অপর প্রান্ত থেকে,ভেবে রেখেছিলাম কি করবো....শুধু তার দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম...আর মুচকি হাসলাম.......