বৃক্ষকাহিনী পর্ব ১
গ্রামের নাম পলাশডাঙ্গা।গালভরা নাম হলে হবে কি!সেখানকার মানুষজনের দুর্দশা আর ভোগান্তি এমন জীবন্ত চালচিত্র নিরীক্ষণ করলে মাথায় হাত দিয়ে বসে ভাবতে বাধ্য হতে হবে,যে এমন ছিরিছাঁদহীন আধা জঙ্গল আধা গ্রামের এমন নাম নিয়ে এখানকার দিন আনি দিন খাই মানুষজন কি দুবেলা ধুয়ে জল খায়!এই গ্রামের প্রতিকূল জীবনযাত্রার রোজনামচায় অন্তর্ভুক্ত গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি,সেটি হল এখানকার রাস্তা।
পায়ে চলার রাস্তায় খানাখন্দ ভর্তি,তায় বর্ষা এলেই কয়েকমাস যা অবস্হা হয় মানুষজন ঘর থেকে বাইরে বেরোবার সময় হলেই তাদের রীতিমতো কান্না আসার মতো অবস্হা হয়।এতদিন ধরে পঞ্চায়েতের কাছে রীতিমতো ধর্ণা দিয়ে অবশেষে সবুরে মেওয়া ফলেছে।জঙ্গল সাফ করতে হবে।যথাসময়ে অনেক লোক ঠিক করা হল কুড়ুল নিয়ে জঙ্গল পরিষ্কার করার জন্য।কাজ শুরু হয়ে গেল নির্দিষ্ট দিনে।তার দুদিন বাদেই ঘটল সেই ঘটনা।একজন কুড়ুলধারী একটি বটগাছে সবেমাত্র কোপ বসাতে যাবে,এমন সময় তার ছয় সাত হাত দূরত্বের মাথায় দাঁড়িয়ে থাকা আরেকটি বটগাছের একটি শাখা হঠাৎ অক্টোপাসের শুঁড়ের মতো আকৃতি ধারণ করে রাক্ষুসে গতিতে ওই কুড়ুলধারীর মাথা এমনভাবে পেঁচিয়ে ধরল যে তার শ্বাসরোধ হওয়ার উপক্রম হল।জিভ বেরিয়ে এল।প্রাণ একেবারে যায় যায় এইভাবে মিনিট পাঁচেক একেবারে জাপটে ধরে থাকার পর অবশেষে তার গলা ছেড়ে শাখাটি কেটে দেওয়া ইলাস্টিকের ফিতরের মতো দ্রুতগতিতে সুড়ুৎ করে নিজের জায়গায় ফিরে পূর্বের আকৃতি ও আকার ধারণ করে একেবারে নিরীহ পথবৃক্ষের রূপ ধারণ করল।ছাড়া পেয়ে কুড়ুলধারী মাথায় বাজ ভেঙ্গে পড়া পথিকের মতো মাথায় হাত দিয়ে,ঘাসের ওপর দুই ঠ্যাং মেলে শুয়ে ফ্যালফ্যাল করে আকাশের দিকে তাকিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলল।এমন সময় আরেকজন সাফাইকর্মী পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তাকে এইভাবে আবিষ্কার করল।কিছু একটা বিপদ আঁচ করল সে।তার মুখে চোখে জলের ছিটা দিয়ে তার হুঁশ ফেরাল ধীরে ধীরে উঠে বসল সে।আস্তে আস্তে বাকি সাফাই কর্মীরা সবাই জড়ো হল সেখানে।আস্তে আস্তে জ্ঞান ফিরল ভুক্তভোগী সাফাইকর্মীর।চোখ মেলতে লাগল ধীরে ধীরে।এবার সবাই ওর মুখের ওপর হুমড়ি খেয়ে পড়ল।দেখল এক কুঁজো ভয় গিলে ওর চোখদুটো যেন রক্তজবার মত হয়ে গেছে। আস্তে আস্তে কুঁকড়ে যাওয়া গলায় মিহি স্বর ফুটল।ওর মুখ থেকে যে অতিপ্রাকৃতিক ঘটনার বয়ান মিলল ,তাতে সকলেই ধরা নিল অতিরিক্ত মাদকসেবনে ওর মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেছে। সকলে মিলে তাকে যারপরনাই তিরস্কার করে টরে অতঃপর প্রত্যেকে যে যার কাজে মন দিল।ঘটনাটা এখানেই চাপা পড়ে গেল।
এই ঘটনার দুদিন পরে ফের আরেকজন কুড়ুলধারীকে জঙ্গলের ওই একই জায়গায় জ্ঞান হারিয়ে চিৎপটাং হয়ে শুয়ে থাকা অবস্হায় আবিষ্কার করল তার সঙ্গীসাথীরা।পূর্বের ভুক্তভোগী তখন আত্মপক্ষ সমর্থনের তীব্র রোষানল জারি রেখে সব সঙ্গীসাথীদের সাথে একত্রিত হয়ে সহকর্মীর জ্ঞান ফেরানোর উদ্দেশ্যে তার চোখেমুখে জল ছিটাতে লাগল।অতঃপর জ্ঞান ফিরল নতুন ভুক্তভোগীর।সেও তার বিস্ময়ে বিস্ফারিত লাল চোখদুটি মেলার পর ওই একই বয়ান দিল।
এবার ব্যাপারটা হাল্কা ছলে নেওয়ার আর কোনো উপায় রইল না।ব্যাপারটা সকলের মধ্যেই একটা চাপা ত্রাসের সৃষ্টি করল।
পায়ে চলার রাস্তায় খানাখন্দ ভর্তি,তায় বর্ষা এলেই কয়েকমাস যা অবস্হা হয় মানুষজন ঘর থেকে বাইরে বেরোবার সময় হলেই তাদের রীতিমতো কান্না আসার মতো অবস্হা হয়।এতদিন ধরে পঞ্চায়েতের কাছে রীতিমতো ধর্ণা দিয়ে অবশেষে সবুরে মেওয়া ফলেছে।জঙ্গল সাফ করতে হবে।যথাসময়ে অনেক লোক ঠিক করা হল কুড়ুল নিয়ে জঙ্গল পরিষ্কার করার জন্য।কাজ শুরু হয়ে গেল নির্দিষ্ট দিনে।তার দুদিন বাদেই ঘটল সেই ঘটনা।একজন কুড়ুলধারী একটি বটগাছে সবেমাত্র কোপ বসাতে যাবে,এমন সময় তার ছয় সাত হাত দূরত্বের মাথায় দাঁড়িয়ে থাকা আরেকটি বটগাছের একটি শাখা হঠাৎ অক্টোপাসের শুঁড়ের মতো আকৃতি ধারণ করে রাক্ষুসে গতিতে ওই কুড়ুলধারীর মাথা এমনভাবে পেঁচিয়ে ধরল যে তার শ্বাসরোধ হওয়ার উপক্রম হল।জিভ বেরিয়ে এল।প্রাণ একেবারে যায় যায় এইভাবে মিনিট পাঁচেক একেবারে জাপটে ধরে থাকার পর অবশেষে তার গলা ছেড়ে শাখাটি কেটে দেওয়া ইলাস্টিকের ফিতরের মতো দ্রুতগতিতে সুড়ুৎ করে নিজের জায়গায় ফিরে পূর্বের আকৃতি ও আকার ধারণ করে একেবারে নিরীহ পথবৃক্ষের রূপ ধারণ করল।ছাড়া পেয়ে কুড়ুলধারী মাথায় বাজ ভেঙ্গে পড়া পথিকের মতো মাথায় হাত দিয়ে,ঘাসের ওপর দুই ঠ্যাং মেলে শুয়ে ফ্যালফ্যাল করে আকাশের দিকে তাকিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলল।এমন সময় আরেকজন সাফাইকর্মী পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তাকে এইভাবে আবিষ্কার করল।কিছু একটা বিপদ আঁচ করল সে।তার মুখে চোখে জলের ছিটা দিয়ে তার হুঁশ ফেরাল ধীরে ধীরে উঠে বসল সে।আস্তে আস্তে বাকি সাফাই কর্মীরা সবাই জড়ো হল সেখানে।আস্তে আস্তে জ্ঞান ফিরল ভুক্তভোগী সাফাইকর্মীর।চোখ মেলতে লাগল ধীরে ধীরে।এবার সবাই ওর মুখের ওপর হুমড়ি খেয়ে পড়ল।দেখল এক কুঁজো ভয় গিলে ওর চোখদুটো যেন রক্তজবার মত হয়ে গেছে। আস্তে আস্তে কুঁকড়ে যাওয়া গলায় মিহি স্বর ফুটল।ওর মুখ থেকে যে অতিপ্রাকৃতিক ঘটনার বয়ান মিলল ,তাতে সকলেই ধরা নিল অতিরিক্ত মাদকসেবনে ওর মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেছে। সকলে মিলে তাকে যারপরনাই তিরস্কার করে টরে অতঃপর প্রত্যেকে যে যার কাজে মন দিল।ঘটনাটা এখানেই চাপা পড়ে গেল।
এই ঘটনার দুদিন পরে ফের আরেকজন কুড়ুলধারীকে জঙ্গলের ওই একই জায়গায় জ্ঞান হারিয়ে চিৎপটাং হয়ে শুয়ে থাকা অবস্হায় আবিষ্কার করল তার সঙ্গীসাথীরা।পূর্বের ভুক্তভোগী তখন আত্মপক্ষ সমর্থনের তীব্র রোষানল জারি রেখে সব সঙ্গীসাথীদের সাথে একত্রিত হয়ে সহকর্মীর জ্ঞান ফেরানোর উদ্দেশ্যে তার চোখেমুখে জল ছিটাতে লাগল।অতঃপর জ্ঞান ফিরল নতুন ভুক্তভোগীর।সেও তার বিস্ময়ে বিস্ফারিত লাল চোখদুটি মেলার পর ওই একই বয়ান দিল।
এবার ব্যাপারটা হাল্কা ছলে নেওয়ার আর কোনো উপায় রইল না।ব্যাপারটা সকলের মধ্যেই একটা চাপা ত্রাসের সৃষ্টি করল।