1 views
ভালোবাসা
এমনই এক বর্ষার দিনে রাই আর আনন্দের দেখা হয়েছিল কলেজ স্ট্রিটে।দুজনই বই কিনতে গিয়ে একটি বই কিছুতেই পাচ্ছিল না।কফিহাউজের কাছে একটি ছোট্ট দোকানে সেই বইটি পায় তারা,কিন্তু তাও এক কপি।বড় সমস্যায় পড়ে তারা,কিন্তু কিছু করার নেই বইটা সত্যই দরকার দুজনেরই। এসব ভাবতে ভাবতেই আবার আচমকা বৃষ্টি নামে।মাথা ও বই বাঁচাতে তাড়াতাড়ি আশ্রয় নেয় তারা কফিহাউজে।সেখানে বৃষ্টির কারণে ততক্ষণে ভিড় জমে গেছে।সব টেবিলই ভর্তি।কেবল দুজনের একটা ছোট টেবিল ফাঁকা ছিল।সেখানেই বসে তারা,দুটি কফির অর্ডার দিয়ে,নিজেদের মধ্যে একটু কথা শুরু করে তারা,আনন্দ প্রথম জিজ্ঞেস করে," কি করেন আপনি?"রাই জানায়,সে একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষিকা।আনন্দ জানায়,সে একটি প্রাইভেট কোম্পানির কর্মচারী।রাই মনে মনে ভাবে, এই মানুষটির এমন একটি বইয়ের কি দরকার?সে তো এই বিষয়ের কিছুই জানে না।কিন্তু আনন্দ রাইয়ের মনের কথা আঁচ করে বলে,তার মা ছিলেন একটি নাম করা স্কুলের শিক্ষিকা।তার মা-ই তাকে বিভিন্ন বই পড়ার অভ্যাস গঠন করেছেন।তাই এ বইটির নাম তার মায়ের কাছ থেকেই তিনি জেনেছেন।
এরমধ্যে কফি এসে যায়।দুজনে কফি শেষ করে দাম মিটিয়ে ঠিক করে,রাই আগে বইটি পড়বে,পড়া হয়ে গেলে সে আনন্দকে বইটি পড়তে দেবে।বৃষ্টি থামায় তারা যে যার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
বেশ কিছুদিন পর রাই আনন্দকে ফোন করে বলে, তার বইটি পড়া হয়ে গেছে,আনন্দ চাইলে রাই সেই সপ্তাহের রবিবার বইটি আনন্দকে দিতে পারে।আনন্দ রাজি হয়।রবিবার রাই একটা লাল রঙের সুন্দর কারুকাজ করা সুতির শাড়ি পড়ে গঙ্গার ধারে অপেক্ষা করে আনন্দের জন্য। রাইকে দেখে আনন্দ অভিভূত হয়ে তার দিকেই তাঁকিয়ে থাকে।রাইকে আনন্দের পছন্দ হয়।কিন্তু,মুখে কিছু বলে না।তারা মাটির ভাঁড়ে চা খায়।নিজেদের কাজের বিষয়ে কথা বলে।সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে দেখে তারা আস্তে আস্তে নিজেদের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়।এরপর থেকে তারা দরকারে,অদরকারে প্রায়ই দেখা করেছে।রাই খুব খোলামেলা কথা বলা একটি প্রানচ্ছল মেয়ে।অন্যদিকে আনন্দ একটু চুপচাপ কম কথা বলা একটি ছেলে।
একদিন আনন্দ রাইকে কফিহাউজে ডেকে পাঠায়।যেখানে তাদের প্রথম দেখা হয়েছিল। নীল আর সবুজের কম্বিনেশনে একটি হাল্কা সুতির শাড়িতে,সামান্য হাল্কা সাজে নিজেকে সাজিয়েছিল রাই। আনন্দ রঙবেরঙের ফুল নিয়ে হাজির হয়েছিল কফিহাউজে।সেই সেদিন এরই মতো কেবল দুজন বসতে পারে তেমনই টেবিল চেয়ার তারা পেল।বাইরে প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছিল। কফির অর্ডার দিয়ে আনন্দ হঠাৎই রাইয়ের হাতটা ধরে বলে,"ভালোবাসি তোমায় রাই "।রাই লজ্জায় মুখ ঢাকে।এর মধ্যেই কফি এসে পড়ে।ভালোবাসার হাওয়ায় দুটি মানুষ ভাসতে থাকে।সেই সেদিন থেকে তারা একে অপরকে ভালোবাসায় আস্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রেখেছে।বৃষ্টির দিনগুলি বোধ হয় এমনই ভালোবাসার দিন। যার জল মানুষের গায়ে লাগলে এমন করেই ভালোবাসা দিয়ে মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে।
(সকলে পড়ে জানাবেন গল্পটি কেমন লাগল। ধন্যবাদ)
© Indrani Palit Karmakar
এরমধ্যে কফি এসে যায়।দুজনে কফি শেষ করে দাম মিটিয়ে ঠিক করে,রাই আগে বইটি পড়বে,পড়া হয়ে গেলে সে আনন্দকে বইটি পড়তে দেবে।বৃষ্টি থামায় তারা যে যার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
বেশ কিছুদিন পর রাই আনন্দকে ফোন করে বলে, তার বইটি পড়া হয়ে গেছে,আনন্দ চাইলে রাই সেই সপ্তাহের রবিবার বইটি আনন্দকে দিতে পারে।আনন্দ রাজি হয়।রবিবার রাই একটা লাল রঙের সুন্দর কারুকাজ করা সুতির শাড়ি পড়ে গঙ্গার ধারে অপেক্ষা করে আনন্দের জন্য। রাইকে দেখে আনন্দ অভিভূত হয়ে তার দিকেই তাঁকিয়ে থাকে।রাইকে আনন্দের পছন্দ হয়।কিন্তু,মুখে কিছু বলে না।তারা মাটির ভাঁড়ে চা খায়।নিজেদের কাজের বিষয়ে কথা বলে।সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে দেখে তারা আস্তে আস্তে নিজেদের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়।এরপর থেকে তারা দরকারে,অদরকারে প্রায়ই দেখা করেছে।রাই খুব খোলামেলা কথা বলা একটি প্রানচ্ছল মেয়ে।অন্যদিকে আনন্দ একটু চুপচাপ কম কথা বলা একটি ছেলে।
একদিন আনন্দ রাইকে কফিহাউজে ডেকে পাঠায়।যেখানে তাদের প্রথম দেখা হয়েছিল। নীল আর সবুজের কম্বিনেশনে একটি হাল্কা সুতির শাড়িতে,সামান্য হাল্কা সাজে নিজেকে সাজিয়েছিল রাই। আনন্দ রঙবেরঙের ফুল নিয়ে হাজির হয়েছিল কফিহাউজে।সেই সেদিন এরই মতো কেবল দুজন বসতে পারে তেমনই টেবিল চেয়ার তারা পেল।বাইরে প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছিল। কফির অর্ডার দিয়ে আনন্দ হঠাৎই রাইয়ের হাতটা ধরে বলে,"ভালোবাসি তোমায় রাই "।রাই লজ্জায় মুখ ঢাকে।এর মধ্যেই কফি এসে পড়ে।ভালোবাসার হাওয়ায় দুটি মানুষ ভাসতে থাকে।সেই সেদিন থেকে তারা একে অপরকে ভালোবাসায় আস্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রেখেছে।বৃষ্টির দিনগুলি বোধ হয় এমনই ভালোবাসার দিন। যার জল মানুষের গায়ে লাগলে এমন করেই ভালোবাসা দিয়ে মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে।
(সকলে পড়ে জানাবেন গল্পটি কেমন লাগল। ধন্যবাদ)
© Indrani Palit Karmakar
