#_স্বপ্নরঙ্গীন💛💙
© All Rights Mona:
#_স্বপ্নরঙিন🧡💙
#Mohena
পর্ব -- ১
( পরিচয় পর্ব )
স্বপ্নরঙ্গিন এক দুষ্টু মিষ্টি প্রেমের গল্প।।এই গল্পের ব্যাপারে আগে কিছু বলে নিই,, এই গল্পের নায়িকার নাম "মিষ্টি",, যার বয়স 21 বছর। সে হোটেল ম্যানেজমে্টের স্টুডেন্ট,, খুবই সুইট আর কিউট একটা মেয়ে,, কিন্তু তার একটাই প্রবলেম আর সেটা হলো সে কোনো ছেলেকে সহ্য করতে পারে না...দরকার ছাড়া কোনো ছেলের সাথে কথা বলে না...ছেলেদের থেকে 20 হাত দূরে সরে থাকে,, কোনো ছেলের দিকেও তাকিয়ে দেখে না...আর সেটা কেন সেকথা জানতে পারবেন গল্পের মাধ্যমে.... লেডিজ হোস্টেলে থেকেই সে তার এডুকেশন চালাচ্ছে...বাড়ির লোকের সাথে কথা সময় মত বলে...তার জীবনের লক্ষ্য সে নিজের পরিচয় নিজেই বানাবে,, আর মেয়েরা যে কোনো অংশে কম নয় সেটাই বোঝাতে চায় সে......
এবার আসি আমাদের কাহিনীর নায়কের সম্পর্কে একটু জেনে নিতে...
আরব কাপূর বয়স 26 বছর... একজন সফল ব্যবসায়ী... বংশ পরম্পরায় ব্যবসায়ী... আর বাড়ির সবার চোখের মণি...আরব কিছু জিনিস খুব ভালো বাসে... আর সেগুলো হলো,, তার মা অর্চনা কাপুর,, ছোটো বোন অনিশা,, আর দাদিমা ললিতা...আর বড়ো দাদা আকাশ,, বৌদি হলো মেঘনা...তারপর নিজেদের ব্যবসা হলো খুব পছন্দের আরবের... আরব জীবনটাকে খুব সুন্দর করে কাটাতে ভালো বাসে...ফ্যামিলির সাথে সময় কাটাতে সে খুব ভালো বাসে...
ললিতা দেবী আর অর্চনা দেবীর মনের ইচ্ছে এবার আরবের বিয়ে দেবে...আরবকে সেই ব্যাপারে জানিয়েছে আর তাতে আরবের কোনো আপত্তি নেই...কারণ কাছে তার মায়ের কথা আর দাদীর কথা স্বয়ং ভগবানের আদেশ...কিন্তু তার একটা ইচ্ছে আছে...আর সেটা জানতে হলে স্টোরি পড়তে পড়তে জানা যাবে...
বাড়িতে সবাই খুব ব্যস্ত... কারণ হলো আজ আকাশ আর মেঘনার ছেলের birthday...।। বীর হলো আকাশ মেঘনার ছেলে... তাই সারা বাড়ি খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে...সকাল থেকেই বাড়িতে আনন্দের ধারা বয়ে চলেছে...
ললিতা --- আরে অর্চনা আমাদের বীর কোথায়...?? ( এদিকে ওদিকে তাকিয়ে দেখে )
অর্চনা --- কোথায় আর যাবে মা... বীরের ফ্রেন্ডের কাছে গেছে...( স্মাইল করে )
অনিসা --- ভাইয়ার কাছে যারা বীরের ফ্রেন্ড আর কে...( ললিতার গলা জড়িয়ে ধরে বলে )
মেঘনা --- দাদিমা আমরা নামেই বাবা মা,, ও তো যতক্ষণ পারে ভাইয়ার কাছেই থাকে...
অনিসা আর মেঘনার ভাইয়া হলো "আরব"।। বিরকে আরব আর বির আরবকে খুব ভালোবাসে...যখন বির জানতে পারে যে তার "অ্যাব" বাড়িতে আছে তখনই সে তার কাছেই থাকে...আরবকে ললিতা,, অর্চনা,, আর আকাশ এরা অ্যাব বলে ডাকে...আর আকাশকে সবাই "আশ" বলে ডাকে...আর অনিশাকে "অনি"।।
এবার আমরা একটু দেখে আসি আরব আর বীর কি করছে...
আরবের রুমের......
আরব ইজি চেয়ারে বসে আর তার কোলের মধ্যে বসে বীর,, আরবের হাতে গিটার,, আরব গিটার বাজিয়ে গান করছে,, তার সাথে গুনগুন করছে বির....দুজনেই বেশ মেজাজে রয়েছে...
আরবের রুম খুব সুন্দর করে সাজানো... বেডের উপরের দেয়ালে আরবের একটা বড় ফটো... বুকস সেলফ রয়েছে এক পাশে,, তারপর সোফা রাখা,, ছোটো রুমের মধ্যে তার পোশাক আশাক,, বড়ো একটা আলমিরা রয়েছে ওই ছোট রুমে...আর মেইন রুমে চারিদিকে flowers রাখা,, আরব ফ্লাওয়ার খুব পছন্দ করে...
আরব ফ্লাওয়ার পছন্দ করে বলেই গার্ডেনে রকমারি ফুলের গাছ লাগানো...আর সবচেয়ে বড় কথা সেসব গাছের যত্ন আরব নিজের হাতেই করতে ভালো বাসে...
বির --- অ্যাব...অ্যাব...( আরবের কোলে বসে )
আরব --- ইয়েস buddy...( আরব বীরকে buddy বলে ডাকে )
বির --- তলো ( চলো )।। ( আরবকে ডেকে )
আরব --- কোথায় যাবো...???( হাত থেকে গিটার রেখে দিয়ে,, বিরের দিকে তাকিয়ে )
বির --- নিতে..( নিচে )।। আম্মা ( আমরা ) থেলবো ( খেলবো )।।
আরব --- ok buddy...( বীরকে জড়িয়ে ধরে কিস করে )
বিরও আরবকে জড়িয়ে ধরে আর অনেক গুলো কিস করে...আরব বীরকে কোলে নিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে যায়...নিচে মেনে আস্তে আস্তে বলে...
আরব --- আজ আমরা অনেক অনেক মজা করবো buddy...( কোলে নিয়ে বলে বীরকে )
বির --- থুব ( খুব ) মজা....( আরবের গলা জড়িয়ে ধরে )
আরব --- ইয়েস...( বীরের নাকে নাক ঘষে )
মেঘনা --- ঠাম ওই দেখো ভাইয়া আর বির...( আরব আর বীরকে দেখিয়ে )
অর্চনা --- এটা আবার নতুন কি...আমাদের এই জিনিস ত রোজই দেখতে হয়...
ললিতা --- সেটাই তো...
আকাশ --- এই বাড়িতে দুই ফ্রেন্ড থাকে...আরব আর বীর...( হেসে উঠে )
বির --- দেত ( দেখো )আমদেল ( আমাদের ) তি ( কি ) বলতে ( বলছে )....( সবাইয়ের হাসি মুখ গুলো দেখে )
আরব --- ওরা আমাদের ফ্রেন্ডশিপ নিয়ে কথা বলে তুমি সেটা জানো ত buddy....( বীরের গালে হাত দিয়ে )
বির আরবের মুখের দিকে তাকিয়ে সুইট একটা স্মাইল করে... আরবও স্মাইল করে....
ললিতা --- তা বির ভাই তুমি কি আমাদের সাথে একটু গল্প করবে না...( বীরের দিকে তাকিয়ে )
বির আরবের দিকে তাকিয়ে দেখে...
আরব --- কি বলছে ঠ্যাম...( বীরের দিকে তাকিয়ে )
অর্চনা --- আমরা তো আমাদের বীরকে খুব মিস করছি,, আজ সবাই কত্তো গিফট দেবে...( হেসে )
বির সবার দিকে তাকায়...আর একবার করে আরবের দিকে তাকায়...
মেঘনা --- দেখো ঠাম্ কেমন ভাইয়ার দিকে দেখছে আমাদের দেখে দেখে...
আকাশ --- আমাদের থেকেও যে ওর প্রাণ অ্যাব...
ললিতা --- দুজনের ভাব দেখলে মনে হয় ওরা চাচা ভাতিজা নয়,, বাবা ছেলে...( হেসে হেসে বলে )
অর্চনা --- সেটাই তো মা...
আকাশ --- আমি যা না করি অ্যাব তাই তাই করে ওর জন্য...আর অ্যাবকে চোখে হারায় বীর...
অনিসা কথা বলতে যাবে...ঠিক তখন একজন লোক এসে বলে....
লোক --- আরব স্যার আপনাকে একজন খুঁজছেন...
সবাই তাকায় লোকটার দিকে...
আকাশ --- রঘু দা কে এসেছে...??? ( লোকটার দিকে তাকিয়ে )
আরব তাকিয়ে থাকে,,
রঘু --- গাড়ির কোম্পানি থেকে এসেছে....আর আরব স্যারকে খুঁজছে....
ললিতা --- গাড়ির কোম্পানি...
আকাশ --- অ্যাব তোর গাড়িতে কি কিছু প্রবলেম হয়েছে???( আরবের দিকে তাকিয়ে )
আরব বীরের দিকে তাকায়,, অর্চনা আরবের মুখের দিকে তাকিয়ে এক ঝলক দেখে নিয়ে সবার দিকে তাকিয়ে বলে...
অর্চনা --- অ্যাবের গাড়ির কোন প্রবলেম হয়নি...
আকাশ --- তাহলে গাড়ির কোম্পানি থেকে লোক কেন...( অবাক হয়ে )
আরব --- রঘু দা তুমি ওদের গার্ডেনে বসাও আমি আসছি....
রঘু --- ঠিক আছে আরব স্যার...( চলে যায় )
আকাশ --- কি রে অ্যাব বল কেন এসেছে গাড়ির লোক....???( আরবের কাছে এসে )
অর্চনা --- বীরের জন্য গিফট এসেছে....( আরবের দিকে তাকিয়ে )
সবাই অবাক হয়ে বলে..." কি???"
অর্চনা --- কি আমি ঠিক বললাম তো অ্যাব...( স্মাইল করে আরবের দিকে দেখে )
ললিতা --- কি রে অ্যাব বল....
মেঘনা/ আকাশ --- মম যা বলছে সেটা কি সত্যি....???( অবাক হয়ে তাকিয়ে )
অনিসা --- ভাইয়া আমাদের বীরের জন্য গাড়ি কিনেছো তুমি???( অবাক হয়ে তাকিয়ে )
আরব সবার দিকে তাকিয়ে স্মাইল করে,, আর বীরকে একটা কিস করে বলে....
আরব --- ইয়েস মম ইজ রাইট...আমি এবার birthday তে বীরকে গাড়ি গিফট করলাম....( স্মাইল করে )
আকাশ --- ও কি এখন গাড়ি চালাতে পারে...তুই না সত্যি পাগল বুঝলি,,
মেঘনা --- এটা একদম ঠিক বলেছো তুমি আকাশ...এসব কেন করেছো ভাইয়া..?? বির সবে 5 years...
ললিতা --- কি রে অ্যাব এসব কি করেছিস তুই...
আরব --- উফফ তোমরা কেন বকছ বলো তো...
ললিতা --- এমন পাগলামি করলে তোকে বোকা খেতেই হবে...
অর্চনা --- আমায় একদিন বলেছিল যে ওর ইচ্ছে বীরকে গাড়ি দেবে ও,, কিন্তু এখনই দেবে সেটা তা জানতাম না...
আরব --- এই গাড়ি করেই বীর স্কুলে যাবে,, আর সব জায়গায় ঘুরতে যাবে...আর বীরের 5 years birthday তাই স্পেশাল গিফট তো দিতেই হবে....এবার সবাই চলো আমার buddy র নিউ কার দেখতে....( স্মাইল করে )
সবাই আর কিছু বলার সুযোগ পায় না কারণ আরব তার আগেই বীরকে নিয়ে দৌড়ে গার্ডেনের দিকে চলে যায়...