অভিনয়ের ভালোবাসা
অভিনয়ের ভালোবাসা
নববধু রূপে খাটে একা বসে আছে অনিতা। কিছুক্ষন আগেই পার্লারের লোক এসে তাকে বধু রূপে সাজিয়ে বসিয়ে দিয়ে গেল। কিছুক্ষন পর তার বিয়ের লগ্ন। তার বাবার পছন্দ করা ছেলের সাথে বিয়ে ঠিক হয়েছে। ছেলেটার নাম অভীক ব্যানার্জী। কলকাতার নামকরা বিজনেস ম্যানের একমাত্র ছেলে অভীক। কিন্তু সে তো এই ছেলেটিকে বিয়ে করতে চায় না। সে তা অন্য কাউকে ভালোবাসে। কি করে সে ভালোবাসার মানুষকে ছেড়ে অন্য কাউকে বিয়ে করবে? অনেকক্ষন ধরে আয়ানকে ফোন করছে কিন্তু আয়ান ফোন ধরছে না। যতবার ফোন করেছে ততোবারই বার ফোন কেটে দিচ্ছে তার। খুব বিরক্ত হলো অনিতা। আয়ান অনিতার প্রেমিক। নিজের পরিবারের পর অনিতা একমাত্র আয়ানকেই ভালোবাসে।
অনিতার পুরো নাম হলো অনিতা রায় চৌধুরী। রাকেশ রায় চৌধুরীর একমাত্র মেয়ে। অনিতার বাবা একজন ব্যাংক ম্যানেজার। বেশ অবস্হাসমপন্ন পরিবার তার। কখনো কোনো কিছুর অভাব হয়নি তার। মাত্র ১০ বছর বয়সে তার মা মারা যায়। তারপর থেকে তার বাবা তাকে মানুষ করে তোলে। সে তার বাবাকে খুবই ভয় পায়। তার বাবা খুবই রাগি প্রকৃতির মানুষ একজন। তাও সে মনের শক্তি সঞ্চয় করে তার বাবাকে আয়ানের কথা বলে। কিন্তু তার বাবা সাথে সাথেই না করে দেয়। এই দিকে অনিতা আয়ানকে বলল তার বাবার সাথে দেখা করতে, কিন্তু আয়ান বার বার কথাটি এড়িয়ে গেল।
অনেক বার ফোন করার পর যখন আয়ান ফোন ধরল না অনিতা খুব কষ্ট পেল। অনেক কষ্টে সে তার কান্না চেপে রাখল। কিছুক্ষন পর শুনলো বর এসেছে। তখন তার খুড়তুতো, মাসতুতো বোনরা, দিদিরা সবাই তাকে নিতে আসল। তার কাজিনরা তাকে নিয়ে যাওয়ার সময় বাবার রুমের থেকে কারোর চিৎকারের আওয়াজ শুনতে পেল। তখন অনিতা বলল " তোরা যা, আমি আসছি। " তারপর তার কাজিনরা চলে যাওয়ার পর সে তার বাবার রুমের দিকে এগিয়ে গেল। তার বাবার রুম থেকে যা শুনতে পেল তা শুনেই একদম স্তব্ধ হয়ে গেল। সঙ্গে সঙ্গে অনিতার চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ল। তখনই দৌড়ে সে নিজের রুমে চলে আসলো। এসেই জোরে জোরে কাঁদতে লাগল। তারপর ঠিক করল এখান থেকে পালিয়ে যাবে। সব গয়নাগাটি খুলে একটা পার্স আর ফোন হাতে নিয়ে বেড়িয়ে পড়ল। দৌড়ে গিয়ে বাস স্টপে পৌঁছালো। সাথে সাথে বাস পেয়েও গেলো এবং উঠে পড়ল বাসে। আয়ানের বাড়ি আগে কখনোই যায়নি। কিন্তু একবার তার বাড়ির ঠিকানা বলেছি। আয়ানের পরিবারে আয়ান আর তার মা বাবা থাকে। আয়ানই একবার বলেছিল তাকে কথাটি। এখন রাত ৯:০০ টা বাজে। বাসে উঠে আয়ানকে দু-তিনবার ফোন করল, কিন্তু আয়ান তাও ফোন ধরে নি। আজ অনিতা বড্ড ক্লান্ত। শুধু তার শরীরই নয় মনটাও বড্ড ক্লান্ত। তার এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না তার বাবা তার সাথে এমন কিছু করতে পারল।...
নববধু রূপে খাটে একা বসে আছে অনিতা। কিছুক্ষন আগেই পার্লারের লোক এসে তাকে বধু রূপে সাজিয়ে বসিয়ে দিয়ে গেল। কিছুক্ষন পর তার বিয়ের লগ্ন। তার বাবার পছন্দ করা ছেলের সাথে বিয়ে ঠিক হয়েছে। ছেলেটার নাম অভীক ব্যানার্জী। কলকাতার নামকরা বিজনেস ম্যানের একমাত্র ছেলে অভীক। কিন্তু সে তো এই ছেলেটিকে বিয়ে করতে চায় না। সে তা অন্য কাউকে ভালোবাসে। কি করে সে ভালোবাসার মানুষকে ছেড়ে অন্য কাউকে বিয়ে করবে? অনেকক্ষন ধরে আয়ানকে ফোন করছে কিন্তু আয়ান ফোন ধরছে না। যতবার ফোন করেছে ততোবারই বার ফোন কেটে দিচ্ছে তার। খুব বিরক্ত হলো অনিতা। আয়ান অনিতার প্রেমিক। নিজের পরিবারের পর অনিতা একমাত্র আয়ানকেই ভালোবাসে।
অনিতার পুরো নাম হলো অনিতা রায় চৌধুরী। রাকেশ রায় চৌধুরীর একমাত্র মেয়ে। অনিতার বাবা একজন ব্যাংক ম্যানেজার। বেশ অবস্হাসমপন্ন পরিবার তার। কখনো কোনো কিছুর অভাব হয়নি তার। মাত্র ১০ বছর বয়সে তার মা মারা যায়। তারপর থেকে তার বাবা তাকে মানুষ করে তোলে। সে তার বাবাকে খুবই ভয় পায়। তার বাবা খুবই রাগি প্রকৃতির মানুষ একজন। তাও সে মনের শক্তি সঞ্চয় করে তার বাবাকে আয়ানের কথা বলে। কিন্তু তার বাবা সাথে সাথেই না করে দেয়। এই দিকে অনিতা আয়ানকে বলল তার বাবার সাথে দেখা করতে, কিন্তু আয়ান বার বার কথাটি এড়িয়ে গেল।
অনেক বার ফোন করার পর যখন আয়ান ফোন ধরল না অনিতা খুব কষ্ট পেল। অনেক কষ্টে সে তার কান্না চেপে রাখল। কিছুক্ষন পর শুনলো বর এসেছে। তখন তার খুড়তুতো, মাসতুতো বোনরা, দিদিরা সবাই তাকে নিতে আসল। তার কাজিনরা তাকে নিয়ে যাওয়ার সময় বাবার রুমের থেকে কারোর চিৎকারের আওয়াজ শুনতে পেল। তখন অনিতা বলল " তোরা যা, আমি আসছি। " তারপর তার কাজিনরা চলে যাওয়ার পর সে তার বাবার রুমের দিকে এগিয়ে গেল। তার বাবার রুম থেকে যা শুনতে পেল তা শুনেই একদম স্তব্ধ হয়ে গেল। সঙ্গে সঙ্গে অনিতার চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ল। তখনই দৌড়ে সে নিজের রুমে চলে আসলো। এসেই জোরে জোরে কাঁদতে লাগল। তারপর ঠিক করল এখান থেকে পালিয়ে যাবে। সব গয়নাগাটি খুলে একটা পার্স আর ফোন হাতে নিয়ে বেড়িয়ে পড়ল। দৌড়ে গিয়ে বাস স্টপে পৌঁছালো। সাথে সাথে বাস পেয়েও গেলো এবং উঠে পড়ল বাসে। আয়ানের বাড়ি আগে কখনোই যায়নি। কিন্তু একবার তার বাড়ির ঠিকানা বলেছি। আয়ানের পরিবারে আয়ান আর তার মা বাবা থাকে। আয়ানই একবার বলেছিল তাকে কথাটি। এখন রাত ৯:০০ টা বাজে। বাসে উঠে আয়ানকে দু-তিনবার ফোন করল, কিন্তু আয়ান তাও ফোন ধরে নি। আজ অনিতা বড্ড ক্লান্ত। শুধু তার শরীরই নয় মনটাও বড্ড ক্লান্ত। তার এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না তার বাবা তার সাথে এমন কিছু করতে পারল।...