...

5 views

অভিশপ্ত_বাড়ি
#অভিশপ্ত_বাড়ি

#পর্ব_১

#লেখনিতেঃ @ইচ্ছে ডাইরি

স্যার কই যান??? –দারোয়ান

কেন এই বাড়িতে।এই বলে আশেপাশে সবাইকে খুজতে লাগলাম।–রাসেল

এই কথা শুনে দারোয়ান আমার দিকে কতক্ষন তাকিয়ে রইল।দেখে মনে হচ্ছে খুব অবাক হচ্ছে।

এই যে চাচা কি হল।(একটু ঝাকুনি দিলাম) –রাসেল

স্যার আপনি এই বাড়িতে কেন যাবেন???–দারোয়ান

আসলে আমরা বেশ কয়েকজন ফেন্ড মিলে এখানে কয়েক দিনের জন্য পিকনিক করতে আসছি।ত এখানে আমাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।এইযে ঠিকানা।ঠিকানাটা দারোয়ান চাচাকে দেখালাম।–রাসেল

এটাত এখানের ঠিকানা না এটা এই রাস্তার বিপরীতে যে রাস্তা আছে সেখান থেকে ডান দিকে গেলে এই ঠিকানার বাড়ি। –দারোয়ান

ওহ আচ্ছা।ধন্যবাদ চাচা।তারপর দারোয়ান চাচাকে সালাম দিয়ে চলে গেলাম।কিন্তু মাথায় একটা কথা কিছুতেই ধুকছে না যে বাড়িটার কথা জিজ্ঞেস করতে এমন করল কেন???–রাসেল

-----যাই হক আমি চাচার দেখানো রাস্তায় চলে গেলাম। গিয়ে দেখি ওরা সবাই চলে আসছে। শুধু আমি বাকি।
ওরা আমারে দেখে বলতে লাগল কিরে কই ছিলি।

আসলে আমি ভুল রাস্তায় চলে গেছিলাম। –রাসেল

ও বলল কি ভুল রাস্তা কিন্তু তরে ত আমি বাড়ির ঠিকানা মেসেজ করছিলাম তাহলে কিভাবে

আরে হে করছিলি কিন্তু কিভাবে কেমন করে যেন ভুল হল। –রাসেল

ঠিকই আছে আমাদের সাথে না আসার ফল কতবার বলছি চল একসাথে যাই না সে একা আসবে এবার বোঝ মজা–নিতু

আমি কি ইচ্ছে করে এমন করছি নাকি।–রাসেল

যাই হক চল বাড়ির ভিতরে যাই। –আকাশ

হে চল বাড়ির ভেতরে গেলাম। এখানে আসতে আসতে রাত হয়ে গেল তাই আর বের হওয়া হয় নাই, কারো সথে তেমন কথাও হয় নাই।সবাই ঘুমায় গেলাম।সকালে আমার ঘুম ভেঙে গেল নিতুর ডাকে। নিতু আমার বেষ্ট ফেন্ড।

কিরে ঘুমানোর জন্য আসছছ নাকি এখানে।–নিতু

কেন রে কি হল –রাসেল

তাড়াতাড়ি ওঠ সবাই মিলে বাহিরের আশপাশটা দেখব।–নিতু

ওহ তা তুই একা কেন রাতুল, আকাশ,মি.......আর কিছু বলতে দিল না আমায়।

ঐ তুই কি শুরু করছছ হে ওরা সবাই নিচে তর জন্য বসে আছে। কিন্তু তুই কিনা বকবক শুরু করছছ। যা তাড়াতাড়ি রেডি হ। –নিতু

কি আর করার ধমক খেয়ে চলে গেলাম ফ্রেশ হতে।ফ্রেশ হয়ে বাহিরে যেতেই সব তেরে আসল –রাসেল

কিরে শয়তান এতক্ষন লাগে আসতে। –মিষ্টি

কি করব বল আ....আর বলতে দিল না –রাসেল

কিরে তোরা এখানে এখন এগুলা বলতে থাকবি চল। একটু ঘুরে আসি।–রিয়া

হে ঠিক বলছিছ রিয়া চল।আর কেউ কোন কথা বলবে না । সবাই চল।–নিতু

এবার সবাই মিলে চলে গেলাম আশেপাশে দেখতে চলে গেলাম।রাতুল গাড়ি ড্রাইভ করতাছে।বলতাছে কিরে কই যাব???

যেখানে যাবি যা, কিন্তু যায়গাটা যেন সুন্দর হয়।–মিষ্টি

মিষ্টি র কথা শুনে হাসতে লাগলাম। রিয়া বুঝতে পারল মিষ্টি কিছু বলবে তাই তার আগেই রিয়া বলে উঠল মিষ্টি চকলেট খাবি।আসলে মিষ্টি চকলেট পাগল। তাই বলল দে তাড়াতাড়ি হাহাহা।

অনেকটা পথ যাওয়ার পর হটাৎ রাতুল গাড়ি থামাল।

কিরে কি হ।নিতু চুপ হয়ে গেল সামনে তাকিয়ে ওর এভাবে তাকানো দেখে আমরা সবাই সামনে তাকাই আর দেখি খুব সুন্দর একটা যায়গা

""""নদী তার সামনে বড় বড় গাছ, নদীর এইপার থেকে ঐ পার দেখা যাচ্ছে। নদীতে নৌকা ভিরানো এর সামনে একটা বাড়ি। বাড়িটা খুব সুন্দর। আমরা বাড়ির ভিতরে যাওয়ার প্লান করছিলাম।তাই বাড়ির সামনে যাই,, গিয়ে দেখি দারোয়ান,, তাই তার কাছে গিয়ে বললাম চাচা কেমন আছেন??

বলল ভাল। কিন্তু এখানে কি করছ।ঘুরতে এসেছ বুঝি। তা এই জায়গাটা কেমন। বাড়ির ভিতর যাবে নাকি। দারোয়ান

এক দমে এই কথাগুলো বলল। আমরা সবাই অবাক বাড়ির ভিতরে যাওয়ার কথা শুনে। আমরা বললাম কিন্তু বাড়ির মালিক।

কিছু বলবেনা ওনি খুব ভাল মানুষ।দারোয়ান

আমরা বললাম হে যাব। তখন চাচা আমাদের নিয়ে গেল।ভিতরে গিয়েত অবাক এত সুন্দর বাগান। বাগানের ভিতর দিয়ে যাচ্ছে আর ফুলের গ্রান নিচ্ছে নিতু আর রিয়া সাথে সাথে সেলফিও তুলছে ওদের সাথে সবাই সহ আমিও যোগ দিলাম। তারপর কিছুক্ষন পর বাড়ির ভিতরে গিয়ে ত অবাক এত সুন্দর সব জিনিস এত ভাল করে সাজানো কি বলব বলাম মত না। অতপর চাচা কাকে যেন ডাকতে গেল। আর আমরা সবাই বাড়ির জিনিস দেখতে ব্যস্ত।একটু পর চাচা একজন বয়স্ক মানুয়কে সাথে করে নিয়ে আসেন,দেখে মনে হচ্ছে৭০ কি ৭২ বছর বয়স হব। তখন চাচা বলেন এনি এই বাড়ির মালিক। আমরা সবাই তাকে সালাম দিলাম। তিনি সালামের উওর নিলেন আর কুশল বিনিময় করলেন আর দারোয়ান চাচাকে উদ্দেশ্য করে বললেন

ওদের আপ্পায়নোর ব্যবস্থা কর।–বাড়ির মালিক

চাচা চলে গেল একটু পর অনেক কিছু নিয়ে আমাদের সামনে হাজির হল।আমরাও হাসি মুখে সব কিছু নিচ্ছি আর বাড়ির মালিকের সাথে কথা বলছি। ১ ঘন্টার মত থেকে তার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসলাম। বাড়ির মালিক অবশ্য বলেছিল দুপুরে খেয়ে যেতে কিন্তু আমরা থাকি নি। এর পর আর কোথাও যাইনি সোজা
পিকনিকের জন্য যে বাড়িটা দেখেছিল সেখানে চলে গেলাম। গিয়ে নামার পর বাড়ির দিকে তাকিয়ে আমি হতবাক।কিভাবে সম্ভব এটা???!!!!!

চলবে............
© All Rights Reserved