আমার অনিন্দিতা
১.
আমি ইমন। ক্লাস নাইন- এ পড়ি। আজকে আমি প্রথম টিউশন-এ যাব।
একটু ভয় ভয় করছে, এতজনের মাঝখানে তো কখন পড়াশোনা করিনি, বাবা মা এত কাল নিজেরাই পড়িয়েছেন, শুধু সাইন্স সাবজেক্ট গুলোর জন্য টিচার ছিল। এই প্রথম আমি এত ছেলে-মেয়ের মাঝে বসে পড়ব, একটু নার্ভাস লাগছে।
আমি ছাপোষা একটা বাংলা মিডিয়াম এর স্টুডেন্ট, ইংরেজিটা ঠিক আসেনা, তাই মা বাবার মিলিত সিদ্ধান্তে , এই ইংলিশ টিউশন এ পড়তে যাওয়া। আমার টিউশন উত্তর কলকাতায়। কলকাতা বলতে আমার দৌড় চিড়িয়াখানা, জাদুঘর আর ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল। এই গন্ডির বাইরে কলকাতা শহর কে আমি চিনিনা।
বাগবাজারে যাওয়ার জন্য আমরা লঞ্চ -এ উঠেছি। সময় যত এগোচ্ছে আমার বুকের ঢিপঢিপানি তত বাড়ছে।স্যারের প্রশ্নের উত্তর যদি ঠিক ঠাক ভাবে ইংলিশ এ দিতে না পারি কি হবে তখন? সবাই তো হাসবে। উফঃ তখন যে আমি কোথায় মুখ লুকাবো কে জানে।
২.
- স্যার আসতে পারি?
আমার বাবার এই প্রশ্নে যিনি ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালেন, সেই তিনি কে দেখে আমি প্রচন্ড অবাক হলাম। স্যার ইংলিশ মিডিয়াম এর স্টুডেন্ট ছাড়া পড়ান না, তাই আমার ধারণা হয়েছিল, এনি লম্বা-চওড়া, স্তুল চেহারার গম্ভীর প্রকৃতির কোন রাশভারি মানুষ হবেন, কিন্তু দেখলাম উনি সম্পূর্ণ তার বিপরীত। রোগা পাতলা চেহারা, উচ্চতা মাঝারি, চোখে পাতলা কালো ফ্রামের চশমা আর নাকের নিচে একটা মাঝারি আকারের গোঁফ। এই গোঁফ জিনিসটিকে আমি সাংঘাতিক অপছন্দ করি। আমার নিজের গোঁফ বেরোলেও, আমি বেশি দিন সেটাকে ঠিকতে দিই না। জিনিসটা কেন জানি না আমার বড় নোংড়া লাগে।
স্যার এর খোঁজ বাবার অফিসের একজন কলিগের থেকে বাবা পেয়েছেন। কলিগ কাকুর মেয়ে এনার কাছে পরেই ইংলিশ এ ৯৫ পেয়েছিল মাধ্যমিকে। অতএব ইনিই সেরা।
- হাঁ আসুন।
- স্যার, আমি ইমন এর বাবা। আপনার সাথে ফোনে কথা হয়েছিল, আপনি আজকে থেকে আসতে বলেছিলেন।
- হ্যাঁ হ্যাঁ। মনে আছে।
স্যার এবার আমার দিকে তাকিয়ে জিগ্যেস করলেন
- অ্যানুয়াল...
আমি ইমন। ক্লাস নাইন- এ পড়ি। আজকে আমি প্রথম টিউশন-এ যাব।
একটু ভয় ভয় করছে, এতজনের মাঝখানে তো কখন পড়াশোনা করিনি, বাবা মা এত কাল নিজেরাই পড়িয়েছেন, শুধু সাইন্স সাবজেক্ট গুলোর জন্য টিচার ছিল। এই প্রথম আমি এত ছেলে-মেয়ের মাঝে বসে পড়ব, একটু নার্ভাস লাগছে।
আমি ছাপোষা একটা বাংলা মিডিয়াম এর স্টুডেন্ট, ইংরেজিটা ঠিক আসেনা, তাই মা বাবার মিলিত সিদ্ধান্তে , এই ইংলিশ টিউশন এ পড়তে যাওয়া। আমার টিউশন উত্তর কলকাতায়। কলকাতা বলতে আমার দৌড় চিড়িয়াখানা, জাদুঘর আর ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল। এই গন্ডির বাইরে কলকাতা শহর কে আমি চিনিনা।
বাগবাজারে যাওয়ার জন্য আমরা লঞ্চ -এ উঠেছি। সময় যত এগোচ্ছে আমার বুকের ঢিপঢিপানি তত বাড়ছে।স্যারের প্রশ্নের উত্তর যদি ঠিক ঠাক ভাবে ইংলিশ এ দিতে না পারি কি হবে তখন? সবাই তো হাসবে। উফঃ তখন যে আমি কোথায় মুখ লুকাবো কে জানে।
২.
- স্যার আসতে পারি?
আমার বাবার এই প্রশ্নে যিনি ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালেন, সেই তিনি কে দেখে আমি প্রচন্ড অবাক হলাম। স্যার ইংলিশ মিডিয়াম এর স্টুডেন্ট ছাড়া পড়ান না, তাই আমার ধারণা হয়েছিল, এনি লম্বা-চওড়া, স্তুল চেহারার গম্ভীর প্রকৃতির কোন রাশভারি মানুষ হবেন, কিন্তু দেখলাম উনি সম্পূর্ণ তার বিপরীত। রোগা পাতলা চেহারা, উচ্চতা মাঝারি, চোখে পাতলা কালো ফ্রামের চশমা আর নাকের নিচে একটা মাঝারি আকারের গোঁফ। এই গোঁফ জিনিসটিকে আমি সাংঘাতিক অপছন্দ করি। আমার নিজের গোঁফ বেরোলেও, আমি বেশি দিন সেটাকে ঠিকতে দিই না। জিনিসটা কেন জানি না আমার বড় নোংড়া লাগে।
স্যার এর খোঁজ বাবার অফিসের একজন কলিগের থেকে বাবা পেয়েছেন। কলিগ কাকুর মেয়ে এনার কাছে পরেই ইংলিশ এ ৯৫ পেয়েছিল মাধ্যমিকে। অতএব ইনিই সেরা।
- হাঁ আসুন।
- স্যার, আমি ইমন এর বাবা। আপনার সাথে ফোনে কথা হয়েছিল, আপনি আজকে থেকে আসতে বলেছিলেন।
- হ্যাঁ হ্যাঁ। মনে আছে।
স্যার এবার আমার দিকে তাকিয়ে জিগ্যেস করলেন
- অ্যানুয়াল...