খোলা চিঠি
🦋🌷খোলাচিঠি 🍂🌷
শ্রী রাজু গরাই ২০শে মে ২০২৩
অন্তরা,
অধিকারলিপি মহাঅঙ্গীকারে পৃথ্বীতলে স্ফীতবুকে
শোকসাগর সে বোঝে না, অহংকারের সম্মুখে
ঠুনকো পিরিতি মরণপিরিতি, চিরজীবী প্রেম স্রোতে...
আমার আমি তোমায় ভালোবাসি, শোনো; অনাদিকাল হতে !
যে ভালোবাসার সূচনা চেয়েছিলে অজান্তেই কোমল আখিঁর তির্যক দৃষ্টিতে । সেখান থেকেই ম্লান হয়েছে অন্য যা কিছু চাওয়া পাওয়া। তোমার ছন্দের সভ্যতায় নতুন ভোরের সান্নিধ্য যেন অন্তঃকরণকে আরও একবার বিবশ করে সূর্য ওঠার অপেক্ষায় রেখে গেল। আসলে নির্ঘুম রাত্রি যেন জোয়ারের আগুনে শরীরকে বশীভূত করে ফেলেছে, যা তোমার কোমল স্পর্শের গাঢ়ত্ব ভেঙে খান খান করে দেবে একাকীত্ব কে ।
সেদিন বুঝেছিলাম তোমার মধ্যে যে আগুন সুপ্ত আজ, কোনো একদিন দেখব তার অঙ্গে অঙ্গে সেই রূপের প্রকাশ যেন পৃথিবীর সমস্ত বিষন্নতা ধুয়ে মুছে সাফ করে দিয়েছে । কিন্ত সেই আগুন কোথায় যেন অহংকারের মায়াজালে জড়িয়ে গেছে । অচেনাকে চেনার আগ্রহে হাত বাড়িয়েছো আরেক পৃথিবী গড়ার অছিলায় । ব্যস্ততম ঘড়ির কাঁটা বন্দি করে ফেলেছে স্মৃতির খেলাঘরে জীবন্তলাশের সমাধি।
আজ কয়েকটা হেমন্ত রাতের আঁধারকে বিষন্ন করে তুলেছে। বুঝিয়ে দিতে চেয়েছে নোনা জলের আয়োজন গোধূলির স্নিগ্ধ কাব্যের ভেতর দিয়েই যাত্রা করে। যোগাযোগ যেটুকু ছিল তাও তো অহংকারের আধিপত্যে ঝেড়ে ফেলে দিতে চাইলে।
ফোনটা দেখে রেখে দাও এখন, আর মনে মনে ভাবো ক্লান্ত দুপুরের ফাঁকা মাঠের মতোই একা করে দিয়েছি তোমায়। অবাধ্যের মতন চলমান জীবনের মধ্যাহ্নে ভাটা পড়েছে, জোয়ার আসতে আসতে মেরুদণ্ড বোধহয় দিগন্তের উজ্জ্বলতায় মুখ লুকাবে। শান্ত শিথিল নামহীন প্রেম হতাশায় দীর্ঘশ্বাস ফেলতে দিধাগ্রস্ত বোধ করবে না ।
ঘুম হয় না, তোমার কথাতে আমি বুঝেছিলাম এখনও সময় চাইছো। আসলে দুঃস্বপ্নের বেড়াজাল যে কতটা ভয়ঙ্কর তা টের পাচ্ছি আকাশে ঘনমেঘের ঘনঘটা দেখে। শুনেছি এখন তোমার প্রায়ই মন খারাপ, যদিও পড়াশোনার পরিবেশে চাপ থাকাটা বাধ্যতামূলক তবুও উদাস আখিঁ ঘুরেফিরে যেন কিছু অনুভব করে, মাতাল বাতাসের মতো নীরবতা ভেঙে ধূসর পাতায় মোড়া একাকীত্বের অসহ্য যন্ত্রনাকে মুক্তি দিতে চায়।
তবে বলি,
ধূমকেতুর মতো হয়ো না, পৃথিবীর মহাকাশে রয়ে যাবে হয়তো; আঁখিঅঞ্চলে তাঁর স্মৃতি ক্ষতবিক্ষত করে তুলবে সর্বঅঙ্গ সারাক্ষণ।
বন্দি থাকা আখিঁজল বাঁধ মানবে না বিবশে, রাত্রির গহীন অন্ধকার দূরত্বকে আরও লক্ষযোজন দূরত্বে আগুন জ্বালিয়ে কায়া ছারখার করে দিতে পিছপা হবে না, নেমে আসবে তীব্র নৈঃশব্দ। যা তুমি সহ্য করতে পারবে না !
তুমি বলেছিলে নীল রং ভীষণ প্রিয়, নীলের সৌন্দর্যে আমার কিশোরী চিত্ত প্রস্ফুটিত হয় অলিখিত গল্পের নিদ্রাভঙ্গে। আমি বুঝেছিলাম এ কোনো সাধারণ যন্ত্রণা নয়, নাভিমূল থেকে সৃষ্ট পীড়া কোশ থেকে কোশে প্রহার করে। ধমনী রক্ত বহন করতে পারে না, দুঃস্বপ্নের মতো তাড়া করে বেড়ায়। মনে ভাবো আমার অসম্পূর্ণতা বোধহয় শূন্যতায় ভরা এক ব্যক্তিগত পৃথিবী যা নিংড়ে নেয় প্রত্যেকটা মুহূর্ত।
এটাই স্বাভাবিক, অন্তঃকরণে যে প্রণয়ের আগুন ঝলসে দেয় বার বার, স্থির থাকতে দেয় না... সে প্রণয় হীরে'র চেয়েও খাঁটি ।
তুমি কেমন আছো !
জিজ্ঞাসায় অবাক হলাম, বুঝলাম "তুমি ভালো নেই"--
ভালো নেই কোনো কিছুতে ভালো লাগা,
ভালো নেই অস্বাভাবিক কষ্টে রাত্রিজাগা ।
ভালো নেই ঠিকানাবিহীন এক একটা স্বপ্ন পাওয়া
ভালো নেই স্পর্শহীন প্রতিটি রাতের ছুঁয়ে যাওয়া ।
অপেক্ষার প্রতিটি মুহূর্তে এখানে দরজা খুলে যায়, ঠিকানাবিহীন গন্তব্যের রাজপথে থমকে যায় চেনা আলো, পথ পাই না। এ জন্ম তবে কি বৃথা! হলুদ শাড়ির লাল আঁচলে যে ফাগুন দিনভর কোকিলের নরম সুর শোনাতো, সেখানে এখন বিরহের অভিমান নিত্য বিরাজে নানা অছিলায়। রাঙিয়ে যাওয়া ফাগুন, পলাশের আতর, পাহাড়ি ঝর্ণার মধ্য দিয়ে যে ভালোবাসার মাদকতা ছিল সেও এখন খুঁজে চলেছে....আর বলছে...
চলতে চলতে যেদিন প্রথম আলোয় ভিজেছি,
তোমার সাঁজশহরের ছন্দে...
কৃষ্ণচূড়ার ফাগুনে সেজেছি সেদিন
তোমার রূপে, তোমার তনু'র গন্ধে !
কিন্তু,
তুমি কোথায়..!!
বৃষ্টির আয়োজনে নীরব দর্শক সেজে একাকীত্ব পথ হাঁটে, কোথায় কোথায় খুঁজিনি তোমায়! পাহাড়ি নদীর খরস্রোতা কে উপেক্ষা করে ছুটেছি পর্বতে, বরফ জমা হিমালয় থেকে দিগন্তরেখা বরাবর হেঁটে নেমে এসেছি সমতলে । বলতে পারো
অনুভবের মধ্যে মিশে গিয়ে চোখ বন্ধ করেই আঁকড়ে ধরেছি তোমায়, এ যেন অন্য এক অনুভুতি।
তাইতো বার বার ভাবি--
এলোকেশে যখন দেখবে নদীতীরে বকুলের তলে
শ্যাওলামাখা পথের আড়ালে,
নয়ন ভরা জলে...
বেড়েছে বেলা শহরের প্রতি ইঁটে
পুরনো গল্প সুখ খুঁজে বিশ্বাসের আঁচে ।
ভালোবাসার চাদর জড়িয়ে নিলেই, ভালোবাসাটা বাঁচে ।
নয়তো,
সন্ধ্যার আকাশে সহসা দু-চোখে দেখবে...
ঐ যে আলোর ঝলকানি, ওখানেই যত আয়োজন
দায়িত্ব টুকু স্বীকার করেই মেনেছি, তোমাকেই প্রয়োজন!
যেখানেই থেকো, ভালো থেকো.... ।
ইতি---
তোমার রাজ
আরামবাগ, চাঁদুর, ১৯শে মে ২০২৩
বাংলা: ৪ঠা জ্যেষ্ঠ ১৪৩০
সকাল: ১০টা. ৩৫ মিনিট
© কলমে...শ্রী রাজু গরাই
#WritcoQuote #writco #writer #writerRajuGarai #story #antara #Love&love #facebook #instagram #RajuGarai
শ্রী রাজু গরাই ২০শে মে ২০২৩
অন্তরা,
অধিকারলিপি মহাঅঙ্গীকারে পৃথ্বীতলে স্ফীতবুকে
শোকসাগর সে বোঝে না, অহংকারের সম্মুখে
ঠুনকো পিরিতি মরণপিরিতি, চিরজীবী প্রেম স্রোতে...
আমার আমি তোমায় ভালোবাসি, শোনো; অনাদিকাল হতে !
যে ভালোবাসার সূচনা চেয়েছিলে অজান্তেই কোমল আখিঁর তির্যক দৃষ্টিতে । সেখান থেকেই ম্লান হয়েছে অন্য যা কিছু চাওয়া পাওয়া। তোমার ছন্দের সভ্যতায় নতুন ভোরের সান্নিধ্য যেন অন্তঃকরণকে আরও একবার বিবশ করে সূর্য ওঠার অপেক্ষায় রেখে গেল। আসলে নির্ঘুম রাত্রি যেন জোয়ারের আগুনে শরীরকে বশীভূত করে ফেলেছে, যা তোমার কোমল স্পর্শের গাঢ়ত্ব ভেঙে খান খান করে দেবে একাকীত্ব কে ।
সেদিন বুঝেছিলাম তোমার মধ্যে যে আগুন সুপ্ত আজ, কোনো একদিন দেখব তার অঙ্গে অঙ্গে সেই রূপের প্রকাশ যেন পৃথিবীর সমস্ত বিষন্নতা ধুয়ে মুছে সাফ করে দিয়েছে । কিন্ত সেই আগুন কোথায় যেন অহংকারের মায়াজালে জড়িয়ে গেছে । অচেনাকে চেনার আগ্রহে হাত বাড়িয়েছো আরেক পৃথিবী গড়ার অছিলায় । ব্যস্ততম ঘড়ির কাঁটা বন্দি করে ফেলেছে স্মৃতির খেলাঘরে জীবন্তলাশের সমাধি।
আজ কয়েকটা হেমন্ত রাতের আঁধারকে বিষন্ন করে তুলেছে। বুঝিয়ে দিতে চেয়েছে নোনা জলের আয়োজন গোধূলির স্নিগ্ধ কাব্যের ভেতর দিয়েই যাত্রা করে। যোগাযোগ যেটুকু ছিল তাও তো অহংকারের আধিপত্যে ঝেড়ে ফেলে দিতে চাইলে।
ফোনটা দেখে রেখে দাও এখন, আর মনে মনে ভাবো ক্লান্ত দুপুরের ফাঁকা মাঠের মতোই একা করে দিয়েছি তোমায়। অবাধ্যের মতন চলমান জীবনের মধ্যাহ্নে ভাটা পড়েছে, জোয়ার আসতে আসতে মেরুদণ্ড বোধহয় দিগন্তের উজ্জ্বলতায় মুখ লুকাবে। শান্ত শিথিল নামহীন প্রেম হতাশায় দীর্ঘশ্বাস ফেলতে দিধাগ্রস্ত বোধ করবে না ।
ঘুম হয় না, তোমার কথাতে আমি বুঝেছিলাম এখনও সময় চাইছো। আসলে দুঃস্বপ্নের বেড়াজাল যে কতটা ভয়ঙ্কর তা টের পাচ্ছি আকাশে ঘনমেঘের ঘনঘটা দেখে। শুনেছি এখন তোমার প্রায়ই মন খারাপ, যদিও পড়াশোনার পরিবেশে চাপ থাকাটা বাধ্যতামূলক তবুও উদাস আখিঁ ঘুরেফিরে যেন কিছু অনুভব করে, মাতাল বাতাসের মতো নীরবতা ভেঙে ধূসর পাতায় মোড়া একাকীত্বের অসহ্য যন্ত্রনাকে মুক্তি দিতে চায়।
তবে বলি,
ধূমকেতুর মতো হয়ো না, পৃথিবীর মহাকাশে রয়ে যাবে হয়তো; আঁখিঅঞ্চলে তাঁর স্মৃতি ক্ষতবিক্ষত করে তুলবে সর্বঅঙ্গ সারাক্ষণ।
বন্দি থাকা আখিঁজল বাঁধ মানবে না বিবশে, রাত্রির গহীন অন্ধকার দূরত্বকে আরও লক্ষযোজন দূরত্বে আগুন জ্বালিয়ে কায়া ছারখার করে দিতে পিছপা হবে না, নেমে আসবে তীব্র নৈঃশব্দ। যা তুমি সহ্য করতে পারবে না !
তুমি বলেছিলে নীল রং ভীষণ প্রিয়, নীলের সৌন্দর্যে আমার কিশোরী চিত্ত প্রস্ফুটিত হয় অলিখিত গল্পের নিদ্রাভঙ্গে। আমি বুঝেছিলাম এ কোনো সাধারণ যন্ত্রণা নয়, নাভিমূল থেকে সৃষ্ট পীড়া কোশ থেকে কোশে প্রহার করে। ধমনী রক্ত বহন করতে পারে না, দুঃস্বপ্নের মতো তাড়া করে বেড়ায়। মনে ভাবো আমার অসম্পূর্ণতা বোধহয় শূন্যতায় ভরা এক ব্যক্তিগত পৃথিবী যা নিংড়ে নেয় প্রত্যেকটা মুহূর্ত।
এটাই স্বাভাবিক, অন্তঃকরণে যে প্রণয়ের আগুন ঝলসে দেয় বার বার, স্থির থাকতে দেয় না... সে প্রণয় হীরে'র চেয়েও খাঁটি ।
তুমি কেমন আছো !
জিজ্ঞাসায় অবাক হলাম, বুঝলাম "তুমি ভালো নেই"--
ভালো নেই কোনো কিছুতে ভালো লাগা,
ভালো নেই অস্বাভাবিক কষ্টে রাত্রিজাগা ।
ভালো নেই ঠিকানাবিহীন এক একটা স্বপ্ন পাওয়া
ভালো নেই স্পর্শহীন প্রতিটি রাতের ছুঁয়ে যাওয়া ।
অপেক্ষার প্রতিটি মুহূর্তে এখানে দরজা খুলে যায়, ঠিকানাবিহীন গন্তব্যের রাজপথে থমকে যায় চেনা আলো, পথ পাই না। এ জন্ম তবে কি বৃথা! হলুদ শাড়ির লাল আঁচলে যে ফাগুন দিনভর কোকিলের নরম সুর শোনাতো, সেখানে এখন বিরহের অভিমান নিত্য বিরাজে নানা অছিলায়। রাঙিয়ে যাওয়া ফাগুন, পলাশের আতর, পাহাড়ি ঝর্ণার মধ্য দিয়ে যে ভালোবাসার মাদকতা ছিল সেও এখন খুঁজে চলেছে....আর বলছে...
চলতে চলতে যেদিন প্রথম আলোয় ভিজেছি,
তোমার সাঁজশহরের ছন্দে...
কৃষ্ণচূড়ার ফাগুনে সেজেছি সেদিন
তোমার রূপে, তোমার তনু'র গন্ধে !
কিন্তু,
তুমি কোথায়..!!
বৃষ্টির আয়োজনে নীরব দর্শক সেজে একাকীত্ব পথ হাঁটে, কোথায় কোথায় খুঁজিনি তোমায়! পাহাড়ি নদীর খরস্রোতা কে উপেক্ষা করে ছুটেছি পর্বতে, বরফ জমা হিমালয় থেকে দিগন্তরেখা বরাবর হেঁটে নেমে এসেছি সমতলে । বলতে পারো
অনুভবের মধ্যে মিশে গিয়ে চোখ বন্ধ করেই আঁকড়ে ধরেছি তোমায়, এ যেন অন্য এক অনুভুতি।
তাইতো বার বার ভাবি--
এলোকেশে যখন দেখবে নদীতীরে বকুলের তলে
শ্যাওলামাখা পথের আড়ালে,
নয়ন ভরা জলে...
বেড়েছে বেলা শহরের প্রতি ইঁটে
পুরনো গল্প সুখ খুঁজে বিশ্বাসের আঁচে ।
ভালোবাসার চাদর জড়িয়ে নিলেই, ভালোবাসাটা বাঁচে ।
নয়তো,
সন্ধ্যার আকাশে সহসা দু-চোখে দেখবে...
ঐ যে আলোর ঝলকানি, ওখানেই যত আয়োজন
দায়িত্ব টুকু স্বীকার করেই মেনেছি, তোমাকেই প্রয়োজন!
যেখানেই থেকো, ভালো থেকো.... ।
ইতি---
তোমার রাজ
আরামবাগ, চাঁদুর, ১৯শে মে ২০২৩
বাংলা: ৪ঠা জ্যেষ্ঠ ১৪৩০
সকাল: ১০টা. ৩৫ মিনিট
© কলমে...শ্রী রাজু গরাই
#WritcoQuote #writco #writer #writerRajuGarai #story #antara #Love&love #facebook #instagram #RajuGarai