...

8 views

কাঠবেড়ালি
বিস্তারিত আলো শিশিরের শান্ত নূপুরের মতো
যখন উথলে ওঠে শীতল অশথে,
পাঁচিলের পাশে আচ্ছাদিত বটের ফলের কোণে,
বাতাবির ত্বকে তখন ফাগুনের প্রজাপতি আসে ;
পৃথিবীর ছায়া গেছো মগডাল হতে
রোমশ হাতের আদুরে তালুদুটিতে –
একটি বাদাম, আখরোট লয়ে আনে।

চোখ যার আতাটির বীজ, ঘন বদ্বীপের মত,
ছাইরঙা আঁধারের পর সামান্য এক দেহে
প্রভাতপ্রলেপে প্রোজ্জ্বল যার গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন,
নেউলের ন্যায় প্রস্থান যার ক্ষিপ্র প্রতিবর্তে,
তার যেন কত কথা কইবার শখ –
গালে মাখা স্নেহে !
লেজ তুলে বলে তারও সমানাধিকার –
সবুজের সভাগৃহে।
তাড়া আছে; তবু কোটরের খোঁজে –
মেলেছে সে একজোড়া কোমল নয়ন।

এই পৃথিবীটা বড়ো নিজ তার,
বাক্যের মরমার্থ নিয়ে সংশয় নেই মনে ;–
তাই তো বিরল মাটির উপর, কাঁঠালডালের ভিতর
নির্বিবাদী হেটেছিল সে রবির ফসল গুনে।
তবে বিকেল-পাড়ার মফ:স্বলে ইঁট-নুড়ির চাতালে
কোদালের খোঁচা সরায়েছে ঘর, দেখা নেই এতক্ষণে;
জ্যোতিষ্কের নিভে আসা চাহনীর ন্যায় নিথর, সে –
কোথা হতে যেন উঁকি দিয়ে যায় বসতি লোপের দিনে!


© soumik299