কবিগুরুকে শ্রদ্ধার্পণ
কবিগুরুকে শ্রদ্ধার্পণ
কি গান গাবো আজি, কি সুর বাঁধিব বল,
তোমার সুরের নদী বয়ে চলে কলকল,
লেখার মাধুরী তব শত যুগে উজ্জ্বল,
তোমার ভাবের মোহ আজও আছে অবিচল।
রবির পরশ লেগে আজও নদী পাহাড়ে,
জেগে ওঠা বনানী ভরে থাকে বাহারে।
শিশু সব করে রব ছন্দের জোয়ারে,
নিদ্রায় জাগরণে; দুপুরের আহারে।।
ভানুসিংহ নাম তব ছদ্মের আড়ালে,
তব ভাবে এক হয় ব্রাহ্মণ চাঁড়ালে।
সুখ আসে দুখী মনে শোক তাপ তাড়ালে,
আর আসে তব সুরে মন প্রাণ হারালে।।
ভোর আসে রাত যায় তব স্মৃতি রয়ে যায়,
একই ভাবে মনে মনে সুর তব বয়ে যায়।
দিকে দিকে অদ্রী ক্রমে ক্রমে ক্ষয়ে যায়,
তব লেখনীর মায়া তবু আজও রয়ে যায়।।
উপাধিরে করে পর দেশ তব প্রাণনাথ,
যাক যাক মুছে যাক আজ তবে জাত পাত।
আশ্লেষ করিবারে মেলো সবে দুই হাত,
কেটে যাবে ঠিক তবে তমসায় ভরা রাত।।
হাজার পাতায় যত ছিল তব পদ্য,
আজও শত যুগ পরে আছে অনবদ্য।
কিছু কিছু মনহরা ছিল তব গদ্য,
আজও যেন লাগে তা লেখা অতি সদ্য।।
বৈশাখ পঁচিশে জানেন সকল জন,
ধরা পরে কবিগুরু হল তব আগমন।
দৈব বায়ুর স্রোতে যত শ্যামল বন,
শিল্পীর পরশে সোঁপে দিল প্রাণ মন।।
আজও মোরা পঁচিশে গাই তব সঙ্গীত,
দিকে দিকে হেরি সবে সাম্যের ইঙ্গিত,
জোঁরাসাকো হতে সেই সুদুরের রঙ্গীত,
সংস্কৃতি মোড়ো এই বঙ্গভূমির ভিত।।
আহ্বান করি মোরা তোমারে বারংবার,
ধরার হৃদয় মাঝে ঢেলে তব সম্ভার,
দিয়েছো নূতন ভাষা; নব অলংকার।
তাই তুমি বাঙালির অমর অহংকার।।
© Dipanjan
কি গান গাবো আজি, কি সুর বাঁধিব বল,
তোমার সুরের নদী বয়ে চলে কলকল,
লেখার মাধুরী তব শত যুগে উজ্জ্বল,
তোমার ভাবের মোহ আজও আছে অবিচল।
রবির পরশ লেগে আজও নদী পাহাড়ে,
জেগে ওঠা বনানী ভরে থাকে বাহারে।
শিশু সব করে রব ছন্দের জোয়ারে,
নিদ্রায় জাগরণে; দুপুরের আহারে।।
ভানুসিংহ নাম তব ছদ্মের আড়ালে,
তব ভাবে এক হয় ব্রাহ্মণ চাঁড়ালে।
সুখ আসে দুখী মনে শোক তাপ তাড়ালে,
আর আসে তব সুরে মন প্রাণ হারালে।।
ভোর আসে রাত যায় তব স্মৃতি রয়ে যায়,
একই ভাবে মনে মনে সুর তব বয়ে যায়।
দিকে দিকে অদ্রী ক্রমে ক্রমে ক্ষয়ে যায়,
তব লেখনীর মায়া তবু আজও রয়ে যায়।।
উপাধিরে করে পর দেশ তব প্রাণনাথ,
যাক যাক মুছে যাক আজ তবে জাত পাত।
আশ্লেষ করিবারে মেলো সবে দুই হাত,
কেটে যাবে ঠিক তবে তমসায় ভরা রাত।।
হাজার পাতায় যত ছিল তব পদ্য,
আজও শত যুগ পরে আছে অনবদ্য।
কিছু কিছু মনহরা ছিল তব গদ্য,
আজও যেন লাগে তা লেখা অতি সদ্য।।
বৈশাখ পঁচিশে জানেন সকল জন,
ধরা পরে কবিগুরু হল তব আগমন।
দৈব বায়ুর স্রোতে যত শ্যামল বন,
শিল্পীর পরশে সোঁপে দিল প্রাণ মন।।
আজও মোরা পঁচিশে গাই তব সঙ্গীত,
দিকে দিকে হেরি সবে সাম্যের ইঙ্গিত,
জোঁরাসাকো হতে সেই সুদুরের রঙ্গীত,
সংস্কৃতি মোড়ো এই বঙ্গভূমির ভিত।।
আহ্বান করি মোরা তোমারে বারংবার,
ধরার হৃদয় মাঝে ঢেলে তব সম্ভার,
দিয়েছো নূতন ভাষা; নব অলংকার।
তাই তুমি বাঙালির অমর অহংকার।।
© Dipanjan