প্রতিবাদ
---প্রতিবাদ---
কলমে-রশ্মিতা দাস
লৌহবেড়ির নিষ্পেষিত
রক্তাক্ত প্রাণ,
টাকার অঙ্কে সওদা হত
নিকেষ করে মান।
আমেরিকার বুকে
ক্রীতদাসের ভেজা রক্ত,
গদি কত করত নরম
হিসাব করা শক্ত।
বর্বরতার আদিমতা
পিশাচবেদীর ফুলে,
অশ্রু নিয়ে মহোৎসবের
বিষাদগাঁথা বলে।
নীলচাষিদের জীবনদাহের
আত্মাহুতির পুঁজি,
নীলকরদের টাকার খাদান,
এবং রুটিরুজি।
দুইটি টাকা দাদন দিয়ে
জীবন কেনাবেচা,
লোভের খাঁচায় কয়েদ হত
মরা এবং বাঁচা।
মা বোনেদের ইজ্জত নিয়ে
চলত পুতুলখেলা,
রক্তের নীলে মাটির বুকে
স্তব্ধ কথা বলা।
সাদা থানের ভাঁজে
কত নারীর অশ্রুগাঁথা,
আমৃত্যু চাতক হিয়ায়
লিখেছে জীবনকথা।
স্বামীর চিতায় দেহ ছুঁড়ে
অলীক পুণ্যলাভে,
খোল করতালে জুগিয়েছে প্রাণ
মত্ত কলরবে।
তাচ্ছিল্য-অবহেলা-
অপমানের মালা,
শ্মশানভূমির চিতায় পুড়ে
ভস্ম হত জ্বালা।
ইংরেজদের শাষণ কায়েম
পরাধীনতা জারি,
দেশের মাটির লাজের কালোয়
মানের মহামারী।
আগুন জ্বালে ক্ষীপ্র দাহে
নির্যাতনের রশি,
ফাঁস দিয়ে দেশবাসীর গলে
বানিয়েছে দাসদাসী।
ভারতবর্ষ ছিল শুধুই
পায়ের কলুর বলদ,
কেতন জুড়ে বিদেশীদের
জয়ধ্বনির সনদ।
বাজারে আজও সওদা হত
মানুষরূপী ছাগ,
বিদ্রোহ আজ ঘুচিয়েছে সেই
অন্ধকারের দাগ।
দিগম্বর আর বিষ্ণুচরণ
নীলের রক্তে দ্রোহে,
চাষীর বুকে আগুন হয়ে
তীব্র জীবনদাহে
ঘুচিয়ে সেই করালছায়া
সূর্যাস্তের লালে,
দেখিয়েছিলেন জীবনদিশা
আবর্তনের কালে।
আজও নারী পুড়ত চিতায়
জড়িয়ে সাদাথান,
রামমোহন যদি নীরব হতেন
রেখে আপন মান।
আজও দেশে মাটির বুকে
পরাধীনতার গ্লানি,
পাঁজর জুড়ে ক্ষত র দাহে
হত মৃত্যুবাণী।
বিপ্লবীরা সেদিন যদি
গৃহের ছাওয়ার তলে,
লুকোতেন সেই বজ্রধ্বনি
অমোঘ মহাকালে
দৃপ্তকন্ঠে ক্ষীপ্র তেজের
আগুন যদি চুপ,
দেশের মাটি বিলাত মান
হয়ে পোড়াধূপ।
"সব অন্যায় বৈধ।"
যদি বিদ্রোহ থাকে ভীত,
প্রতিবাদ তাই করো মালাহার
জ্বালাও আগুন শত।
কলমে-রশ্মিতা দাস
লৌহবেড়ির নিষ্পেষিত
রক্তাক্ত প্রাণ,
টাকার অঙ্কে সওদা হত
নিকেষ করে মান।
আমেরিকার বুকে
ক্রীতদাসের ভেজা রক্ত,
গদি কত করত নরম
হিসাব করা শক্ত।
বর্বরতার আদিমতা
পিশাচবেদীর ফুলে,
অশ্রু নিয়ে মহোৎসবের
বিষাদগাঁথা বলে।
নীলচাষিদের জীবনদাহের
আত্মাহুতির পুঁজি,
নীলকরদের টাকার খাদান,
এবং রুটিরুজি।
দুইটি টাকা দাদন দিয়ে
জীবন কেনাবেচা,
লোভের খাঁচায় কয়েদ হত
মরা এবং বাঁচা।
মা বোনেদের ইজ্জত নিয়ে
চলত পুতুলখেলা,
রক্তের নীলে মাটির বুকে
স্তব্ধ কথা বলা।
সাদা থানের ভাঁজে
কত নারীর অশ্রুগাঁথা,
আমৃত্যু চাতক হিয়ায়
লিখেছে জীবনকথা।
স্বামীর চিতায় দেহ ছুঁড়ে
অলীক পুণ্যলাভে,
খোল করতালে জুগিয়েছে প্রাণ
মত্ত কলরবে।
তাচ্ছিল্য-অবহেলা-
অপমানের মালা,
শ্মশানভূমির চিতায় পুড়ে
ভস্ম হত জ্বালা।
ইংরেজদের শাষণ কায়েম
পরাধীনতা জারি,
দেশের মাটির লাজের কালোয়
মানের মহামারী।
আগুন জ্বালে ক্ষীপ্র দাহে
নির্যাতনের রশি,
ফাঁস দিয়ে দেশবাসীর গলে
বানিয়েছে দাসদাসী।
ভারতবর্ষ ছিল শুধুই
পায়ের কলুর বলদ,
কেতন জুড়ে বিদেশীদের
জয়ধ্বনির সনদ।
বাজারে আজও সওদা হত
মানুষরূপী ছাগ,
বিদ্রোহ আজ ঘুচিয়েছে সেই
অন্ধকারের দাগ।
দিগম্বর আর বিষ্ণুচরণ
নীলের রক্তে দ্রোহে,
চাষীর বুকে আগুন হয়ে
তীব্র জীবনদাহে
ঘুচিয়ে সেই করালছায়া
সূর্যাস্তের লালে,
দেখিয়েছিলেন জীবনদিশা
আবর্তনের কালে।
আজও নারী পুড়ত চিতায়
জড়িয়ে সাদাথান,
রামমোহন যদি নীরব হতেন
রেখে আপন মান।
আজও দেশে মাটির বুকে
পরাধীনতার গ্লানি,
পাঁজর জুড়ে ক্ষত র দাহে
হত মৃত্যুবাণী।
বিপ্লবীরা সেদিন যদি
গৃহের ছাওয়ার তলে,
লুকোতেন সেই বজ্রধ্বনি
অমোঘ মহাকালে
দৃপ্তকন্ঠে ক্ষীপ্র তেজের
আগুন যদি চুপ,
দেশের মাটি বিলাত মান
হয়ে পোড়াধূপ।
"সব অন্যায় বৈধ।"
যদি বিদ্রোহ থাকে ভীত,
প্রতিবাদ তাই করো মালাহার
জ্বালাও আগুন শত।