...

5 views

গৃহ দ্বন্দ্ব
গৃহদ্বন্দ
বিষয়ের বিষে মণটা মিশে
মানুষ হয়েছে হিংস্র আজ।
গুরু লঘু জ্ঞান হারায়ে তারা
রক্তের হোলি খেলছে আজ।
বৃদ্ধ কাকা আর ভাইপোর মাঝে
বিষয় নিয়ে হচ্ছে কলহ
কেউ ছাড়িবেনা একচুল বিষয় তাদের ।
দুজনে নিজ নিজ জায়গাতে স্থির।
তাই বিষয়ের বিষে মণটা মিশে। গুরু লঘু জ্ঞান হারায়ে ফেলিল সে।
আচমকায় আসি হাতে নিয়া লাঠি
আঘাত করিল সে বৃদ্ধ কাকারে।
আহোত কাকারে দেখি
আরেক ভাইপো আসিল ছুটি
আহতো কাকারে জড়ায়ে ধরিল সে।
নিজ ভাইয়ের প্রতি চাহি, কহিল সে দাদা
কি করিলি তুই?
বিষয়ের তরে আপন কাকারে
নিজহাতে করিলি আঘাত।
এবে চেয়ে দেখ ঐ রক্তের দিকে
যে রক্ত ঝড়ায়েছিস,
চিনতে পারিস কিনা তাকে।
চেয়ে দেখ ঐ রক্তের মাঝে
সম্পর্কের কোন টান পাশ কিনা খুঁজে।
এই রক্ত যে এখনো বহিছে
তোর ধবণীর মাঝে।
আচমকায় পিছন হতে ছুটে আসছে
আরেক ভাইয়ের ছেলে।
বর্ষা হাতে আসছে ছুটে করবে আঘাত
যে আঘাত করিয়াছে তার বৃদ্ধ কাকারে।
ভাইয়ের রক্ত ঝড়িবে ভেবে
বৃদ্ধ কাকারে ছাড়ি
দাঁড়াল সে ভাইয়ের ই সন্মুখে।
ছুটে আসা বর্ষা খানি
তীরের মতো বিধিল তার বুকে।
রক্তাত্ব শরীরে লুটায়ে পড়িল সে ধরণীর বুকে।
বর্ষা বিধ অপর ভাইকে দেখি
আঁতকে উঠিলো সে।
কাকে মারিতে এসে। মারিয়া ছে কাকে।
ভয়ে আতঙ্কে চার পা পিছাল সে।
তাকে দেখে ধীরে ধীরে দাঁড়াল সে
বর্ষা বিধ দেহে।
ক্ষীণকণ্ঠে দুহাত বাড়ায়ে ডাকিছে তারে
জাসনা চলে তুই
আয়নারে দাদা,আয় না আমার কাছে।
দেখনা চেয়ে ঝড়ে যাওয়া রক্তের দিকে।
সম্পর্কের কোন টান পাশ কিনা খুঁজে ?
এই কথা শুনি, এক মুহুর্তের জন্য হলেও
হয়তো তাহার মাঝে
সম্পর্কের টান হয়ে ছিল অনুভব।
তাই অশ্রু ভরা চোখে নত মস্তকে
আসিল সে ছুটে বর্ষা বিধ ভাইয়ের কাছে।
বিঁধে যাওয়া বর্ষা খানি
টেনে ছুঁড়ে ফেলিলো সে দুই হাতে।
জাড়ায়ে ধরিল সে আপন বক্ষ মাঝে
বাবারে বর্ষা বিধ দেখি
উল্মত্ত পতঙ্গের ন্যায় সন্তান আসিল ছুটি
হাতে লয়ে তর বারি।
উদ্ধত হল করিতে আঘাত বর্ষা বিধ কারির।
আচমকায় সন্তানের উদ্ধত রুপ দেখি
কিছুই বলার সময় পেলনা সে।
শুধু টল মল দেহে সজোরে দাদারে
ধাক্কা দিয়া দিল সরায়ে ‌
সন্তানের হস্তের তরবারির কঠিন প্রহার
নিল সে আপন শরীরে।
অবশেষে ক্ষত বিক্ষত দেহে
লুটায়ে পড়িল সে ধরণীর বুকে।
চিরতরে ঘুমায়ে পড়িল সে
রক্তের হোলি মেখে।
© jayentimondal