...

4 views

সেদিনের আয়োজনে
সত্ত্বর এমনে নামহীন হতে হবে –
যাতে আমার দেহও দেখিতে
বরাত না হয় কোনো বিচলিত মানুষের,
আখের বাকলে ঠ্যাং ঝোলা কোনো ফড়িঙের,
পাবনে বাদায় উঠতি সৌম্য আমনের;
সেই যজ্ঞাকাশে, যখন মধ্যাহ্ন ও মধ্যরাত্র
ভিন্ন তো নয় আমার অবাধ দৃষ্টিতে;
শকুনও দরদে আহুতি দিয়ে উঠে যাবে –
চাহিবে না এই গূঢ় কালচে পিন্ডগুলির দিকে,
কয়েক টুকরো শুকনো গোলাপী ছালে –
মৌচাকের ন্যায় কালসিটে ছোপ
লেগে আছে যাতে।
না হয় বাংলার রাজপথে,
অথবা রেলের বগির দাঁতে,
যদি নাও যাই দড়ি-ছুঁড়ি বহু আছে;
কিম্বা ইতিহাসহীন, হিসেববিহীন
গঙ্গার কোনো জোয়ার-মাতানো ঘাটে,
জেলের জালকে বাঁধা পড়ে বুদবুদহীন
বোধহীন বোয়াল যেমন ফুলে ফেঁপে ওঠে –
আমিও উঠবো সেদিন, হিমঘরে রাখা হবে !
হবে কি তা? হলেই বা কেমনে যায় আসে?
ময়নাতদন্ত কেবলই শরীরের কথা বলে;
মাথার অক্ষ যতই ছিঁড়ে বেরোয় গোলার্ধেরা,
নতুন নতুন কাটাছেঁড়া অজান্তে যায় লেগে –
তবুও কারুর প্রশ্ন নাহি আসে,
মনের ভিতর গজিয়ে ওঠা মূলে
জটিলতার শিকড় ছিল কত !
চাইনে আমি সেদিন যাবো বলে
দেখা হোক কারো কোনো সাথে –
গাত্রে যাহার দয়ার ঘোষিত দেবতা
স্যাপিয়েন্সের নামাবলী লেখা আছে;
যেন সেদিন ছত্রাকদের পুষ্টি দেবো বলে
শুইয়া রহিতে পারি অগোচরে।
যেদিন খুঁজেছি বিহগার খোলা স্বর–
বৃত্তপথে মিছিমিছি মাছিদের মতো ঘুরে,
বুঝেই ছিলেম – কিছুই সত্য নহে !
অধিত্যকার ওয়াদি জুড়ে শুধু বালিঝর বহে।


© soumik299