প্রতীক্ষা
---প্রতীক্ষা---
কলমে-রশ্মিতা দাস
কাগজের খেয়া ভাসিয়ে দিলাম জলে
সমুদ্দুরে আছড়ে পড়া ঢেউ,
নাম না জানা কান্না যত জমা
নিয়ে গেল বয়ে,জানল না তো কেউ...
সান্ধ্যকালীন ভাঁটার টানে খুঁজি
ঝিনুকের খাঁজে হেলায় হারানো মুক্তো,
হেলায় নিক্ষেপিত হয়েছিল সে যে
আজ খুঁজে ফিরি,দু চোখ অশ্রুসিক্ত...
উদ্দাম প্রেম মুক্ত ডানা মেলে
এসেছিল যেন বিহঙ্গ-রূপী উন্মাদ
দুটি কোমল হৃদের চপলতা
জ্যোৎস্না দিয়ে ভরিয়েছিল চাঁদ...
ছিলাম মত্ত,ছিলাম পাগলপারা
মায়াবী ওই আলোর সূতোর ধাগা,
দিয়ে বুনেছিলেম যে আমৃত্যু
বন্ধনের এ সোনা ও সোহাগা...
কত চড়াই-উতরাই পার করেছি
কত 'রক্ত-কন্টক' করেছি পার,
ছিলাম তখন দৃপ্ত, ছিলাম দৃঢ়
করিনি পরোয়া,কারওর ধারিনি ধার.
হঠাৎ মাঝে হল ছাড়াছাড়ি,
উচু জাত-নীচু জাত হল বিচার্য,
হঠাৎ এল সমাজ রীতির বালাই
কুসংস্কার,যা যা ছিল যে কদর্য.
ঢালা হল বিষ আমার কানে-মনে...
জীবন উল্টো বাঁকেতে মোড় নিল,
ভুল বুঝলাম, হল শুরু যে বিবাদ
গেল যে নিভে পবিত্র প্রেমের আলো...
আমার জীবন চালিত হল ভ্রমে
ঝুটো সংসার আপন করতে হল.
ব্যস্ত হলাম একঘিয়েমির শ্বাসে,
গেল নিভে আজি দীপ্তি-খুশির আলো...
শুনি একদিন, যেদিন আমার বিয়ে
পরান সঁপেছিল সে সমুদ্দুরে
গিয়েছিল রেখে মত্ত প্রেমের ডালি,
আছে বেঁচে সে যে আঁধারে ও রোদ্দুরে...
আছে বেঁচে সে যে জোয়ারে আর ভাঁটাতে
এই টানে আমি হলাম বাড়িছাড়া...
আশ্রয় নিই সমুদ্দুরের পাড়ে,
কথা বলি,গান গাই,দিই ডাকে সাড়া...
চুলের জটা,মলিন কাপড় গায়ে,
পাগলিনী বলে সবাই ছোঁড়ে ঢেলা.
তাকাই না আমি কোনোদিকে কোনোখানে
তার সাথে শুধু খেলি লুকোচুরি খেলা.
প্রেমের ভেলা দিই ভাসিয়ে ঢেউয়ে
সাগরের জলে স্নান করে পাই স্বাদ,
অপূর্ণ এই মিলনের প্রতি রাত্রে
হই মত্ত,চঞ্চলা,উন্মাদ.
এমনি করেই কাটিয়ে বাকি জীবন
দেব সাগরেই অন্তিমতম ডুব,
পাব ফিরে সেই হারানো স্পর্শ-সোহাগ,
'সমাজ-রীতি' সবাই তখন চুপ...
কলমে-রশ্মিতা দাস
কাগজের খেয়া ভাসিয়ে দিলাম জলে
সমুদ্দুরে আছড়ে পড়া ঢেউ,
নাম না জানা কান্না যত জমা
নিয়ে গেল বয়ে,জানল না তো কেউ...
সান্ধ্যকালীন ভাঁটার টানে খুঁজি
ঝিনুকের খাঁজে হেলায় হারানো মুক্তো,
হেলায় নিক্ষেপিত হয়েছিল সে যে
আজ খুঁজে ফিরি,দু চোখ অশ্রুসিক্ত...
উদ্দাম প্রেম মুক্ত ডানা মেলে
এসেছিল যেন বিহঙ্গ-রূপী উন্মাদ
দুটি কোমল হৃদের চপলতা
জ্যোৎস্না দিয়ে ভরিয়েছিল চাঁদ...
ছিলাম মত্ত,ছিলাম পাগলপারা
মায়াবী ওই আলোর সূতোর ধাগা,
দিয়ে বুনেছিলেম যে আমৃত্যু
বন্ধনের এ সোনা ও সোহাগা...
কত চড়াই-উতরাই পার করেছি
কত 'রক্ত-কন্টক' করেছি পার,
ছিলাম তখন দৃপ্ত, ছিলাম দৃঢ়
করিনি পরোয়া,কারওর ধারিনি ধার.
হঠাৎ মাঝে হল ছাড়াছাড়ি,
উচু জাত-নীচু জাত হল বিচার্য,
হঠাৎ এল সমাজ রীতির বালাই
কুসংস্কার,যা যা ছিল যে কদর্য.
ঢালা হল বিষ আমার কানে-মনে...
জীবন উল্টো বাঁকেতে মোড় নিল,
ভুল বুঝলাম, হল শুরু যে বিবাদ
গেল যে নিভে পবিত্র প্রেমের আলো...
আমার জীবন চালিত হল ভ্রমে
ঝুটো সংসার আপন করতে হল.
ব্যস্ত হলাম একঘিয়েমির শ্বাসে,
গেল নিভে আজি দীপ্তি-খুশির আলো...
শুনি একদিন, যেদিন আমার বিয়ে
পরান সঁপেছিল সে সমুদ্দুরে
গিয়েছিল রেখে মত্ত প্রেমের ডালি,
আছে বেঁচে সে যে আঁধারে ও রোদ্দুরে...
আছে বেঁচে সে যে জোয়ারে আর ভাঁটাতে
এই টানে আমি হলাম বাড়িছাড়া...
আশ্রয় নিই সমুদ্দুরের পাড়ে,
কথা বলি,গান গাই,দিই ডাকে সাড়া...
চুলের জটা,মলিন কাপড় গায়ে,
পাগলিনী বলে সবাই ছোঁড়ে ঢেলা.
তাকাই না আমি কোনোদিকে কোনোখানে
তার সাথে শুধু খেলি লুকোচুরি খেলা.
প্রেমের ভেলা দিই ভাসিয়ে ঢেউয়ে
সাগরের জলে স্নান করে পাই স্বাদ,
অপূর্ণ এই মিলনের প্রতি রাত্রে
হই মত্ত,চঞ্চলা,উন্মাদ.
এমনি করেই কাটিয়ে বাকি জীবন
দেব সাগরেই অন্তিমতম ডুব,
পাব ফিরে সেই হারানো স্পর্শ-সোহাগ,
'সমাজ-রীতি' সবাই তখন চুপ...