...

4 views

পরীক্ষা যখন মাধ্যমিক
মিড মিলের ভর্তি থালা,পেট ভর্তির দিন,
এসব এখন অতীত শুধু ,আসছে রেজাল্টের দিন,
জীবন এখন জটিল হচ্ছে, পাচ্ছি না তাই দিশা,
নিজেকেও লাগে ভয় ,যখন দেখি সিসা,
বাবা বলেছেন ইংরেজি টিংরাজি ওসব ব্যাকডেটেড,
এখন শুধু সায়েন্সের খেলা,সাইন্স নিয়ে নাও,যদি চাও হতে সেটলড,
মা বলেছেন উহু ওরকম করে নিলে হবে না,
চয়েস করো ঠিক দিক,
ইঞ্জিনিয়ারিং নাকি মেডিক্যাল,কোন টা লাগছে ঠিক,
আমার ইচ্ছে কেউ শুধই না, মত্ত নিজের নিয়ে,
মনে হচ্ছে কোথাও মুক্তি খুঁজি,দূরে পালিয়ে গিয়ে,
পাড়ার লোকে বলছে ডেকে ওরে পাগল ছেলে,
কেমন হলো ম্যাথ এক্সাম টা,প্রশ্ন কঠিন ছিলো বলে,
পাস করবি তো,নাকি দুইবার দিবি,টাকা গুলো সব জলে,
বাবা করেন ফরমান জারি,ওসব ইঞ্জিনিয়ারিং দেশে ভুরি ভুঁড়ি,
ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে,তখন আমরা মেডিক্যাল পড়ি,
দেশ গায়ে তে আর্টস এর ছেলে,আর ভর্তি কমার্স এও,
ওই তো সেই ছেলেটা ফাস্ট হয়েছিল,দেখ আজ ও এস এস সি পেলো না,বসে বেকার হয়ে সেও।
মা জানা লেন কে বলেছে ইঞ্জিনিয়ার সস্তা এখন ,কোথায় থাকো শুনি?
আমার ছেলে বিদেশ যাবে,দেখবে তখন আমরা কত টাকা গুনি,
আমি যে চাই সাহিত্য পড়তে ,গান করতে আর গীটার বাজাতে অবসরে,
এসব যেন ফালতু জিনিস ,শুনলে ওদের গা গীর গির করে,
আমি অনেক বড় আকাশ খুঁজে পাই রবি ঠাকুরের গানে,
যে এত বড় আকাশের মালিক তাকে কি কখনো সরকারি চাকরি টানে?
যে গিটারের সুরের ভেলায় বাংলার আকাশ বাতাস,মাঠ ঘাট ছুঁতে চাই,
সত্যি বলো,কখনো ওই ইট কংক্রিটের শহরে সেটলড হয়ে খুশি হয়ে থাকা যায়,
সাহিত্য রসে পাগল আমি,মাতাল হয়ে মরতে চাই,
বিদেশে নয়,এই দেশে তেই বাংলা মা এর পায়ের তলায়,




© অনুরাধা