...

2 views

গল্প: করণীমাতা মন্দির
গল্প: করণীমাতা মন্দির
বিশেষ আশ্চর্য এক মন্দির করণী মাতা, রাজস্থানের বীকানীর অঞ্চলে দেশনক নামে এক জায়গায়। আমরা গণেশ ঠাকুরের বাহন হিসাবে যে ইঁদুরকে এতদিন জানতাম সেই ইঁদুরই এখানে ভগবান হিসাবে পূজিত হয়।
শুধু পূজিত‌ই হয়না করণী মাতার এক বড়সড় ভব্য মন্দির আছে। মন্দির টাকে সহজে চেনা যায় ইঁদুর মন্দির হিসাবে। মন্দিরের ভিতর তো বটেই তার বাইরে ও বিশাল চত্তরে, দোকান পাসারের ভিতরে ইঁদুর ছুটোছুটি করছে । ভাল‌ই লাগল এটাকে ইঁদুরের অভয়ারণ্য দেখে।
তবে মজার ব্যাপার দেখলাম মানুষ সেখানে বসে ধ্যাণ ও করছে মনস্কামনা পূরণের জন্য।
এবং দেখা গেল মন্দিরে ঠাকুর হিসাবে ইঁদুর নয় মনুষ্য মুর্তি ই আছে। যিনি নাকি অলৌকিক ক্ষমতা ধারীণি যার সম্মন্ধে কাহিনী ওখানে মজুদ গাইডদের কাছে এমন কি উইকিপিডিয়া তে ও আছে দেখলার যার বর্ণনা দেওয়া আমার উদ্দেশ্য নয়।
যাহোক মন্দিরে ঢোকার আগে ছেঁকে ধরবে কিছু দোকান ওয়ালা ছোলা ,কিশমিশ ইত্যাদি বিক্রেতা যারা করণী মাতার অশেষ অলৌকিক ক্ষমতার আশীর্বাদ থেকে এখনো বঞ্চিত বলে আমার মনে হল । বিক্রি করবে তবে পেট ভরবে। তবে ইঁদুর কে খাওয়াব বলে খুশি মনেই ছোলা ভাজা কিনলাম ।
এবার মন্দিরে যেতে জুতো খুলতে হল যেটা অবান্তর মনে হল এইজন্য যে মন্দির ভিতর টাকে আজকের স্বচ্ছতা মিশনের যুগে আর যাইহোক পরিস্কার বলা চলেনা কেননা চারিদিকে ইঁদুর ছোলা দানা এমন কি দুধ ইত্যাদি খাওয়া দাওয়া করছে অন্যান্ন শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়া কলাপ সহ। তাই যাকে পূতিগন্ধ বলা হয় সেটা ছিল‌ই।
তার‌ই মাঝে পুরোহিতরা ভক্তদের পূজো করাচ্ছে। কেউ বা অতি ভক্ত এক মনে বসে বসে ধ্যান করে চলেছে , পাশে এমনকি পা ছুঁয়ে ইঁদুর দৌড়চ্ছে তাতেও কোন ভ্রুক্ষেপ না‌ই। আরো একটা কথা অনেক ইঁদুর দেখলাম বটে তবে কোনটাকেই সুস্বাস্থের অধিকারী মনে হলনা, কারোর ই শরীরে চাকচিক্য নাই, কেমন যেন লোম ওঠা ওঠা।তার মধ্যে কাহিনী সাদা রঙের ইঁদুর যে দেখবে সে ভাগ্যবান। যথারীতি আমিও দেখলাম না। তবে ওদের শরীর নিয়ে আমি একটু উদ্বিগ্ন হয়ে ভাবছিলাম এবং আমার যতদুর মনে হল অতিরিক্ত খাওয়া দাওয়ায় এর কারণ কেননা অনেক জায়গায় পাত্রে খাবার দেওয়া আছে ভক্তগণ দ্বারা যা প্রয়োজনাতিরিক্ত । তাই আমি স্ত্রীকে নিষেধ করলাম ছোলাভাজা ছড়াতে। সে বল্ল ওদের নাম করে এনেছি ঘুরে নিয়ে যাবো? আমি বল্লাম বাইরে চল বলছি। বাইরে জুতো পরে রাস্তার দিকে পা ফেলতেই রাজস্থানী ঘোমটা ওয়ালী এক ভদ্রমহিলা হাত পাতলেন , আমি দশটাকার সঙ্গে ঐ ছোলাভাজার প্যাকেটটা ও দিয়ে দিলাম অলৌকিকতা হীন করণী মাতাকে।।
**KRN**
14.01.2024.BKN
Writco: 24.01.2024