অমৃতা এবং রাহুল যখন ভিডিওগুলি নিয়ে ভাবছিল, তখন শহরের এক কোণে একটি অন্ধকার ঘরে কিছু ঘটছিল।

মধুবন্তী, পাপিয়া, অমৃতা, সুকর্ণ, কুসুমিতা, মাধুরী সবাই নামকরা চ্যানেল এবিপি আনন্দের নিউজ অ্যাঙ্কর। প্রতিদিন এই মহিলারা খবর পড়েন। কিছু দিন থেকে মধুবন্তী একটি গ্যাং এর তথ্য সংগ্রহ করছিল।কিন্তু সে বিষয়টি অন্যদেরকে খুব একটা জানায়নি।জিজ্ঞাসা করলে সে বলত যে সে শুধু কিছু খবর করছে।কিন্তু হঠাৎ একদিন মধুবন্তী তার ঘর থেকে উধাও। রুমটি ভিতর থেকে তালাবদ্ধ ছিল এবং কীভাবে সে নিখোঁজ হল তা নিয়ে সবাই হতবাক। মধুবন্তীর জায়গায় দুই নতুন উপস্থাপক শীতল এবং শীলা খবর পড়ছিল।

শীতল আর শীলা অতুলের সাথে আড্ডা দিচ্ছিল। তারা সবাইকে বলেছিল যে অতুল শীলার বয়ফ্রেন্ড। কিন্তু তাদের গোপন বৈঠকের কারণে প্রশ্ন উঠেছে এটি একটি নৈমিত্তিক বৈঠক নাকি অন্য কিছু চলছে।

অমৃতা বরাবরই শীলার আচরণকে অদ্ভুত বলে মনে করেছিল। সে মধুবন্তী এবং তার জীবন সম্পর্কে জানতে আগ্রহী বলে মনে হয়েছিল যদিও তিনি সে জানে না। অমৃতা তাকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে ও বলে যে ও মধুবন্তীকে ভালবাসে। কিন্তু শীলা যেভাবে কথা বলে তাতে অমৃতার সন্দেহ হয়।

একটা অন্ধকার ঘর। সেখানে একটি মেয়ে তার কাছে বস্তা নিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে ছিল। মেয়েটির লম্বা চুল দিয়ে তার মুখ ঢেকে রয়েছে। একদল মুখোশধারী লোক ঘরে ঢুকেছে। তারা মেয়েটিকে বেঁধে রাখল। মেয়েটি আর কেউ নয়, সংবাদ উপস্থাপিকা মধুবন্তী। মুখোশধারীরা মধুবন্তীর পেছনে গিয়ে তার লম্বা নরম চুলগুলোকে আলতো করে তুলে নিল। তারপর তারা তাদের নাক নামিয়ে মধুবন্তীর চুলের ঘ্রাণ নিল। মনে হল যেন মধুবন্তীর লম্বা মোলায়েম চুলের চুলের ঘ্রাণ তাদের উত্তেজিত করছে। তারা মধুবন্তীর লম্বা নরম চুলের মধ্যে দিয়ে আঙ্গুল চালাল এবং ক্রমাগত তার চুলের সাথে খেলল। যখন মধুবন্তীকে সচেতন হতে দেখা গেল, তারা তার চোখ বেঁধে দিল। তাদের মধ্যে একজন মধুবন্তীর মুখ শক্ত করে ধরে বলল, "সুন্দরী মধুবন্তী, তুমি শীঘ্রই জানতে পারবে কেন তোমাকে এখানে আনা হয়েছে।" তাদের একজন মধুবন্তীর নরম চুলে আলতো করে থাপ দিয়ে চলে গেল। রুম তালাবদ্ধ করা হল।