ফালতু
সময়টা উত্তাল। আসলে তা হয়তো নয় সব সময় টাই নিজের নিজের মতো করে উজ্জল। তথাকথিত গণতান্ত্রিক দেশে এবং তার মধ্যে নিজেকে সর্বোচ্চ শিক্ষিত ভাবা এবং অন্য প্রদেশ কে অকারনে হীন মনে করে নিজেরা নিজেদের পিঠ চাপরে দেওয়া এক জাতি হয়তো আবার একটা বড় পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে চলেছে। সব সময় কি এটা হতে পারে যে বেশির ভাগ মানুষ যেটা বলছে সেটা সঠিক?মহাভারতের যুদ্ধ যদি আমরা দেখি তবে দেখব কৌরবদের দিকে কিন্তু বেশি মানুষের সমর্থন ছিল। কিন্তু এখন এমনই সময় সত্যি কথা বলতে গেলে বহুজনের বিরাগভাজন হতে হচ্ছে। পরিচিত মুখগুলো হঠাৎ যেন পাল্টে যাচ্ছে। মানুষ যে এই ভাবে হঠাৎ করে পাল্টে যাবে এটা ভাবা যায় না। সামান্য সুযোগ সুবিধা নেবার জন্য মানুষ নিজের বিবেক কে বিসর্জন দিয়ে দিচ্ছে। কাকে বিশ্বাস করবেন প্রতিটা মানুষ যেন মুখোশ পরে ঘুরছে যখন তখন তাদের সেই সাজানো ছদ্মবেশ টা খুলে গিয়ে বেরিয়ে আসবে আসল কদর্য রূপ। আমাদেরকে কি আয়নার সামনে দাঁড়ানোর সময় এখনো আসেনি। সত্যিই কি আমরা ভালো আছি। যদি সত্যিই ভালো থাকি তাহলে এত হানাহানি কিসের কেন এত চাপ। বহু বহু মানুষ তো সমর্থন করেছেন তাহলে সামান্য কিছু বিরোধীপক্ষকে এইভাবে দমিয়ে দেয়াটা কি সভ্য সমাজের রীতি। আমি সাধারন মানুষ বিরাট কিছু শিক্ষা নেওয়ার সামর্থ্য আমার হয়নি। হয়তো কিছু ভুল বলছি বা আমার চিন্তা ভাবনা টা খুবই সংকীর্ণ হয়তো অনেক কিছু ভুল আছে ভাংতি আছে। তবুও শিক্ষিত সমাজের কাছে চেতনা সম্পন্ন মানুষের কাছে আমার অনেক প্রশ্ন আছে। না এতটা স্পর্ধা আমার নেই যে আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে একজন তুচ্ছ সহনাগরিক কে তার আস্পর্ধার জবাব দিতে হবে। আমরা কেউই পরস্পরের কাছে কৈফিয়ত দিতে বাধ্য নয়। কারোর ফালতু লেখাও পড়তে আমরা বাধ্য নই । আমি আমার অফিসে গিয়ে আমার দায়িত্বটুকু যতটা সম্ভব এড়িয়ে যেতে চাইবো আর অন্যের কাছে দায়বদ্ধতা চাইবো এটাই বোধহয় আমাদের প্রত্যেকেরই অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। প্রতিটা ক্ষেত্রে আমরা আমাদের দোষ ত্রুটি সবকিছু চেষ্টা করব অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দিতে। আমি কেন কোনো কিছু দায়িত্ব নেব। আমার পাশের বাড়ির লোকটা যদি বিপদে পড়ে পরুক না । আমি মজা নেব বিপদটা তো আমার নয়। সবথেকে আমাদের এই মুহূর্তে বেশি আনন্দ বোধ হয় অপরকে বিপদে পড়তে দেখলে।
© arjun
© arjun
Related Stories