কে আমি:- This Is The Most Important Question In The Universe
কে আমি:- This is The Most Important Question In The Universe.
আমরা অনেকেই বলি এ জন্ম আমার সার্থক। কিন্তু সত্যিই কি তাই?
কখনোই নয়। আমাদের জন্ম সেদিন সার্থক হবে যেদিন আমরা নিজেদের জীবনের রহস্য খুঁজে পাবো। আমরা যেদিন খুঁজে পাব এই 'আমি' শব্দটার রহস্য।
শরীরের কোনো অংশ কেটে আমাদের ব্যাথা লাগে। কষ্ট হয়। কিন্তু কেন? এই শরীরের সাথে আমার কিসের সম্পর্ক?
আমি যেই মুহূর্তে নিজেকে প্রশ্ন করি, 'কে আমি?' ঠিক সেই মুহূর্তে আমার মনে হয় আত্মা যেন আমার শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল। শরীরের কোথাও ব্যাথা লাগলে যখন প্রশ্ন করি 'আমি কে?' তখনই ব্যাথা যেন কোথায় উধাও হয়ে যায়।
বারবার প্রশ্ন করেছি আমার আমার মনকে, আমার আত্মাকে, আমার মস্তিষ্ককে। কিন্তু তারা মাথা নিচু করে নীরবে দাঁড়িয়ে থাকে। সারাদিন মাথার মধ্যে গুঞ্জন করতে থাকা হাজারো চিন্তা নিমেষের মধ্যে অদৃশ্য হয়ে যায়। অনেকটা সময় পরেও মন যখন কিছু বলতে পারে না তখন মস্তিস্ক বলে 'এক ক্ষুদ্র অসহায়, অবলা প্রাণী। আর আত্মা বলে, 'আমার জীবন ধারণের মাধ্যম।'
আমি লক্ষ্য করেছি, এই প্রশ্ন আমার কপালে ভাঁজ ফেলে, নাসিকা প্রান্ত স্ফীত করে, চোখকে ভাবুক আর ভ্রুকে নাচিয়ে তোলে। যে মানুষ কিনা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব, যে মানুষ মঙ্গলে পারি দিয়েছে, চাঁদের মাটি ছুঁয়েছে, গভীর আসমুদ্রহিমাচলে পারি জমিয়েছে, যার দ্বারা বিজ্ঞান এত উন্নত হয়েছে, সভ্যতার চাকাকে সময় গতিতে ছুটিয়ে নিয়ে চলেছে, পৃথিবীকে ইচ্ছা মতো পরিবর্তন করতে শিখেছে, প্রকৃতিকে হাতের পুতুল বানানোর ইচ্ছা ত্যাগ করেনি, মানেনি হার, তৈরি করেছে সুপার ইন্টেলিজেন্সি, হাজারো প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করেছে, যে মানুষ ইউনিভার্সের জন্ম রহস্যকে সামনে নিয়ে এসেছে, যার বুদ্ধি ছুটে বেড়ায় সৌরজগতের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে, সেই মানুষ কোনোদিন নিজেকে খুঁজে পায়নি, নিজের রহস্যকে জানতে পারেনি, চিনতে পারেনি নিজেকে, এত ক্ষুদ্র একটা প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে না। তাহলে এই প্রশ্নের উত্তর দিকে আর কত বুদ্ধির দরকার! এই তার বুদ্ধির দৌড়! নিজেকে কি নিজেকে সকলেই চিনতে ব্যর্থ? নাকি মানুষ সুপার ইন্টেলিজেন্সির মুখ চেয়ে বসে আছে?
তাই তো বলি, আশ্চর্য এ মানব জনম, আশ্চর্য এ ধরা!
© Shreya Dey
আমরা অনেকেই বলি এ জন্ম আমার সার্থক। কিন্তু সত্যিই কি তাই?
কখনোই নয়। আমাদের জন্ম সেদিন সার্থক হবে যেদিন আমরা নিজেদের জীবনের রহস্য খুঁজে পাবো। আমরা যেদিন খুঁজে পাব এই 'আমি' শব্দটার রহস্য।
শরীরের কোনো অংশ কেটে আমাদের ব্যাথা লাগে। কষ্ট হয়। কিন্তু কেন? এই শরীরের সাথে আমার কিসের সম্পর্ক?
আমি যেই মুহূর্তে নিজেকে প্রশ্ন করি, 'কে আমি?' ঠিক সেই মুহূর্তে আমার মনে হয় আত্মা যেন আমার শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল। শরীরের কোথাও ব্যাথা লাগলে যখন প্রশ্ন করি 'আমি কে?' তখনই ব্যাথা যেন কোথায় উধাও হয়ে যায়।
বারবার প্রশ্ন করেছি আমার আমার মনকে, আমার আত্মাকে, আমার মস্তিষ্ককে। কিন্তু তারা মাথা নিচু করে নীরবে দাঁড়িয়ে থাকে। সারাদিন মাথার মধ্যে গুঞ্জন করতে থাকা হাজারো চিন্তা নিমেষের মধ্যে অদৃশ্য হয়ে যায়। অনেকটা সময় পরেও মন যখন কিছু বলতে পারে না তখন মস্তিস্ক বলে 'এক ক্ষুদ্র অসহায়, অবলা প্রাণী। আর আত্মা বলে, 'আমার জীবন ধারণের মাধ্যম।'
আমি লক্ষ্য করেছি, এই প্রশ্ন আমার কপালে ভাঁজ ফেলে, নাসিকা প্রান্ত স্ফীত করে, চোখকে ভাবুক আর ভ্রুকে নাচিয়ে তোলে। যে মানুষ কিনা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব, যে মানুষ মঙ্গলে পারি দিয়েছে, চাঁদের মাটি ছুঁয়েছে, গভীর আসমুদ্রহিমাচলে পারি জমিয়েছে, যার দ্বারা বিজ্ঞান এত উন্নত হয়েছে, সভ্যতার চাকাকে সময় গতিতে ছুটিয়ে নিয়ে চলেছে, পৃথিবীকে ইচ্ছা মতো পরিবর্তন করতে শিখেছে, প্রকৃতিকে হাতের পুতুল বানানোর ইচ্ছা ত্যাগ করেনি, মানেনি হার, তৈরি করেছে সুপার ইন্টেলিজেন্সি, হাজারো প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করেছে, যে মানুষ ইউনিভার্সের জন্ম রহস্যকে সামনে নিয়ে এসেছে, যার বুদ্ধি ছুটে বেড়ায় সৌরজগতের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে, সেই মানুষ কোনোদিন নিজেকে খুঁজে পায়নি, নিজের রহস্যকে জানতে পারেনি, চিনতে পারেনি নিজেকে, এত ক্ষুদ্র একটা প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে না। তাহলে এই প্রশ্নের উত্তর দিকে আর কত বুদ্ধির দরকার! এই তার বুদ্ধির দৌড়! নিজেকে কি নিজেকে সকলেই চিনতে ব্যর্থ? নাকি মানুষ সুপার ইন্টেলিজেন্সির মুখ চেয়ে বসে আছে?
তাই তো বলি, আশ্চর্য এ মানব জনম, আশ্চর্য এ ধরা!
© Shreya Dey