বনানী ভবন
(২)
........অভীক চিঠি পাওয়ার কয়েকদিন পর ও নিজে এসে হাজির। আগের দিন অনেক রাত করে বাড়ি ঢুকেছে। পরের দিন সকাল সকাল আমার ঘরে হাজির। মা গরম গরম দু কাপ কফি ও দুটি টোস্ট রেখে গেলেন। কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে আমরা গল্প করছিলাম। আমি ওকে জিজ্ঞাসা করলাম, "তুই চিঠিতে এসব কি লিখেছিস? " ও বলল, "জানতাম তুই বিশ্বাস করবি না। এসব সেদিন নিজের চোখে না দেখলে আমিও বিশ্বাস করতাম না। আগামী পরশু আমি আবার গ্ৰামে যাচ্ছি, তুইও চল আমার সাথে। আমরা খুব মজা করবো সাথে তোর কিছুটা ভৌতিক অভিজ্ঞতাও হবে।"
ওর এককথায় আমি রাজি হয়ে গেলাম। নির্দিষ্ট দিন যথাসময়ে মা-বাবার পদধূলি মাথায় করে নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। খড়গপুর স্টেশন থেকে ট্রেনে করে বরানগর গ্ৰামে পৌঁছলাম। সেখান থেকে এবার একটি রিক্সা বা টোটো খোঁজার পালা। বরানগর থেকে চন্দনপুর হেঁটে গেলে আধঘণ্টা মতো হবে। এদিকে সন্ধ্যেও হয়ে এসেছে।সন্ধ্যেবেলা গ্ৰামের পরিবেশ উপভোগ করার লোভ সামলাতে না পেরে আমি অভীকের কাছে হেঁটে যাওয়ার আবদার করলাম। ও প্রথমে রাজি হচ্ছিল না, বোঝা যাচ্ছিল সেদিনের ঘটনায় ও যথেষ্ট কাবু হয়ে পড়েছে। তাও ওকে অনেক কষ্টে রাজি করালাম। দুজনে হাঁটছি। সন্ধ্যের অন্ধকার আরো কালো হয়ে আসছে। সকলে যে যার ঘরে ঢুকে পড়েছে। রাস্তায় নেড়ি কুকুরগুলো এখানে ওখানে জটলা পাকিয়ে নিদ্রায় মগ্ন। রাস্তা-ঘাটে আমরা দুজন ছাড়া আর তেমন কোনো জনপ্রাণী নেই। কিছুদূর আসার পর এক বিশাল বটতলায় দেখলাম একজন হুঁকো ফুঁকছেন।তিনি আমাদের জিজ্ঞাসা করলেন, "এই ভর সন্ধ্যেবেলা বাছারা যাচ্ছ কোথায়? " অভীক জবাব দিল, "বনানী ভবন"। লোকটা কিছুক্ষণ আমাদের মুখের দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে বলল, " সেখানে যেওনি বাছারা। ওখানে মানুষ ছাড়া বাকি সকলে থাকে।" অভীক রেগে বলল, "যা-তা উলটা- পালটা বলবেন নাতো? চল অনিন্দ, কিসব যে বলে?"আমরা ওখান থেকে প্রস্থান করলাম। 'বনানী ভবন'-এর সামনে এসে দাঁড়াতেই আমার গা-টা কেমন ছমছম করে উঠলো। বিশাল বড় বাড়ি। তিনতলা।১৩.৫ একর জায়গা জুড়ে বাড়িটা অবস্থিত। বাইরে থেকে দেখলে 'Haunted house' বলে ভুল হতে পারে কিন্তু ভেতর থেকে এটি সম্পূর্ণ আলাদা।
........অভীক চিঠি পাওয়ার কয়েকদিন পর ও নিজে এসে হাজির। আগের দিন অনেক রাত করে বাড়ি ঢুকেছে। পরের দিন সকাল সকাল আমার ঘরে হাজির। মা গরম গরম দু কাপ কফি ও দুটি টোস্ট রেখে গেলেন। কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে আমরা গল্প করছিলাম। আমি ওকে জিজ্ঞাসা করলাম, "তুই চিঠিতে এসব কি লিখেছিস? " ও বলল, "জানতাম তুই বিশ্বাস করবি না। এসব সেদিন নিজের চোখে না দেখলে আমিও বিশ্বাস করতাম না। আগামী পরশু আমি আবার গ্ৰামে যাচ্ছি, তুইও চল আমার সাথে। আমরা খুব মজা করবো সাথে তোর কিছুটা ভৌতিক অভিজ্ঞতাও হবে।"
ওর এককথায় আমি রাজি হয়ে গেলাম। নির্দিষ্ট দিন যথাসময়ে মা-বাবার পদধূলি মাথায় করে নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। খড়গপুর স্টেশন থেকে ট্রেনে করে বরানগর গ্ৰামে পৌঁছলাম। সেখান থেকে এবার একটি রিক্সা বা টোটো খোঁজার পালা। বরানগর থেকে চন্দনপুর হেঁটে গেলে আধঘণ্টা মতো হবে। এদিকে সন্ধ্যেও হয়ে এসেছে।সন্ধ্যেবেলা গ্ৰামের পরিবেশ উপভোগ করার লোভ সামলাতে না পেরে আমি অভীকের কাছে হেঁটে যাওয়ার আবদার করলাম। ও প্রথমে রাজি হচ্ছিল না, বোঝা যাচ্ছিল সেদিনের ঘটনায় ও যথেষ্ট কাবু হয়ে পড়েছে। তাও ওকে অনেক কষ্টে রাজি করালাম। দুজনে হাঁটছি। সন্ধ্যের অন্ধকার আরো কালো হয়ে আসছে। সকলে যে যার ঘরে ঢুকে পড়েছে। রাস্তায় নেড়ি কুকুরগুলো এখানে ওখানে জটলা পাকিয়ে নিদ্রায় মগ্ন। রাস্তা-ঘাটে আমরা দুজন ছাড়া আর তেমন কোনো জনপ্রাণী নেই। কিছুদূর আসার পর এক বিশাল বটতলায় দেখলাম একজন হুঁকো ফুঁকছেন।তিনি আমাদের জিজ্ঞাসা করলেন, "এই ভর সন্ধ্যেবেলা বাছারা যাচ্ছ কোথায়? " অভীক জবাব দিল, "বনানী ভবন"। লোকটা কিছুক্ষণ আমাদের মুখের দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে বলল, " সেখানে যেওনি বাছারা। ওখানে মানুষ ছাড়া বাকি সকলে থাকে।" অভীক রেগে বলল, "যা-তা উলটা- পালটা বলবেন নাতো? চল অনিন্দ, কিসব যে বলে?"আমরা ওখান থেকে প্রস্থান করলাম। 'বনানী ভবন'-এর সামনে এসে দাঁড়াতেই আমার গা-টা কেমন ছমছম করে উঠলো। বিশাল বড় বাড়ি। তিনতলা।১৩.৫ একর জায়গা জুড়ে বাড়িটা অবস্থিত। বাইরে থেকে দেখলে 'Haunted house' বলে ভুল হতে পারে কিন্তু ভেতর থেকে এটি সম্পূর্ণ আলাদা।