এক সময় পিয়নটা চা নিয়ে আসে।
-এই যে চা টা নিন।
-thanks...
-আচ্ছা আপনার cvটা দেখি।
আমি cvটা বাড়িয়ে দিলাম।
-আরে বাহ...আপনার রেজাল্টতো দেখছি অনেক ভাল।কিন্তু আপনি কি sure চাকরিটা করবেন?
- অবশ্যই। আসলে আমার জবটা খুবই দরকার।আপনি যদি আমাকে একটু হেল্প করতেন অনেক উপকার হত।
- হুমমম...হেল্প তো করাই যায়। আচ্ছা আমি কথা বলে আপনাকে জানাচ্ছি। cvর নাম্বারটা তো আপনার?
- হ্যাঁ আমার।
-okkk...
-আচ্ছা..আজ তাহলে আসি। আমাকে kindly একটু জানাইয়েন।
- ok...আমি জানাব।
-thanks...ভাল থাকবেন। আসি।। bye...
-okk..byee...

কথা শেষে বের হয়ে গেলাম। যাক মেয়েটার সাথে দেখা হয়ে ভালই হল। চাকরিটা হয়তোবা পেতেও পারি। এইসব চিন্তা করতে করতে বাইরে বের হলাম। এদিকে পেটে প্রচুর ক্ষিধা। সেই সকাল থেকে এই পর্যন্ত এক কাপ চা ছাড়া পেটে আর কিছুই পড়েনি। দেরি না করে পাশের একটা দোকান থেকে কিছু খেয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।

বাসায় এসে রুমে ঢুকে বসলাম। কিছুক্ষণ পর মা আসল।
- কিরে কখন আসলি?
- এইতো মা..কিছুক্ষণ হল।
-নাস্তা করছিলি?
-হ্যাঁ...যে ক্ষিধা লাগছিল আমার।
-এখন বুঝ।নাস্তা করেই তো যেতে বললাম তুকে। তুই তো শুনলিনা। তা এখন সময় মত গিয়েছিসতো?
- না।
-না মানে?? কেন?
-আরে বইলোনা...রাস্তায় কোন গাড়ীই নাই। যা রিক্সা একটা পাইছিলাম তাও মেয়ে একটাকে দিয়ে দিলাম।
-তার মানে তুই interview দিসনি??
- যেতে পারলেই তো দিব। তবে অফিসটাতে গিয়েছিলাম।
-তো??? কিছু হল?
- হুমমম। আমি যে মেয়েটার জন্য রিক্সা ছেড়েছিলাম ওর সাথে দেখা হয়েছিল। মেয়েটা ওখানে চাকরি করে। ওর সাথে কথা হয়ছে। মনেতো হল খুব ভাল পজিশনে আছে। ও ওর বসের সাথে আমার ব্যাপারে কথা বলবে বলছে।
- তাই নাকি? তাহলেতো ভালই হল।
-হুমমম...তুমি দোয়া কর এবার যেন চাকরিটা পেয়ে যায়।
- দোয়া করি। পেয়ে যাবি। এখন যা..বসে না থেকে গোসলটা সেরে আয়।
-তুমি যাও। আমি একটু পরে যাব।
-আচ্ছা।।দেরি করিসনা আবার।
-আচ্ছা করবনা। যাও।
মা যাওয়ার পর আমি মিনিট পাঁচেক বসে তারপর গোসলে গেলাম।

To be continued...