The title of the "দ্বিতীয় সুযোগ" (Translation: "Second Chance")
#WritcoStoryPrompt30
একটি নিরবধি মুহুর্তের জন্য, তাকে তার গাড়ির সীমানার মধ্যে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। তারপরে মাধ্যাকর্ষণ এমন একটি শক্তি নিয়ে চলে যা গাড়িটিকে গিরিখাতের মুখে আঘাত করে।
"আমি দুঃখিত, আমি খুব দুঃখিত।" তার ঠোঁট থেকে রক্ত ঝরে পড়ে তার ভাঙা ক্ষমা চাওয়াটা উড়ে গেল...
গাড়িটি গিরিখাতের মুখে আছড়ে পড়ার পর মুহূর্তটি স্থবির হয়ে যায়। কাচের টুকরোগুলো বাতাসে স্ফটিকের মতো ঝলমল করে, সময় যেন থমকে গিয়েছে। তার হাত স্টিয়ারিং হুইলে শক্তভাবে ধরা, আঙুলের গিঁট সাদা হয়ে গেছে। আশেপাশে কিছুই ছিল না—শুধু নিস্তব্ধতা, এক দম বন্ধ করা নিস্তব্ধতা।
তার ঠোঁট থেকে রক্তের লাল ধারা ধীরে ধীরে গাল বেয়ে নেমে আসে। শরীরে ব্যথা আর আতঙ্ক একসঙ্গে আঘাত হানে। তার মনে প্রথম চিন্তাটি আসে—সে বেঁচে আছে। কিন্তু এক মুহূর্ত পরই আরও গভীর একটি চিন্তা তার মনে উদয় হয়—সে কি করেছে?
“আমি দুঃখিত, আমি খুব দুঃখিত।” তার কণ্ঠ ফিসফিস করে, যদিও সেখানে কেউ শোনার ছিল না। ক্ষমাটুকু তার নিজের মনেই আটকে যায়, বাতাসের মধ্যেও হারিয়ে যায়।
হঠাৎ দূর থেকে একটি শব্দ ভেসে আসে—পায়ের আওয়াজ, দ্রুতগতিতে ছুটে আসা। কোনো স্থানীয় লোক হয়তো দুর্ঘটনার শব্দ শুনে এগিয়ে এসেছে। কিন্তু তার জন্য অপেক্ষা করার সময় ছিল না। গাড়িটি গিরিখাতের কিনারে ঝুলে ছিল, একটি ছোট স্পর্শই সেটিকে আরও গভীরে নামিয়ে দিতে পারত।
কাঁপা কাঁপা হাতে সে সিটবেল্টের তালা খুলল। তার শরীর বিদ্রোহ করছিল, প্রতিটি পেশি যেন ভেঙে পড়েছে। কিন্তু তার মন তাকে বলল, "এখনই থামতে পারবে না।" সে জানালার ভাঙা অংশ দিয়ে ধীরে ধীরে বাইরে বেরোল।
পাথুরে মাটি তার পায়ের নিচে খসখসে লাগছিল, কিন্তু তার হাতের আঙুলগুলো মাটি আঁকড়ে ধরল। সে গাড়ির দিকে তাকাল—এখনও কিনারে ঝুলছে। তার জীবনের সঙ্গে ওই গাড়িরও যেন একটা অদৃশ্য সুতোয় বাঁধা।
পেছনে ঘুরে...
একটি নিরবধি মুহুর্তের জন্য, তাকে তার গাড়ির সীমানার মধ্যে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। তারপরে মাধ্যাকর্ষণ এমন একটি শক্তি নিয়ে চলে যা গাড়িটিকে গিরিখাতের মুখে আঘাত করে।
"আমি দুঃখিত, আমি খুব দুঃখিত।" তার ঠোঁট থেকে রক্ত ঝরে পড়ে তার ভাঙা ক্ষমা চাওয়াটা উড়ে গেল...
গাড়িটি গিরিখাতের মুখে আছড়ে পড়ার পর মুহূর্তটি স্থবির হয়ে যায়। কাচের টুকরোগুলো বাতাসে স্ফটিকের মতো ঝলমল করে, সময় যেন থমকে গিয়েছে। তার হাত স্টিয়ারিং হুইলে শক্তভাবে ধরা, আঙুলের গিঁট সাদা হয়ে গেছে। আশেপাশে কিছুই ছিল না—শুধু নিস্তব্ধতা, এক দম বন্ধ করা নিস্তব্ধতা।
তার ঠোঁট থেকে রক্তের লাল ধারা ধীরে ধীরে গাল বেয়ে নেমে আসে। শরীরে ব্যথা আর আতঙ্ক একসঙ্গে আঘাত হানে। তার মনে প্রথম চিন্তাটি আসে—সে বেঁচে আছে। কিন্তু এক মুহূর্ত পরই আরও গভীর একটি চিন্তা তার মনে উদয় হয়—সে কি করেছে?
“আমি দুঃখিত, আমি খুব দুঃখিত।” তার কণ্ঠ ফিসফিস করে, যদিও সেখানে কেউ শোনার ছিল না। ক্ষমাটুকু তার নিজের মনেই আটকে যায়, বাতাসের মধ্যেও হারিয়ে যায়।
হঠাৎ দূর থেকে একটি শব্দ ভেসে আসে—পায়ের আওয়াজ, দ্রুতগতিতে ছুটে আসা। কোনো স্থানীয় লোক হয়তো দুর্ঘটনার শব্দ শুনে এগিয়ে এসেছে। কিন্তু তার জন্য অপেক্ষা করার সময় ছিল না। গাড়িটি গিরিখাতের কিনারে ঝুলে ছিল, একটি ছোট স্পর্শই সেটিকে আরও গভীরে নামিয়ে দিতে পারত।
কাঁপা কাঁপা হাতে সে সিটবেল্টের তালা খুলল। তার শরীর বিদ্রোহ করছিল, প্রতিটি পেশি যেন ভেঙে পড়েছে। কিন্তু তার মন তাকে বলল, "এখনই থামতে পারবে না।" সে জানালার ভাঙা অংশ দিয়ে ধীরে ধীরে বাইরে বেরোল।
পাথুরে মাটি তার পায়ের নিচে খসখসে লাগছিল, কিন্তু তার হাতের আঙুলগুলো মাটি আঁকড়ে ধরল। সে গাড়ির দিকে তাকাল—এখনও কিনারে ঝুলছে। তার জীবনের সঙ্গে ওই গাড়িরও যেন একটা অদৃশ্য সুতোয় বাঁধা।
পেছনে ঘুরে...