𝔻𝕣. 𝔹ℝ𝔸𝕀ℕ 𝕊𝕋𝕆ℕ𝔼
writer - Pritam Bar

-----পৃথিবী আজ মৃতপ্রায়,মারা গেছে সমস্ত জীবন্ত প্রাণী. পরিবর্তে জন্ম নিয়েছে এক  অতিকায় বিশাল দৈত্য. শুখিয়ে গেছে পুকুর, ডোবা, নদী,নালা,  সমুদ্র এমনকি মহাসাগর ও উপমহাসাগরও  --সেই  অতিকায় বিশাল দৈত্তের শরীর থেকে নির্গত হওয়া এক বিষাক্ত গ্যাসিয় পদার্থ- এর কারণে.  আজ অবশিষ্ট নেই আর কোনো জীবনের অস্তিত্ব.বাতাস বা অক্সিজেন বলতে কিছুই অবশিষ্ট নেই এই পৃথিবীতে.

পরিবর্তে সমস্ত দিকে বিচরণ করছে; কার্বন মনোক্সাইড, হাইড্রোজেন সালফাইড,ইথিলিন, পিরিডিন,   মিথেন,এবং কার্বন -ডাইক্সাইড এর মত কিছু মারাত্মক বিষাক্ত গ্যাসিয় পদার্থ.🌪
এবং সেই বিষাক্ত বাতাসে ঘুরে বেড়াচ্ছে কিছু অসংখ্য দাঁতসহ ছোটো ছোটো হাতপালা
যুক্ত ও লেজ বিশিষ্ট কিছু প্রাণী ; যেটি নির্গত হচ্ছে সেই  দৈত্যকার প্রাণীর শরীর থেকে.

....শুকিয়ে গেছে ছোটো গাছ, ও আগাছা গুলি.
বড়ো -বড়ো গাছ গুলোতে ধরেছে পচন. মাটিতে জল না থাকার কারণে ফাটল দেখা দিয়েছে, আর সেই ফাটল দিয়ে  নির্গত হচ্ছে জ্বলন্ত লাভা, 🌋ও....... কি ভয়াবহ দৃশ্য, যেন এখনি আমার মাথাটা ফেটে চৌচির হয়ে যাবে....... আর তার সাথে দূর থেকে ভেসে আসছে একটি  শব্দ, যেন হাজার হাজার ঘন্টা একসাথে বেজে চলেছে আর পারছিনা এই যন্ত্রনা সহ্য করতে হয়তো  এখুনি অজ্ঞান হয়ে পরে যাবো. মাথাটাও ঘুরতে শুরু করেছে
আ......................


...এর্লাম এর শব্দে ঘুমটা ভেঙে গেলো.  চোখ রগরাতে - রগরাতে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলাম বেলা 10:30 টা অলরেডি বেজে গেছে. দুর ---যাচ্ছেতাই; কোনো মানে হয় যত সব বিদঘুটে স্বপ্ন. শরীরে ভেজা- ভেজা অনুভব করলাম; ইসস........  ল্যাবড্রেস টা  ভিজে গেছে একেবারে. কাল রাতে চোখ ঢুলে যাচ্ছিল
ল্যাবড্রেস টা না খুলেই শুয়ে পড়েছিলাম. মাথাটা কেমন যেন ঝিম ঝিম করছে ;কপালে হাত দিয়ে দেখলাম গা জ্বরে পুরে যাচ্ছে.
কাল রাতে ঐরকম ঝড় -ঝাপটা, বৃষ্টির মধ্যে গবেষণার কাজ চালিয়ে গেছি .

....তরীহরি - করে ড্রয়ার থেকে আমার নিজের হাতে তৈরী একটা "লংগ্রেভিটি" ট্যাবলেট চট করে খেয়ে নিলাম. এই "লংগ্রেভিটি" ট্যাবলেট এর সবচেয়ে বড়ো গুন হল এটা ক্যান্সার ছাড়া সবরকমের রোগ, বিষক্রিয়া ও সমস্ত রকমের ব্যাথা -বেদনা নিমিষের মধ্যে সারিয়ে তোলে.
আমার প্রত্যেকটা আবিষ্কার একটু অন্য রকমের,  আর আমার ধারণা আগামী পাঁচশো বছরের মধ্যেও কেউ এর সমতুল্যর ধারে কাছে যাবে বলে. এই রকম বলার কারণ ও আছে...