...

6 views

করোনাভাইরাস নিয়ে স্বপ্ন দেখলেন এক যুবক
প্রশ্ন :
আসলে তুমি কে?
করোনা : আমি তো আমার মহান মালিকের হুকুম মাত্র।
প্রশ্ন : কে তোমার মালিক?

করোনা : যিনি তোমার মালিক তিনিই আমার মালিক। মহান আল্লাহ্ তয়ালা ।
প্রশ্ন : মানুষ তোমাকে অনেক ভয় করছে তুমি চলে যাও।
করোনা : মানুষ কি আমাকে দেখেছে?
প্রশ্ন : না দেখেনি।
করোনা : আমাকে না দেখেই এত ভয় করছে? মানুষ তো আল্লহ্কেও দেখেনি কই আল্লাহকে তো ভয় করে না।
আমি আল্লাহর সৃষ্টি মাখলুক আমার ভয়ে গোটা দুনিয়া গৃহবন্দী, তবে তো আল্লাহর ভয়ে মানুষের সিজদা থেকে ওঠার কথা নয়।

প্রশ্ন : সারা দুনিয়াকে তুমি গৃহ বন্দি করলে কেন?

করোনা : যেদিন সিরিয়া, আফগান, ফিলিস্তিন, চিনের উইঘুর মুসলিমদের গৃহ বন্দী করা হলো, হত্যা করা হলো, মুসলিম মেয়েদের বেপর্দা করা হলো,
ভারতের বাবরি মসজিদ ভাংগা হলো, সেদিন তোমরা দুনিয়া বাসিরা কী করছিলে বলো, কেনো প্রতিবাদ করোনি?

প্রশ্ন : তুমি কেনো এসেছো?

করোনা : আল্লাহর হুকুমে পুরো পৃথিবীটাকে আমি একটা রিস্টার্ট মারবো যেমন তোমরা কম্পিউটারে বা মোবাইলে মেরে থাকো।
প্রশ্ন : এতে কি লাভ হবে?

করোনা :
১.পৃথিবীর যাবতীয় পাপ কাজ কমে গেছে আরো যাবে।
২. ডি.জে ক্লাব বন্ধ, নাইট ক্লাব, প্রস্টিটিউশন বন্ধ।হত্যা কমে গেছে।
৩.মুসলিম দেশ গুলোর ওপর হত্যা জুলুম বন্ধ।
৪. বায়ু দুষন বন্ধ।
৫.আমি অবিশ্বাসীদের জন্য ভয়ের আর বিশ্বাসীদের জন্য সাধারণ সর্দি, কাশি ও জ্বর।
বিত্ত্ববান আর সম্পদ ওয়ালারা সম্পদের পাহাড় গড়ছে, অথচ দান, সাদকা করে না।
দরিদ্ররা নির্যাতিত। আমার জন্য গোটা দুনিয়ায় অর্থ সংকট হবে এতে অনেক বিত্ত্ববান ধনী ফতুর হবে।

আমার আসার কারন অনেক তার মাঝে
১.মানুষকে তার মৃত্যুর কথা স্মরন করানো।
২.আল্লাহর হুকুম জমিনে প্রতিষ্ঠা করা।

প্রশ্ন : তুমি তো শুধু জীবন নিচ্ছ, জীবন ফিরিয়েতো দিচ্ছ না ?
করোনা : চিনের উইঘুরের মুসলিম নিধন কমেছে।
সিরিয়া,আফগান যুদ্ধ থেমেছে।

প্রশ্ন : তুমি আর কতো জীবন নিবে? অনেক ভয়ে আছে সবাই।
করোনা :যাদের হায়াত শেষ তাদের চিন্তা কিসের, আর কেন তোমরা কি বিশ্বাসী নও যে মহান আল্লাহ যখন যে ভাবে মৃত্যু দিবেন সেভাবেই হবে। আমাকে ভয় না করে
আল্লাহ কে ভয় করো।
৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করো।
আল্লাহর জিকির করো।
নবী করিম ( সা:) এর সুন্নত মতো চলো।
ভালে কাজে আদেশ করো, মন্দ কাজে নিষেধ করো,

মনে রেখো এই ২০২০ সালে আল্লাহ আমার মত অদৃশ্য এক মাখলুক পাঠিয়ে মানুষ কে শিক্ষা দিয়েছেন। তাদের বানানো বিশাল যুদ্ধবিমান, পারমানবিক বোমা কিছুই করতে পারছে না। কাজেই বাহাদুরি জমিনে নেই, ওই আসমানের বাদশা এক আল্লাহ তিনি যখন যাকে যে ভাবে খুশী সে ভাবে মৃত্যু দিতে
পারেন আবার তিনিই জীবন দাতা কারো কিছু করার নাই।

চীন ঘোষণা করেছিলো কোনো মুসলিম রোজা রাখলে তাকে শুকরের মাংস খেতে বাধ্য করা হবে।
মুসলিম শিশুদের বাবা মা থেকে আলাদা করে তাদের কোয়ারেন্টাইনে রেখে বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষিত করা শুরু করেছিলো এবং উইঘুর মুসলিম নারীদের বাধ্যতামূলকভাবে চাইনিজদের সাথে শারীরিক সম্পর্ক কিংবা বিয়ে দিচ্ছিলো যাতে পরবর্তী প্রজন্ম মুসলিম হিসেবে না জন্মায়।
সবশেষে সমাজতান্ত্রিক দর্শনের আলোকে কোরআন সংশোধন করতে শুরু করেছিলো।
মুসলিমরা কোনো প্রতিবাদ করেনি।

ইতালীতে san petronio basilica নামক গির্জায় Giovanni da modena ব্যঙ্গচিত্রটি মুহাম্মদ( স)কে নিয়ে আঁকা।
১৪১০ সাল থেকে তা রক্ষিত থাকলেও তা স্থানীয় মুসলিমদের নজরে আসে ২০০১ সাল থেকে।
তখন স্থানীয় মুসলিমরা প্রতিবাদ করলেও সরকার তাদের উপর দমন পীড়ন করে স্তব্ধ করে দেয়। বিশ্ব মুসলিম কোনো প্রতিবাদ করেনি।

স্পেনে ১ এপ্রিল সমস্ত মসজিদে পরাজিত মুসলিমদের ধোঁকা দিয়ে বন্দী করে একযোগে মসজিদ সহ সমস্ত মুসলিমকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয় নির্মমভাবে।
আর সব মসজিদকে রূপান্তর করা হয় গির্জায়। বিশ্ব মুসলিমের গায়ে জ্বর আসেনি।

ফ্রান্স মুসলিম নারীদের পর্দাকে নিষিদ্ধ করলো এবং রাসুল (স) এর ব্যঙ্গচিত্র অংকনকে ব্যক্তিস্বাধীনতা বলে স্বীকৃতি দিলেও মুসলিমদের গায়ে জ্বালা ধরেনি।

প্রথম ক্বেবলায় মুসলিমদের কোনো অধিকার নেই এবং আল্লাহ্‌র ঘরে ইহুদিদের অপবিত্র ছোবল!মুসলিমদের কোনো অন্তর্জ্বালা নেই।

ফিলিস্তিনি নিরস্ত্র মানুষের উপর ইসরাইলী নিষ্ঠুরতার প্রতিবাদে মুসলিমরা নির্লজ্জের মতো নীরব!

ভারতের বাবরি মসজিদ ধ্বংস এবং তৎপরবর্তী কর্মকাণ্ড, কাশ্মীরি ও দিল্লীর মুসলিমদের উপর দমন-পীড়ন মুসলমানিত্বকে জাগিয়ে তুলতে পারেনি।

ইয়ামেন, মিশর, ইরাক, সুদান, সোমালিয়া, সিরিয়ায় যে মানবতার প্রলয় ঘটছে তা নিয়ে মুসলিমদের কোনো মাথাব্যথা নেই।
মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর অমানবিক নির্যাতন। মুসলিমরা নিরব ।
আপনি কি ভেবেছেন? আল্লাহ্‌ কি এমনিতেই ছেড়ে দেবেন? আপনার মুসলিম নামের খাতিরেই কি পার পেয়ে যাবেন???অবশ্যই না। আল্লাহ্‌ নিজেই বলেছেন, তার পাকড়াও অতি ভয়ংকর। কিছু বুঝতে পারছেন মুসলিম জনতা!!সবার আগে চীন, এরপর ইতালী, এরপর স্পেন, এরপর ফ্রান্স, তারপর ইরান, তারপর কে?? বুঝতে পারছেন কিছু??? আপনারা কি ভেবেছেন, আল্লাহ্‌ ঘুমিয়ে আছেন? অবশ্যই না। তিনি সব দেখছেন এবং আমাদের সময় দিচ্ছেন যে, আমাদের ভুমিকা কী তা দেখার জন্য। তিনি সবসময় অসহায়ের পক্ষে। মানুষ যদি তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন না করে তবে অবশ্যই আল্লাহ্‌ নিজে তা গ্রহণ করেন। আর তার রোষ যখন শুরু হয় তখন কেবল অন্যায়কারীই পাকড়াও হয় না, সমর্থনকারী এমনকি সহ্য করা মানুষেরাও আক্রান্ত হয়। আল্লাহ্‌ তার বান্দাদের নির্দেশ দিয়েছেন, "তোমরা কেন লড়াই করোনা ওই সমস্ত নিপীড়িত মানুষের পক্ষ নিয়ে যারা আল্লাহ্‌র কাছে ফরিয়াদ করে যে, হে আল্লাহ্‌, আমাদের কে রক্ষা করার জন্য একজন রক্ষাকারী পাঠাও। আমাদের এই জালিম জনপদ থেকে হেফাজত করো।"

করেছেন লড়াই!!দাঁড়িয়েছেন অসহায়ের পক্ষে!!! জুলুমকারীর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন!!!এবার বেশি বেশি কুনুতে নাযেলা পাঠ করুন!!! বেশি বেশি মহামারির দোয়া পড়তে থাকুন!!মোনাজাত করে কেঁদে বুক ভাসান!!! যাই করুন না কেন, এবার কলকাঠি আল্লাহ্‌ নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন। তার রোষে এখন মসজিদে যাওয়াও বন্ধ হয়ে গেছে। কিয়ামতের আগে তওবার দরজা বন্ধ হয়ে যাবে।এখন হয়তো মসজিদের দরজা বন্ধ করে আল্লাহ্‌ তার মহড়া দেখাচ্ছেন।অতএব সাবধান!!!মুসলিম সাবধান!!! মানবজাতি সাবধান!!! সীমালঙ্ঘন করবেন না।আল্লাহ্‌ সীমালঙ্ঘনকারীদের ক্ষেত্রে অত্যন্ত কঠোর। আর যেসব নিরীশ্বরবাদী বলতে শুরু করেছেন, আল্লাহ্‌ ঈমানদারদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে(নাউযুবিল্লাহ্), ক্বাবা শরিফ থেকে আল্লাহ্‌ পালিয়েছে(নাউযুবিল্লাহ্) তাদেরকে বলতে চাই, আল্লাহ্‌ ব্যর্থ নন, তিনি পালাননি। বরং তিনি নিজেই এসব ঘটাচ্ছেন তোমাদের দৌড় দেখার জন্য এবং বেশ ভালোভাবেই দেখাচ্ছেন। দেখতেই তো পাচ্ছি, কতটা শক্তিশালী প্রাণী তোমরা!!! একটা ক্ষুদ্রতর প্রাণী থেকে বাঁচতে মার্কিনীরা দলে দলে আত্মহত্যা করার জন্য অনুমতি চাচ্ছে। আল্লাহ্‌ এটাও বলে দিয়েছেন পবিত্র কোরআনে,"সেদিন (হাশরে) তারা মৃত্যুকে আহ্বান করবে। কিন্তু মৃত্যুও তাদের কাছ থেকে চিরবিদায় নিয়েছে "। শুধু কি তাই? সেদিন পিতা পুত্রকে ভুলে যাবে, স্ত্রী স্বামীকে, মা তার সন্তানকে এবং সন্তান তার মাকে। কিছু বুঝতে পারছেন করোনা আক্রান্ত মানুষেরা!!! এটা আখেরাতের সে ভয়ংকর দিন নয়, তবে দুনিয়ার জীবনে তার একটা মহড়ামাত্র!!! এবার নিজেরাই ঠিক করুন, বিশ্বাসকে কোন দিকে ধাবিত করবেন!!! স্বাধীনতা আপনার।কেননা পরীক্ষায় আছি আমরা সবাই। এ সময়ে পরীক্ষক আমাদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করবেন না। তবে ফলাফল প্রকাশের দিনে যা করেছি তাই পাবো।সেদিন ফলাফল পরিবর্তনের কোন সুযোগ নেই। কারণ ফাঁস হাওয়া প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়েও যদি আমরা ফেল করি তবে দোষ দেবার মতো কাউকে পাওয়া যাবে কি??? হে আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করো,আমাদের রক্ষাno করো। আমিন।

(কপি করে একজন মুসলমান হিসেবে , অন্য মুসলমানকে এবং অন্য ধর্মের লোকদের শেয়ার করুন)