...

5 views

আমার অর্জুন
ধূপগুড়ি পেরিয়ে ময়নাগুড়ি তাও পেরিয়ে জলপাইগুড়ি। জানা নেই মনেও নেই জায়গাগুলোর ডিটেইল। একটা সময় সত্যানুসন্ধানী অর্জুনের সাথে ভ্রমণ হয়েছিল বইএর পাতায়। কৃতজ্ঞতা আনন্দমেলা, শিক্ষিত মধ্যবিত্তের ছেলেবেলার ম্যাগাজিন। সময় পেরিয়েছে। অপেক্ষায় থেকেছি শারদীয়া আনন্দমেলার জন্য। গোপাল'দা কখন আসবে। কখন হাতে পাব। তারপর?
গোগ্রাসে গেলা একটার পর একটা ক্যারেক্টর। একটা সময় ছিল গোগোল প্রথম, পরে অর্জুন প্রথম। উত্তেজনায় ভরপুর। প্রথম ঘন্টায় শেষ না হলে কিসের গল্প, কিসের বড়্গল্প।
সোজা কথাটা ঘুরিয়ে বললাম অনেক কথা দিয়ে। আসল কথাটা আজ সন্ধের পর মনটা খারাপ হয়েছিল আরও বেশি। আমার প্রিয় লেখকদের একাউন্ট খালি হলো আরও একবার। সমরেশ মজুমদার আর নেই। ছেলেকে বলে কিছু হবেনা তাই বলিনি। বেশ কয়েকদিন ধরেই মন খারাপ দুজনের। বেশি কিছু লিখতে মন চাইছেনা। পরে হবে। জানা নেই মৃত্যু মানুষকে শশ্মাণ ছাড়া আর কোথায় নিয়ে যায়। তবে আমাদের মতন মধ্য-চল্লিশ থেকে মধ্য-পঞ্চাশের শিক্ষিত বাঙালি মানুষের ভেতর নিশ্চিত থাকবেন।
এখানেই থামলাম। আমার অর্জুন মানে সমরেশ মজুমদারের গোয়েন্দা গল্প, যদিও শেষের দিকের অর্জুন চরিত্রের নির্মান কেমন যেন পালটে গেছিল। ভাল মন্দের কথাই আসব না।

© debashishbhattacharya