...

1 views

ফিরে এস
সময়টা শীতকালের রাত্রি। রাস্তাঘাট শুনশান। উষা একাই হেঁটে চলেছে। সে আজ ধোঁকা খেয়েছে সেই মানুষটার কাছে যার জন্য সে রোহনকে ছেড়েছিল।
- উষা, চলে যেওনা, সবাই নিজের বাইরেটাকে চাকচিক্য দেখায়, আমি এর উলটো, আমি ইচ্ছে করেই বাইরে কাঠখোট্টা, খারাপ। তুমিতো আমার অন্তরের স্নিগ্ধ রূপটা দেখেছো, তাও ভুল বুঝলে আমায়- রোহন ঠিকই বলত আজ বুঝেছে উষা কিন্তু আজ রোহন কোথায়? রোহনের মায়ের তখন প্রচন্ড অসুখ, সংসারে টাকার টানাটানি। রোহন উষার হাতটা নিজের কাঁধে চেয়েছিল যে রোহনকে বলবে রোহন পৃথিবীতে যা কিছু হয়ে যাক, আমি তোমায় কোনোদিন ছাড়বোনা কিন্তু উষা রোহনকে ছেড়ে গিয়েছিল।
- ' আরে সামনে চারটে লোক, ওর দিকেই এগিয়ে আসছে। চোখে কেমন যেন লোভাতুর দৃষ্টি। কি করবে উষা?'
চারটে লোক ঘিরে ধরেছে। হঠাৎই একটা ঝড়, লোকগুলো ছিটকে পড়ল।
পারছিলনা উষা। অজ্ঞান হয়ে লুটিয়ে পড়ল রাস্তায়, রাস্তা নাকি কারুর হাতে যে হাত উষার খুব চেনা?

পরেরদিন সকাল। উষা এখন নিজের রুমে। কিন্তু কিভাবে সে বাড়ি পৌঁছোলো? মা বলছে সোহন বারুই নামে এক ডাক্তারবাবু তাকে বাড়ি পৌঁছিয়ে দিয়ে গেছে।
- সোহন নামটা খুব চেনা লাগছে। মনে পড়েছে। আরে রোহনের সবচেয়ে কাছের বন্ধুর নাম তো সোহন। সোহন তো ডাক্তারি পড়ছিল যখন সে রোহনকে ছেড়ে গিয়েছিল।
সঙ্গে সঙ্গে উষা তাঁর এক বন্ধুর কাছ থেকে সোহনের নাম্বার জোগাড় করে। কিন্তু এ কি বললো সোহন? সে রোহনকে ছেড়ে যাওয়ার রাতেই রোহন আত্মহত্যা করেছিল। আরেকটা অদ্ভুত কথা বলল সোহন। সোহন অন্য রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফিরছিল, ওর বাড়ি অন্য দিকে। কিন্তু ও নিজেও জানে না ও কিভাবে ওই রাস্তায় এসে পড়েছিল। ও দেখেছিল উষা নাকি অজ্ঞান অবস্থাতেই আকাশে ভাসছে, ওকে যেন কেউ পরম যত্নে দুই হাত দিয়ে ধরে রেখেছে।
ফোনটা চেপে ধরে উষা কাঁদতে থাকল।
সোহন বলে যাচ্ছে কালকে দেরি করে বাড়ি ফেরার জন্য ওর স্ত্রী ওকে সন্দেহ করেছে____।

গল্প এখানেই শেষ।
© All Rights Reserved