আংটি
||আংটি||
পেটের ঠিক উপরে ঠান্ডা কিছু একটা বসে আছে বলে মনে হচ্ছে রিজওয়ানের। পেঁচিয়ে বসে আছে। সহজেই অনুমেয় যে পেটের উপর ঠিক কী বসে আছে। তবে রিজওয়ান সেটা বিশ্বাস করতে চায় না। আর চায় না বলেই রিজওয়ান চোখ খুলছে না। তবে মানুষ বরাবরই কৌতুহলের কাছে হেরে যায়। চোখ খুললো সে। হ্যা, একটা প্রকান্ড সাপ রিজওয়ানের পেটের উপর বসে আছে৷ সাপটার শরীরের রঙ কুচকুচে কালো। তবে মূল দৃষ্টিটা পড়লো সাপের লাল টকটকে চোখের উপর। যেনো ওই চোখ দুটো তাকে কিছু বলতে চায়। তাকে কোনো গুপ্তধনের খবর বলতে চায় যেনো।
হঠাৎ'ই সাপটা ধীরে ধীরে রিজওয়ানের গলার কাছে বেয়ে বেয়ে উঠতে লাগলো। সারা শরীর ঘৃণায় রি রি করে উঠলো রিজওয়ানের। এক সময় গলার কাছে পৌছে গেলো রিজওয়ানের। ধীরে ধীরে গলার চারপাশ পেঁচিয়ে ধরতে শুর করলো সাপটা৷ গলায় চাপ বাড়ছে ক্রমান্বয়ে। রিজওয়ানের চোখ উল্টে আসতে লাগলো। হয়তো এখনি জ্ঞান হারাবে সে। মনে হচ্ছে ঘাড় ভেঙে যাবে এই চাপে। হঠাৎ,ই চোখের সামনে আঁধার নেমে এলো৷
ঘুম ভেঙে গিয়েছে রিজওয়ানের। আকাশের সূর্যের কিরণ সরাসরি শরীরের উপরে পড়ছে৷ কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমা হয়ে রয়েছে। অফিসের দেরি হয়ে যাচ্ছে। ঝটপট উঠে পড়লো রিজওয়ান । কোনোমতে মুখ ধুয়ে একটা পাউরুটি খেতে খেতে বেরিয়ে পড়লো অফিসের উদ্দেশ্যে।
আজকের অফিসের পরিবেশটা কেমন জানি গুমোট ঠেকছে রিজওয়ান এর কাছে। কী যেনো একটা ঠিক নেই। কখনো কখনো পরীক্ষার হলে সহজ অঙ্ক না পারলে যেভাবে মাথা কাজ করা বন্ধ করে দেয় তেমনই অবস্থা হচ্ছে রিজওয়ান এর। তবে এবার ধরতে পারলো সমস্যাটা৷ কেউ ডেস্কে বসা নেই। সবাই বসের রুমের সামনে জটলা হয়ে দাঁড়ানো। রিজওয়ানও সামনে এগিয়ে ভীড়ে মিশে যাওয়ার চেষ্টা করলো তবে বসের নজর এড়াতে পারলো না।
“আরে রিজওয়ান এসে পড়েছো!”
“গুড মর্নিং স্যার। কিছু সমস্যা হয়েছে কী? সবাই এখানে?”
“ব্যাড নিউজ রিজু। তোমাদের সিনিয়র ম্যানেজার হাবিবুল ভাই আসার সময় বাইক এক্সিডেন্ট করে মারা গেছেন। ব্যালেন্স হারিয়ে রাস্তায় পড়ে গিয়েছিলেন। তখন একটা ট্রাক তার...
পেটের ঠিক উপরে ঠান্ডা কিছু একটা বসে আছে বলে মনে হচ্ছে রিজওয়ানের। পেঁচিয়ে বসে আছে। সহজেই অনুমেয় যে পেটের উপর ঠিক কী বসে আছে। তবে রিজওয়ান সেটা বিশ্বাস করতে চায় না। আর চায় না বলেই রিজওয়ান চোখ খুলছে না। তবে মানুষ বরাবরই কৌতুহলের কাছে হেরে যায়। চোখ খুললো সে। হ্যা, একটা প্রকান্ড সাপ রিজওয়ানের পেটের উপর বসে আছে৷ সাপটার শরীরের রঙ কুচকুচে কালো। তবে মূল দৃষ্টিটা পড়লো সাপের লাল টকটকে চোখের উপর। যেনো ওই চোখ দুটো তাকে কিছু বলতে চায়। তাকে কোনো গুপ্তধনের খবর বলতে চায় যেনো।
হঠাৎ'ই সাপটা ধীরে ধীরে রিজওয়ানের গলার কাছে বেয়ে বেয়ে উঠতে লাগলো। সারা শরীর ঘৃণায় রি রি করে উঠলো রিজওয়ানের। এক সময় গলার কাছে পৌছে গেলো রিজওয়ানের। ধীরে ধীরে গলার চারপাশ পেঁচিয়ে ধরতে শুর করলো সাপটা৷ গলায় চাপ বাড়ছে ক্রমান্বয়ে। রিজওয়ানের চোখ উল্টে আসতে লাগলো। হয়তো এখনি জ্ঞান হারাবে সে। মনে হচ্ছে ঘাড় ভেঙে যাবে এই চাপে। হঠাৎ,ই চোখের সামনে আঁধার নেমে এলো৷
ঘুম ভেঙে গিয়েছে রিজওয়ানের। আকাশের সূর্যের কিরণ সরাসরি শরীরের উপরে পড়ছে৷ কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমা হয়ে রয়েছে। অফিসের দেরি হয়ে যাচ্ছে। ঝটপট উঠে পড়লো রিজওয়ান । কোনোমতে মুখ ধুয়ে একটা পাউরুটি খেতে খেতে বেরিয়ে পড়লো অফিসের উদ্দেশ্যে।
আজকের অফিসের পরিবেশটা কেমন জানি গুমোট ঠেকছে রিজওয়ান এর কাছে। কী যেনো একটা ঠিক নেই। কখনো কখনো পরীক্ষার হলে সহজ অঙ্ক না পারলে যেভাবে মাথা কাজ করা বন্ধ করে দেয় তেমনই অবস্থা হচ্ছে রিজওয়ান এর। তবে এবার ধরতে পারলো সমস্যাটা৷ কেউ ডেস্কে বসা নেই। সবাই বসের রুমের সামনে জটলা হয়ে দাঁড়ানো। রিজওয়ানও সামনে এগিয়ে ভীড়ে মিশে যাওয়ার চেষ্টা করলো তবে বসের নজর এড়াতে পারলো না।
“আরে রিজওয়ান এসে পড়েছো!”
“গুড মর্নিং স্যার। কিছু সমস্যা হয়েছে কী? সবাই এখানে?”
“ব্যাড নিউজ রিজু। তোমাদের সিনিয়র ম্যানেজার হাবিবুল ভাই আসার সময় বাইক এক্সিডেন্ট করে মারা গেছেন। ব্যালেন্স হারিয়ে রাস্তায় পড়ে গিয়েছিলেন। তখন একটা ট্রাক তার...